ফুলকপি চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন রায়গঞ্জের কৃষকেরা
- প্রকাশিত সময় ০৫:১৫:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০২২
- / 94
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
আগামজাতের ফুলকপি চাষ করে লাভের স্বপ্ন দেখছেন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার কৃষকরা। বছরের পুরোটা সময় তারা ‘আগাম জাতের’ ফুলকপি চাষ করেন। ভরা মৌসুমে ফুল কপির ভালো দাম না পেলেও অসময়ে ফুলকপি বিক্রি করে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন তারা। তাই আগাম জাতের ফুলকপির দিকেই ঝুঁকছেন এ সব চাষিরা।
ধানসহ অন্যান্য ফসলে চাষিরা যখন লাভের পরিবর্তে লোকসানে পড়ছেন, তখন আগাম জাতের ফুলকপি চাষ করে লাভের স্বপ্ন বুনছেন উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহায়তায় কৃষকরা আগাম জাতের এ ফুলকপি চাষ করে থাকেন।
রায়গঞ্জের সাহেবগঞ্জ- দাদপুর এলাকার কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ধান-গম চাষ করে আমরা খুব একটা লাভবান হতে পারছি না। তাই ফুলকপি চাষ শুরু করেছি। শীতকালে ফুলকপির ভরা মৌসুমে দাম একটু কম হয়। তবে শীতের প্রথম সময়ে বেশ ভালো দাম পাওয়া যায়। তাই আমরা এখন আগাম জাতের ফুলকপি চাষ শুরু করেছি। বিক্রিরও তেমন ঝামেলা নেই। মাঠ থেকেই পাইকারি ক্রেতারা কিনে নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, এ বছর ২৫ শতক জমিতে আগাম জাতের ফুলকপির চাষ করেছেন। এর আগে দেখা যেত ভরা শীতকালে জমিতে ফুলকপির চাষ হতো। সে সময় ভালো দাম পাওয়া যেতো না। কৃষি অফিসের পরামর্শে আমরা এখন আগাম জাতের ফুলকপির চাষ করি।
রায়গঞ্জের কৃষকেরা এ সব ফুলকপি ঢাকাসহ স্থানীয় হাট-বাজার ও জেলার বিভিন্ন শহরেও বিক্রি হচ্ছে। ধান, গম, ভুট্টা, আলু, পেঁয়াজের তুলনায় অধিক লাভ এই আগাম ফুলকপিতে। তাই এই অঞ্চলের মানুষ এখন ফুলকপি চাষে ঝুঁকছেন।
রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম জানান, রায়গঞ্জ অঞ্চলের আবহাওয়া ও মাটি সবজি চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এ ছাড়া কৃষি বিভাগের পরামর্শে এই অঞ্চলের মানুষ আধুনিক চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন। চাষিরা আগাম জাতের ফুলকপি চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। ফলে তারা ফুলকপি চাষের দিকে ঝুঁকছেন। সাধারণত শীতকালেই আগাম, মধ্যম ও নাবী মৌসুমে বিভিন্ন জাতের ফুলকপি আবাদ করা যায়।