ঢাকা ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি বলেই মেলা বন্ধ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৫:৩৪:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২
  • / 158

মেলার তোরণ।

স্টাফ রিপোর্টার:

ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সার্বিক আয়োজন ও তত্ত্বাবধানে পরিচালিত তাঁৎবস্ত্র ও বাণিজ্য মেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল ঈশ্বরদীর এসিল্যান্ড-এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে এটি বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। তবে অনিয়মগুলি কি কি তা জানা যায় নি।

প্রেসক্লাব পরিচালনা কমিটির এক সদস্য বলেছেন, অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে জনৈক জাহাঙ্গীরকে মেলা পরিচালনা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এই জাহাঙ্গীর ইতোপূর্বেও ঈশ্বরদীতে মেলা আয়োজনে ফিল্ড কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন – এরকম অভিজ্ঞতা থাকায় এবারও মেলা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু আয়োজক কমিটির অজ্ঞতার সুযোগে জাহাঙ্গীর তার সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রাত্যহিক কালেকশনের সমুদয় টাকা তৎসহ বিভিন্ন স্টল বরাদ্দবাবদ ও অগ্রিম আরো কমপক্ষে এক কোটি টাকা নিয়ে তিনদিন আগে ঈশ্বরদী থেকে উধাও হয়ে যান। এখন তার মোবাইলও বন্ধ। টাকা উদ্ধার ও আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া যাচ্ছে না কারণ মেলার অনুমতি ছিল প্রেসক্লাব সম্পাদকের নামে যিনি বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে মেলা চালানোর অনুমতি পান। এখানে জাহাঙ্গীর বা অন্যকারো দায়-দায়িত্বের প্রশ্ন ওঠেনা। কথিত আছে এর আগেও জাহাঙ্গীর ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব আয়োজিত এক মেলা থেকে আনুমানিক ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে গা-ঢাঁকা দিয়েছিলেন। সেবারের মত এবারও জাহাঙ্গীরের ভাগ্যের দাড়িপাল্লা তার দিকেই ভর দিয়েছিল কারণ তিনিই তো মেলার বিশেষজ্ঞ, তাকে বাদ দিয়ে মুর্খরা আর কী ভাবতে পারে!

জাহাঙ্গীর জানতেন এবারের মেলা চালিয়ে যাওয়া তারপক্ষে সম্ভব হবে না। সপ্তাহখানেক আগে মেলায় একদল মাস্তানের হামলা হয়েছিল। ওই হামলার সময় সার্কাসের প্যান্ডেল ভাংচুর থেকে শুরু করে বিনোদন স্টেজ থেকে নৃত্যরত মেয়েদের গলার চেইন ছিনতাই পর্যন্ত করা হল। এরপর প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে বৈঠকে পাওনাসংক্রান্ত বিষয়াদি নিস্পত্তি করার পরই হামলাকারীদের থামানো হয়। এখবর মিডিয়ায় না এলেও সব কর্তৃপক্ষই অবগত।

যিনি প্রাত্যহিক কালেকশন থেকে থোকবরাদ্দ বাবদ প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষকে দৈনিক লাম-সাম একটি অংকের অর্থ জমা দিতেন যা থেকে প্রেসক্লাব ফান্ডে কিঞ্চিত পরিমাণ অর্থ জমা রেখে বাদবাকি সিংহভাগ অর্থই ক্লাব কর্মকর্তাদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা হতো। প্রেসক্লাব ও ফিল্ড কর্মকর্তা হিসাবে জাহাঙ্গীরের মধ্যে লিখিত কোনও চুক্তি না থাকায় মেলার শেষটা কারো কাছেই সন্তোষজনক ছিল না। এখানে মেলার সবকিছুই মাত্র একজনের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দেয় তথাকথিত অবৈতনিক প্রভাষক বা লেকচারারকে যাকে বলা যায় – অজ্ঞই এখন বিশেষজ্ঞ আর মূর্খরা এখন জ্ঞানী। অজ্ঞ ও মূর্খ হওয়া দোষের নয়, দোষের হচ্ছে বিজ্ঞ হওয়ার ভান করা।

পর্যবেক্ষকমহল এখনও মনে করেন যে ২০১২ সালের মেলা ও হাউজি থেকে কোটি কোটি টাকা লুট করা হয়েছিল এবং ওই কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কতিপয় সাংবাদিক নেতা ওই টাকা দিয়ে প্রচুর বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছিলেন। পর্যবেক্ষকমহল এও মনে করেন, গত ২৫-৩০ বছরে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের আয়োজনে যত মেলা, লটারী ও হাউজি খেলার আয়োজন করা হয়েছে সেগুলি যদি স্বচ্ছতাসহকারে করা হতো আর লাভের টাকাটা যদি ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব পেতো তাহলে ক্লাবের জায়গায় এখন ১০-তলা ভবন থাকতো।

এবারও একই কায়দায় এগুচ্ছিল সবকিছু কিন্তু ২০ অক্টোবরে মেলা উদ্বোধনের দিনকতক পরথেকেই নতুন দায়িত্ব পাওয়া ক্লাব কর্মকর্তাদের অতিউচ্ছ্বসিত সদাহাস্য মুখায়বব হঠাৎ ম্লান হয়ে গেল। তাদের আশা ছিল এবার তারাও বাড়ি-গাড়ির মালিক হতে পারবেন। কিন্তু আশাভঙ্গ হতে সময় লাগেনি।

শেষ কয়েকদিন মেলার খরচ উঠছিল না এমনকি র‌্যাফেল ড্র’র নামে যেসব টাকা উঠছিল সেগুলো যোগ করেও না। পরে মেলার নেপথ্য কারিগররা বড় বড় ব্যবসায়ীদেরকে শতগুণ লাভ দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে অর্থলগ্নি করতে উৎসাহিত করেন। এতে কাজও হয় স্বল্পসময়ের মধ্যে ২০ লাখ টাকার ফান্ড জোগাড় হয়ে যায়। অতঃপর বসদের ইশারায় ওই প্রভাষককে আবারও জেলার শীর্ষ সরকারী কর্মকর্তার অফিসে ঘুর ঘুর করতে দেখা যায়। কর্তারা সাফ বলে দেন, আপনাদের মধ্যে কোনও ঐক্য নেই। নিউজ হচ্ছে, টিভিতে প্রচার-প্রচারনা হচ্ছে আপনারা লটারী, র‌্যাফেল ড্র, হাইজি চালানোর পাঁয়তারা করছেন, সোস্যাল বিনোদনের নামে অশ্লীল নৃত্য চালাচ্ছেন। আপনারা কয়েকজন মিলে যা ইচ্ছা তাই করবেন অন্যরা শুয়ে শুয়ে ঘুমাবেন, তারা আপনাদেরকে কেন ছাড় দেবেন?

ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি মেলার আয়োজক হিসাবে সর্বত্র প্রচার পেয়েছে অথচ মেলার আয়োজন ও অন্যান্য কার্যাবলী নিয়ে প্রেসক্লাবে কোনও সভা এমনকি প্রস্তুতি সভাপর্যন্ত করা হয়নি বলে কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন। তাঁর জানান, সভা যা হয়েছে তা প্রেসক্লাবের বাইরে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কিংবা রেষ্টুরেন্টে যে কমিটির কমগুরুত্বপুর্ণ নেতা বা ক্লাবের সাধারণ সদস্যদের প্রবেশাধিকার ছিল না। আসলে কমিটির উদ্দেশ্য কি তা নিয়ে জনমনে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে!

(চলবে)

ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি বলেই মেলা বন্ধ

প্রকাশিত সময় ০৫:৩৪:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার:

ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সার্বিক আয়োজন ও তত্ত্বাবধানে পরিচালিত তাঁৎবস্ত্র ও বাণিজ্য মেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল ঈশ্বরদীর এসিল্যান্ড-এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে এটি বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। তবে অনিয়মগুলি কি কি তা জানা যায় নি।

প্রেসক্লাব পরিচালনা কমিটির এক সদস্য বলেছেন, অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে জনৈক জাহাঙ্গীরকে মেলা পরিচালনা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এই জাহাঙ্গীর ইতোপূর্বেও ঈশ্বরদীতে মেলা আয়োজনে ফিল্ড কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন – এরকম অভিজ্ঞতা থাকায় এবারও মেলা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু আয়োজক কমিটির অজ্ঞতার সুযোগে জাহাঙ্গীর তার সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রাত্যহিক কালেকশনের সমুদয় টাকা তৎসহ বিভিন্ন স্টল বরাদ্দবাবদ ও অগ্রিম আরো কমপক্ষে এক কোটি টাকা নিয়ে তিনদিন আগে ঈশ্বরদী থেকে উধাও হয়ে যান। এখন তার মোবাইলও বন্ধ। টাকা উদ্ধার ও আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া যাচ্ছে না কারণ মেলার অনুমতি ছিল প্রেসক্লাব সম্পাদকের নামে যিনি বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে মেলা চালানোর অনুমতি পান। এখানে জাহাঙ্গীর বা অন্যকারো দায়-দায়িত্বের প্রশ্ন ওঠেনা। কথিত আছে এর আগেও জাহাঙ্গীর ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব আয়োজিত এক মেলা থেকে আনুমানিক ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে গা-ঢাঁকা দিয়েছিলেন। সেবারের মত এবারও জাহাঙ্গীরের ভাগ্যের দাড়িপাল্লা তার দিকেই ভর দিয়েছিল কারণ তিনিই তো মেলার বিশেষজ্ঞ, তাকে বাদ দিয়ে মুর্খরা আর কী ভাবতে পারে!

জাহাঙ্গীর জানতেন এবারের মেলা চালিয়ে যাওয়া তারপক্ষে সম্ভব হবে না। সপ্তাহখানেক আগে মেলায় একদল মাস্তানের হামলা হয়েছিল। ওই হামলার সময় সার্কাসের প্যান্ডেল ভাংচুর থেকে শুরু করে বিনোদন স্টেজ থেকে নৃত্যরত মেয়েদের গলার চেইন ছিনতাই পর্যন্ত করা হল। এরপর প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে বৈঠকে পাওনাসংক্রান্ত বিষয়াদি নিস্পত্তি করার পরই হামলাকারীদের থামানো হয়। এখবর মিডিয়ায় না এলেও সব কর্তৃপক্ষই অবগত।

যিনি প্রাত্যহিক কালেকশন থেকে থোকবরাদ্দ বাবদ প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষকে দৈনিক লাম-সাম একটি অংকের অর্থ জমা দিতেন যা থেকে প্রেসক্লাব ফান্ডে কিঞ্চিত পরিমাণ অর্থ জমা রেখে বাদবাকি সিংহভাগ অর্থই ক্লাব কর্মকর্তাদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা হতো। প্রেসক্লাব ও ফিল্ড কর্মকর্তা হিসাবে জাহাঙ্গীরের মধ্যে লিখিত কোনও চুক্তি না থাকায় মেলার শেষটা কারো কাছেই সন্তোষজনক ছিল না। এখানে মেলার সবকিছুই মাত্র একজনের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দেয় তথাকথিত অবৈতনিক প্রভাষক বা লেকচারারকে যাকে বলা যায় – অজ্ঞই এখন বিশেষজ্ঞ আর মূর্খরা এখন জ্ঞানী। অজ্ঞ ও মূর্খ হওয়া দোষের নয়, দোষের হচ্ছে বিজ্ঞ হওয়ার ভান করা।

পর্যবেক্ষকমহল এখনও মনে করেন যে ২০১২ সালের মেলা ও হাউজি থেকে কোটি কোটি টাকা লুট করা হয়েছিল এবং ওই কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কতিপয় সাংবাদিক নেতা ওই টাকা দিয়ে প্রচুর বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছিলেন। পর্যবেক্ষকমহল এও মনে করেন, গত ২৫-৩০ বছরে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের আয়োজনে যত মেলা, লটারী ও হাউজি খেলার আয়োজন করা হয়েছে সেগুলি যদি স্বচ্ছতাসহকারে করা হতো আর লাভের টাকাটা যদি ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব পেতো তাহলে ক্লাবের জায়গায় এখন ১০-তলা ভবন থাকতো।

এবারও একই কায়দায় এগুচ্ছিল সবকিছু কিন্তু ২০ অক্টোবরে মেলা উদ্বোধনের দিনকতক পরথেকেই নতুন দায়িত্ব পাওয়া ক্লাব কর্মকর্তাদের অতিউচ্ছ্বসিত সদাহাস্য মুখায়বব হঠাৎ ম্লান হয়ে গেল। তাদের আশা ছিল এবার তারাও বাড়ি-গাড়ির মালিক হতে পারবেন। কিন্তু আশাভঙ্গ হতে সময় লাগেনি।

শেষ কয়েকদিন মেলার খরচ উঠছিল না এমনকি র‌্যাফেল ড্র’র নামে যেসব টাকা উঠছিল সেগুলো যোগ করেও না। পরে মেলার নেপথ্য কারিগররা বড় বড় ব্যবসায়ীদেরকে শতগুণ লাভ দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে অর্থলগ্নি করতে উৎসাহিত করেন। এতে কাজও হয় স্বল্পসময়ের মধ্যে ২০ লাখ টাকার ফান্ড জোগাড় হয়ে যায়। অতঃপর বসদের ইশারায় ওই প্রভাষককে আবারও জেলার শীর্ষ সরকারী কর্মকর্তার অফিসে ঘুর ঘুর করতে দেখা যায়। কর্তারা সাফ বলে দেন, আপনাদের মধ্যে কোনও ঐক্য নেই। নিউজ হচ্ছে, টিভিতে প্রচার-প্রচারনা হচ্ছে আপনারা লটারী, র‌্যাফেল ড্র, হাইজি চালানোর পাঁয়তারা করছেন, সোস্যাল বিনোদনের নামে অশ্লীল নৃত্য চালাচ্ছেন। আপনারা কয়েকজন মিলে যা ইচ্ছা তাই করবেন অন্যরা শুয়ে শুয়ে ঘুমাবেন, তারা আপনাদেরকে কেন ছাড় দেবেন?

ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি মেলার আয়োজক হিসাবে সর্বত্র প্রচার পেয়েছে অথচ মেলার আয়োজন ও অন্যান্য কার্যাবলী নিয়ে প্রেসক্লাবে কোনও সভা এমনকি প্রস্তুতি সভাপর্যন্ত করা হয়নি বলে কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন। তাঁর জানান, সভা যা হয়েছে তা প্রেসক্লাবের বাইরে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কিংবা রেষ্টুরেন্টে যে কমিটির কমগুরুত্বপুর্ণ নেতা বা ক্লাবের সাধারণ সদস্যদের প্রবেশাধিকার ছিল না। আসলে কমিটির উদ্দেশ্য কি তা নিয়ে জনমনে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে!

(চলবে)