ঢাকা ০৬:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত বিরামপুরের কৃষকরা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৩:০৭:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২
  • / 148

পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত বিরামপুরের কৃষকরা। - স্বতঃকণ্ঠ

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:


দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় অধিক লাভের আশায় পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। নিজ পরিবারের পাশাপাশি দেশের বাজারের চাহিদা পূরণ করতে সবজিটি আবাদ করছেন তাঁরা। ভারতীয় পেঁয়াজের চেয়ে দেশি পেঁয়াজের গুণগত মান ভালো হওয়ায় দাম বেশি পাওয়ার প্রত্যাশা চাষিদের।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বিরামপুর উপজেলার মুকুন্দপুর সবজির মাঠ ঘুরে দেখা যায়, প্রায় মাঠে অন্যান্য রবি শষ্যের পাশাপাশি পেঁয়াজ চাষ করছেন এখানকার কৃষকরা। প্রতিটি জমির একাংশে পেঁয়াজ আবাদ করছেন তাঁরা। আবার অনেকেই বিঘাপ্রতি পেঁয়াজ চাষ করেছেন। 

চাষিরা জানান, বিঘাপ্রতি ৩০ কেজি পটাস, ৫০ কেজি ফসফেট ও ১৫ কেজি ইউরিয়া সারের পাশাপাশি গোবর মিশিয়ে পেঁয়াজ চাষের জমি তৈরি করেছেন তাঁরা। এক বিঘা জমিতে প্রয়োজন হয় ২০ হাজার টাকার পেঁয়াজের বীজ। সব মিলিয়ে মোট খরচ হয় ৪০ হাজার টাকা। আশ্বিন মাস থেকে পেঁয়াজ রোপণ শুরু হয়। অগ্রহায়ণ মাসেই পেঁয়াজ বাজারজাত করেন তাঁরা। গড়ে তিন মাস সময় লাগে এই ফসল ঘরে তুলতে। ভালো ফলন হলে বিঘাপ্রতি ১ লাখ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হবে।

কথা হয় মুকুন্দপুর গ্রামের পেঁয়াজ চাষি আব্দুল হাকিম এর সাথে। তিনি বলেন, ‘বাপ-দাদাদের দেখেছি অনান্য ফসলের পাশাপাশি বাড়ির জন্য কয়েক শতক জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করতে। বর্তমান দেশে পেঁয়াজের চাহিদা এবং দাম ভালো পাওয়ায় আমি এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। গতবারও ভালো দাম পাইছি। আশা করি এবারও দাম ভালোই পাবো।’

কথা হয় অপর পেঁয়াজ চাষি আফজাল হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, ‘এর আগে দেশে পেঁয়াজের অস্থির বাজার ছিলো। ২০০ টাকা কেজি দরেও মানুষকে পেঁয়াজ কিনে খেতে হয়েছিলো। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিলো। যার কারণে দাম বেড়ে যায়। আমরা কৃষকেরা পেঁয়াজ চাষে মনোযোগী হই। পরে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হয়। কিন্তু, এখনো পাইকাররা আমাদের কাছ থেকে ভালো দামে পেঁয়াজ কেনেন। তাই কৃষকরা পেঁয়াজ চাষ করছেন।’

বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল বলেন, ‘চলতি শীত মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে রবিশস্য চাষ করছেন কৃষকেরা। তার মধ্যে ৪ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে। আমরা কৃষকদের বিনামূল্যে বিভিন্ন সবজির বীজসহ সার প্রদান করেছি। আমরা কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে চলেছি।’

এই রকম আরও টপিক

পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত বিরামপুরের কৃষকরা

প্রকাশিত সময় ০৩:০৭:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:


দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় অধিক লাভের আশায় পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। নিজ পরিবারের পাশাপাশি দেশের বাজারের চাহিদা পূরণ করতে সবজিটি আবাদ করছেন তাঁরা। ভারতীয় পেঁয়াজের চেয়ে দেশি পেঁয়াজের গুণগত মান ভালো হওয়ায় দাম বেশি পাওয়ার প্রত্যাশা চাষিদের।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বিরামপুর উপজেলার মুকুন্দপুর সবজির মাঠ ঘুরে দেখা যায়, প্রায় মাঠে অন্যান্য রবি শষ্যের পাশাপাশি পেঁয়াজ চাষ করছেন এখানকার কৃষকরা। প্রতিটি জমির একাংশে পেঁয়াজ আবাদ করছেন তাঁরা। আবার অনেকেই বিঘাপ্রতি পেঁয়াজ চাষ করেছেন। 

চাষিরা জানান, বিঘাপ্রতি ৩০ কেজি পটাস, ৫০ কেজি ফসফেট ও ১৫ কেজি ইউরিয়া সারের পাশাপাশি গোবর মিশিয়ে পেঁয়াজ চাষের জমি তৈরি করেছেন তাঁরা। এক বিঘা জমিতে প্রয়োজন হয় ২০ হাজার টাকার পেঁয়াজের বীজ। সব মিলিয়ে মোট খরচ হয় ৪০ হাজার টাকা। আশ্বিন মাস থেকে পেঁয়াজ রোপণ শুরু হয়। অগ্রহায়ণ মাসেই পেঁয়াজ বাজারজাত করেন তাঁরা। গড়ে তিন মাস সময় লাগে এই ফসল ঘরে তুলতে। ভালো ফলন হলে বিঘাপ্রতি ১ লাখ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হবে।

কথা হয় মুকুন্দপুর গ্রামের পেঁয়াজ চাষি আব্দুল হাকিম এর সাথে। তিনি বলেন, ‘বাপ-দাদাদের দেখেছি অনান্য ফসলের পাশাপাশি বাড়ির জন্য কয়েক শতক জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করতে। বর্তমান দেশে পেঁয়াজের চাহিদা এবং দাম ভালো পাওয়ায় আমি এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। গতবারও ভালো দাম পাইছি। আশা করি এবারও দাম ভালোই পাবো।’

কথা হয় অপর পেঁয়াজ চাষি আফজাল হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, ‘এর আগে দেশে পেঁয়াজের অস্থির বাজার ছিলো। ২০০ টাকা কেজি দরেও মানুষকে পেঁয়াজ কিনে খেতে হয়েছিলো। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিলো। যার কারণে দাম বেড়ে যায়। আমরা কৃষকেরা পেঁয়াজ চাষে মনোযোগী হই। পরে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হয়। কিন্তু, এখনো পাইকাররা আমাদের কাছ থেকে ভালো দামে পেঁয়াজ কেনেন। তাই কৃষকরা পেঁয়াজ চাষ করছেন।’

বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল বলেন, ‘চলতি শীত মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে রবিশস্য চাষ করছেন কৃষকেরা। তার মধ্যে ৪ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে। আমরা কৃষকদের বিনামূল্যে বিভিন্ন সবজির বীজসহ সার প্রদান করেছি। আমরা কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে চলেছি।’