ঢাকা ১১:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪
নিরপত্তার দাবি শহীদ টিংকু লেন কসাইপাড়াবাসীর

পাবনা শহরে বহিরাগতদের উপদ্রবে অতিষ্ট এলাকাবাসী

পাবনা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় ০২:৩৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২
  • / 244

বহিরাগতদের উৎপাতে অতিষ্ট হয়ে এলাকার শৃংখলা ও নিরপত্তার দাবি জানিয়েছে পাবনার পৌর এলাকার শহীদ টিংকু লেন কসাইপাড়া বাসী।

বুধবার সকালে এ ব্যপারে প্রশাসন, আইনশৃংখলা বাহিনী ও পৌর কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তারা। এলাকার প্রায় শতাধিক বাসিন্দার সাক্ষর সম্বলিত অভিযোগ জমা দিয়ে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ চেয়েছেন ভুক্তভোগীরা।


লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগীরা জানান, পাবনা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের সদর থানা সংলগ্ন শহীদ টিংকু লেন (কসাইপাড়া) মহল্লায় প্রায় ৬০ বছরের অধিক সময় ধরে প্রায় ১শত পরিবারের ৪/৫শত মানুষের বসবাস। গত ছয়/সাত বছর যাবৎ এই মহল্লার প্রবেশ পথের মাথায় পর পর চারটি চায়ের দোকান ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। তারা পৌরসভার ড্রেন ও ফুটপাত দখল করে ছাউনী তৈরি করে বসার ব্যবস্থা করেছে। এতেই গত কয়েক বছর যাবৎ এই চায়ের দোকানের কারণে বহিরাগত বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার লোকের সমাগম ঘটে প্রতিদিন।


সন্ধ্যার পর থেকে বিভিন্ন এলাকার বখাটে ও মাদকসেবীরা এই এলাকায় ভীড় জমায় এবং মহল্লার বিভিন্ন বাড়িতে থাকা নারীদের উত্যক্ত করে। তাদের কারণে জরুরী প্রয়োজনেও মহল্লার মানুষ বাহিরে বের হতে পারে না। বের হলেও তাদের দ্বারা নানা রকম হেনস্তার স্বীকার হয়। চায়ের দোকানীদের এ ব্যাপারে বার বার অনুরোধ ও সতর্ক করার পরেও পরিস্থির কোন পরিবর্তন হয় নাই। এর পাশাপাশি সারাদিনই বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধিরা তাদের মোটর সাইকেল নিয়ে এখানে দীর্ঘ সময় অবস্থান করে। শত শত মোটর সাইকেল মহল্লার বাড়ির সামনে সহ যত্রতত্র পার্কিং করে রাখায় অসুস্থ রোগীর জন্য এম্বুলেন্স, শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের জন্য রিক্সা কিংবা কোন ধরনের যানবাহনই মহল্লার মধ্যে প্রবেশ করতে পারে না। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের চলাচলে চরম অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে।

এ নিয়ে প্রায়শই মহল্লারবাসীর সাথে বহিরাগতদের কথা কাটাকাটি, সংঘর্ষ ও গুলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। ,সম্প্রতি তাদের বখাটে ও মাদকসেবীদের উৎপাত আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতিতে আবাসিক এলাকার নিরাপত্তা ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে চায়ের দোকানগুলো এলাকা থেকে উচ্ছেদ করা অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে।


শহীদ টিংকু লেনের বাসিন্দা সাগর জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমি অসুস্থ বাচ্চা ও আমার মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলাম। গলির মুখে বহিরাগত এক যুবক মোটর সাইকেল নিয়ে আমার মায়ের পায়ের উপর তুলে দেয়। আমি প্রতিবাদ জানালে সে মারমুখী আচরণ করে। কথা কাটাকাটি থেকে তার সাথে এলাকার ছেলেদের মারামারি বেঁধে যায়। পরে তারা আমাদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এরকম ঘটনা প্রায় প্রতিদিন ঘটছে । এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।


একই এলাকার আহসানুল হাসান বলেন, এটি আবাসিক এলাকা হলেও সন্ধ্যার পর থেকে এটি যেনো হাটে পরিণত হয়। বহিরাগততের চেঁচামেচিতে বাচ্চাদের লেখাপড়ায় চরম বিঘ্ন ঘটে। মেয়েরা বাড়ি থেকে জরুরী প্রয়োজনেও বের হতে পারে না। আমরা এ থেকে পরিত্রাণ চাই।


এ বিষয়ে পাবনা পৌরসভার মেয়র শরিফ উদ্দিন প্রধান বলেন, এলাকাবাসীর কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিরপত্তার দাবি শহীদ টিংকু লেন কসাইপাড়াবাসীর

পাবনা শহরে বহিরাগতদের উপদ্রবে অতিষ্ট এলাকাবাসী

প্রকাশিত সময় ০২:৩৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২

বহিরাগতদের উৎপাতে অতিষ্ট হয়ে এলাকার শৃংখলা ও নিরপত্তার দাবি জানিয়েছে পাবনার পৌর এলাকার শহীদ টিংকু লেন কসাইপাড়া বাসী।

বুধবার সকালে এ ব্যপারে প্রশাসন, আইনশৃংখলা বাহিনী ও পৌর কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তারা। এলাকার প্রায় শতাধিক বাসিন্দার সাক্ষর সম্বলিত অভিযোগ জমা দিয়ে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ চেয়েছেন ভুক্তভোগীরা।


লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগীরা জানান, পাবনা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের সদর থানা সংলগ্ন শহীদ টিংকু লেন (কসাইপাড়া) মহল্লায় প্রায় ৬০ বছরের অধিক সময় ধরে প্রায় ১শত পরিবারের ৪/৫শত মানুষের বসবাস। গত ছয়/সাত বছর যাবৎ এই মহল্লার প্রবেশ পথের মাথায় পর পর চারটি চায়ের দোকান ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। তারা পৌরসভার ড্রেন ও ফুটপাত দখল করে ছাউনী তৈরি করে বসার ব্যবস্থা করেছে। এতেই গত কয়েক বছর যাবৎ এই চায়ের দোকানের কারণে বহিরাগত বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার লোকের সমাগম ঘটে প্রতিদিন।


সন্ধ্যার পর থেকে বিভিন্ন এলাকার বখাটে ও মাদকসেবীরা এই এলাকায় ভীড় জমায় এবং মহল্লার বিভিন্ন বাড়িতে থাকা নারীদের উত্যক্ত করে। তাদের কারণে জরুরী প্রয়োজনেও মহল্লার মানুষ বাহিরে বের হতে পারে না। বের হলেও তাদের দ্বারা নানা রকম হেনস্তার স্বীকার হয়। চায়ের দোকানীদের এ ব্যাপারে বার বার অনুরোধ ও সতর্ক করার পরেও পরিস্থির কোন পরিবর্তন হয় নাই। এর পাশাপাশি সারাদিনই বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধিরা তাদের মোটর সাইকেল নিয়ে এখানে দীর্ঘ সময় অবস্থান করে। শত শত মোটর সাইকেল মহল্লার বাড়ির সামনে সহ যত্রতত্র পার্কিং করে রাখায় অসুস্থ রোগীর জন্য এম্বুলেন্স, শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের জন্য রিক্সা কিংবা কোন ধরনের যানবাহনই মহল্লার মধ্যে প্রবেশ করতে পারে না। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের চলাচলে চরম অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে।

এ নিয়ে প্রায়শই মহল্লারবাসীর সাথে বহিরাগতদের কথা কাটাকাটি, সংঘর্ষ ও গুলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। ,সম্প্রতি তাদের বখাটে ও মাদকসেবীদের উৎপাত আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতিতে আবাসিক এলাকার নিরাপত্তা ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে চায়ের দোকানগুলো এলাকা থেকে উচ্ছেদ করা অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে।


শহীদ টিংকু লেনের বাসিন্দা সাগর জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমি অসুস্থ বাচ্চা ও আমার মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলাম। গলির মুখে বহিরাগত এক যুবক মোটর সাইকেল নিয়ে আমার মায়ের পায়ের উপর তুলে দেয়। আমি প্রতিবাদ জানালে সে মারমুখী আচরণ করে। কথা কাটাকাটি থেকে তার সাথে এলাকার ছেলেদের মারামারি বেঁধে যায়। পরে তারা আমাদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এরকম ঘটনা প্রায় প্রতিদিন ঘটছে । এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।


একই এলাকার আহসানুল হাসান বলেন, এটি আবাসিক এলাকা হলেও সন্ধ্যার পর থেকে এটি যেনো হাটে পরিণত হয়। বহিরাগততের চেঁচামেচিতে বাচ্চাদের লেখাপড়ায় চরম বিঘ্ন ঘটে। মেয়েরা বাড়ি থেকে জরুরী প্রয়োজনেও বের হতে পারে না। আমরা এ থেকে পরিত্রাণ চাই।


এ বিষয়ে পাবনা পৌরসভার মেয়র শরিফ উদ্দিন প্রধান বলেন, এলাকাবাসীর কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।