পাবনায় জমি জবরদখলের চেষ্টার অভিযোগ
- প্রকাশিত সময় ১১:৪০:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২
- / 104
পাবনার দোগাছি কায়েমকোলা গ্রামের মৃত আয়েজউদ্দিনের ছেলে রাজ্জাক (৫৫) এর বিরুদ্ধে জমি জবরদখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সুত্রে এই প্রতিবেদক সরেজমিনে গিয় ঘটনার সত্যতা জানতে পেরেছেন। সুবোধ জোয়ার্দ্দার নামে এক ব্যক্তি তার বর ভাইয়ের ছেল রমেন্দ্রনাথের কাছ থেকে ২০০৯ সালে ১৫ শতাংশ জমি কেনা বাবদ ৩ লক্ষ টাকা মূল্যের রেজিস্ট্রি বায়না করেন। কিন্তু রমেন্দ্রনাথ বয়নার পর গোপনে ১ লক্ষ টাকা বেশি মূল্যে মোফাজ্জলের কাছে ৪ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে পালিয়ে যায়।
তারপর সুবোধ জোয়ার্দ্দার বায়নাকৃত জমিটি ফেরত পাবার আশায় ২০১২ সালের জানুয়ারীর ২৩ তারিখে যুগ্ন জেলা জজ প্রথম আদালতে পিএস ৩৬/১২ নং মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটি সদর সহকারী জজ আদালতে স্থানান্তরিত হয়ে পিএস ১৪৩৬/২১ নং যুক্ত হয়েছে। পরবর্তীতে বিবাদী মোফাজ্জল মারা গেলে তার ওয়ারিশ রাজ্জাক গং বিবাদী হন।
২০ মার্চ ২০২০ তারিখে সদর সহকারী জজ আদালত জমিটিতে উভয়পক্ষের উপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন। অর্থাৎ আদালত কর্তৃক পরবর্তী কোন আদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত জমিতে কোন পক্ষই কোন প্রকার অধিকার বা দখল করতে পারবেনা। কিন্তু রাজ্জাকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে বাদি পক্ষ বলেন এ আদেশ জারির পর বিবাদি পক্ষ কিছুদিন নিরব ভূমিকা পালন করেন।
কিন্তু দেখা যায় কিছুদিন পর এবছরের ২০ অক্টোবর রাত আনুমানিক ১১টার দিকে রাজ্জাক আদালতের আদেশ কে অমান্য করে রাতের আঁধারে গাছপালা কেটে সেই নালিশি জমির উপর বালু ফেলে গর্ত ভরাট করে যবরদখলের চেষ্টা করেন। ঘটনাটি টের পেয়ে আমরা তখন ট্রিপল নাইনে ফোন দিলে ঘটনাস্থলে তৎক্ষণাৎ ওই এলাকায় ডিউটিরত মোবাইল পুলিশ গিয়ে উপস্থিত হলে তারা বালু ফেলা বন্ধ করে। পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে তারা আবার বালু ফেলা শুরু করে এবং তারা বাধা দিলে তাদেরকে জানে মের ফেলার হুমকি প্রদান করে বলে
বাদি পক্ষ বলরাম রাজ্জাক ও মোকলেছুরকে আসামি করে পাবনা সদর থানায় একটি জিড করেন যার নম্বর ১৮৬১।
ঘটনা সত্যতা জানতে এই প্রতিবেদক সেই রাতে ঘটনাস্থলে যাওয়া পাবনা সদর থানার এসআই রুহুল আমিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান সেই রাত্রে আমি ওই এলাকয় ডিউটিতে ছিলাম। ট্রিপল নাইন থেকে আমার কাছে খবর আসলে দ্রুত সেখানে পৌঁছাই। তখন আদালতের নির্দেশের কাগজ দেখে তাদেরকে বালু ফেলতে নিষেধ করি। আমি চলে আসলে তারা আবার বালু ফেলে। বালু ফেলা বন্ধ করতে সেই রাতে আমাকে চারবার সেখানে যেতে হয়েছে।
এব্যপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন আমরা রাতের আঁধারে বালু ফেলতে দেখেছি।
বিবাদী রাজ্জাক বলেন ওখানে বালু আগে থেকেই স্তুপাকারে ফেলা ছিল আর আমরা কোনও গাছ কাটিনাই আমরা শুধু বালুটা ছড়িয়ে দিতে গিয়েছিলাম।
এ ব্যাপারে বাদি পক্ষের আইনজীবি মধুসূদন বলেন শরিকানা বসত জমি শরিকদের না জানিয়ে বাইরে বিক্রি করা আইনত অবৈধ। আমরা মামলা লরছি আদালত বিজ্ঞ, রায় আমাদের পক্ষেই আসবে।
বিবাদী পক্ষের আইনজীবী খন্দকার আতাউর রহমান বলেন আদালতের প্রতি আমাদের ভরসা আছে যে রায় দেবেন আমরা মাথা পেতে নেব।