ঢাকা ০২:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

বিএম কন্টেইনার বিস্ফোরণের ৫ মাস পর বেরিয়ে এলো ফেনীর ইয়াছিনের লাশ

ফেনী প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত সময় ০৬:২০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২
  • / 88

নিহত ইয়াছিন। বিএম কনটেইনার ডিপোর পরিচালক ছিলেন। বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে মৃত্যুর শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আগুনের দৃশ্য লাইভে দেখিয়েছিলেন তিনি।


চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ৫ মাস পর সেই ইয়াছিন মিয়ার লাশ বুঝে পেলেন পরিবার। বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে ডিপো কর্তৃপক্ষ বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত মো. ইয়াছিনের মরদেহ তার বাবা বদিউল আলমকে বুঝিয়ে দেয়। তার বাড়ি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের গোসাইপুর গ্রামে।

নিহত ইয়াছিন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বিএম কনটেইনার ডিপোর পরিচালক ছিলেন। বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে মৃত্যুর শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আগুনের দৃশ্য লাইভে দেখিয়েছিলেন তিনি। 

ইয়াছিনের পরিবার সূত্রে জানা যায়,  গত ৫ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে ইয়াছিনের কোনো সন্ধান পাচ্ছিল না পরিবার। ছেলেকে জীবিত বা মৃত পাওয়ার জন্য ঘটনার পরপরই সীতাকুণ্ড ও চট্টগ্রামে গিয়েছিলেন ইয়াছিনের বাবা বদিউল আলম। খুঁজেছেন বিভিন্ন হাসপাতালেও, কিন্তু কোথাও সন্ধান পাননি। তখন ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনাও দিয়ে এসেছিলেন তিনি।

ইয়াছিনের বাবা বদিউল আলম জানান, প্রায় ৯ থেকে ১০ বছর আগে বিএম কনটেইনার ডিপোতে গাড়ি চালকের সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন ইয়াছিন। দুই বছর আগে পদোন্নতি পেয়ে ডিপোর পরিচালক হন। বিস্ফোরণের সময় ইয়াছিন ডিপোতেই ছিলেন। অনেক আগেই ছেলেকে জীবিত পাওয়ার আসা ছেড়ে দিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে প্রতি সপ্তাহে চট্টগ্রাম গিয়ে ছেলের খোঁজ নিতেন তার ধারাবাহিকভাবে কয়েক দিন আগেও ছেলের খোঁজে চট্টগ্রামে গিয়েছিলেন। তখন জানানো হয়, আরও কয়েকটি লাশ আছে। পরিচয় নিশ্চিত হলে জানানো হবে।

ইয়াছিনের ভাই মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, বিস্ফোরণের রাতে ডিপোতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ইয়াছিন। অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য তিনি মোবাইল ফোনে লাইভ দিয়েছিলেন। সেই লাইভ দেখে তিনি (ইউসুফ) তার কাছ থেকে অগ্নিকাণ্ডের খবর জানতে ফোন দিয়েছিলেন। তখন ইয়াছিন ফোনে বলেছিলেন, আগুনের ভয়াবহতা অনেক। আমার জন্য দোয়া করিস। এর কিছুক্ষণ পর তার লাইভ বন্ধ হয়ে যায়। মুহূর্তেই মোবাইলের পর্দা অন্ধকার হয়ে যায়। এরপর থেকে ইয়াছিনের খোঁজ মেলেনি।

ইয়াসিনের মা বলেন, অন্তত নিজেদের পারিবারিক কবরস্থানে আমার ছেলের কবর হবে, এটাই এখন আমাদের সান্ত্বনা।

বিএম কন্টেইনার বিস্ফোরণের ৫ মাস পর বেরিয়ে এলো ফেনীর ইয়াছিনের লাশ

প্রকাশিত সময় ০৬:২০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ৫ মাস পর সেই ইয়াছিন মিয়ার লাশ বুঝে পেলেন পরিবার। বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে ডিপো কর্তৃপক্ষ বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত মো. ইয়াছিনের মরদেহ তার বাবা বদিউল আলমকে বুঝিয়ে দেয়। তার বাড়ি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের গোসাইপুর গ্রামে।

নিহত ইয়াছিন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বিএম কনটেইনার ডিপোর পরিচালক ছিলেন। বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে মৃত্যুর শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আগুনের দৃশ্য লাইভে দেখিয়েছিলেন তিনি। 

ইয়াছিনের পরিবার সূত্রে জানা যায়,  গত ৫ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে ইয়াছিনের কোনো সন্ধান পাচ্ছিল না পরিবার। ছেলেকে জীবিত বা মৃত পাওয়ার জন্য ঘটনার পরপরই সীতাকুণ্ড ও চট্টগ্রামে গিয়েছিলেন ইয়াছিনের বাবা বদিউল আলম। খুঁজেছেন বিভিন্ন হাসপাতালেও, কিন্তু কোথাও সন্ধান পাননি। তখন ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনাও দিয়ে এসেছিলেন তিনি।

ইয়াছিনের বাবা বদিউল আলম জানান, প্রায় ৯ থেকে ১০ বছর আগে বিএম কনটেইনার ডিপোতে গাড়ি চালকের সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন ইয়াছিন। দুই বছর আগে পদোন্নতি পেয়ে ডিপোর পরিচালক হন। বিস্ফোরণের সময় ইয়াছিন ডিপোতেই ছিলেন। অনেক আগেই ছেলেকে জীবিত পাওয়ার আসা ছেড়ে দিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে প্রতি সপ্তাহে চট্টগ্রাম গিয়ে ছেলের খোঁজ নিতেন তার ধারাবাহিকভাবে কয়েক দিন আগেও ছেলের খোঁজে চট্টগ্রামে গিয়েছিলেন। তখন জানানো হয়, আরও কয়েকটি লাশ আছে। পরিচয় নিশ্চিত হলে জানানো হবে।

ইয়াছিনের ভাই মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, বিস্ফোরণের রাতে ডিপোতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ইয়াছিন। অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য তিনি মোবাইল ফোনে লাইভ দিয়েছিলেন। সেই লাইভ দেখে তিনি (ইউসুফ) তার কাছ থেকে অগ্নিকাণ্ডের খবর জানতে ফোন দিয়েছিলেন। তখন ইয়াছিন ফোনে বলেছিলেন, আগুনের ভয়াবহতা অনেক। আমার জন্য দোয়া করিস। এর কিছুক্ষণ পর তার লাইভ বন্ধ হয়ে যায়। মুহূর্তেই মোবাইলের পর্দা অন্ধকার হয়ে যায়। এরপর থেকে ইয়াছিনের খোঁজ মেলেনি।

ইয়াসিনের মা বলেন, অন্তত নিজেদের পারিবারিক কবরস্থানে আমার ছেলের কবর হবে, এটাই এখন আমাদের সান্ত্বনা।