মাচায় দুলছে শিম, আশার স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা
- প্রকাশিত সময় ০৫:৫৮:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২
- / 144
চলতি রবি মৌসুমে শিমর মাচায় দুলছে চাষীর আশার স্বপ্ন। রঙ্গিন ফুল আর সবুজ ফলের সাথে চাষীর মুখের ফুটে উঠেছে মিষ্টি হাসি। বেগুনি রঙ্গের মনোমুগ্ধকর ফুলে প্রকৃতি সেজেছে দারুণ মুগ্ধতায়। মৌসুম শুরুর আগেই এমন মনোরম দৃশ্যে মাচায় ভরে আছে চিলাহাটি এলাকার শিম বাগান। বিরামপুর পৌর শহরের মাহমুদপুর এবং উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নে বালুপাড়া গ্রামে আগাম শিম চাষ করে ভাল ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন ওই এলাকার কৃষকেরা। শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম শিম। কয়েক বছর ধরে এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে আগাম জাতের শিম। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে বেশী লাভ হওয়ায় দিনদিন এই আবাদে ঝুঁকছেন চাষিরা। আগাম বাজারে নামাতে পারলে ভালো দাম পাওয়া যাবে এমন প্রত্যাশা কৃষকদের।
কথা হয় পৌর শহরের মাহমুদপুর গ্রামের শিম চাষী হাফিজুলের সাথে। তিনি বলেন, ৯ শতক জমিতে শিম চাষ করেছি, এতে খরচ হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত উৎপাদিত শিম বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৬ হাজার টাকা। আশা করছি, এবার শিম বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো। আবহাওয়া ও জমি চাষের উপযোগী হওয়ায় শিমের ভাল ফলন হয়েছে। এছাড়া বাজারে দাম ভাল থাকায় এবার আগাম জাতের শিম চাষ করেছি। একই মাঠের কথা হয় আরেক শিম চাষি হবিবর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, আমি প্রতি বছর বিভিন্ন জাতের আগাম সবজি চাষ করে থাকি। আবহাওয়া অনুকুল থাকায় এবছর ২০ শতক জমিতে শিম চাষ করছি। তবে গত বছরের তুলনায় এবছর জ্বালানী তেলসহ অন্যান্য জিনিসের দাম অনেক বেশি। যে কারণে সবজি চাষে খরচও আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। তবে আশা করছি এবার ভালো ফলন পাব, দামও ভালো পাবো।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল বলেন, বিরামপুর উপজেলার মাটি খুবই উর্বর এবং চাষ উপযোগী হওয়ায় এখানকার কৃষকদের সবজি বাগান গড়ে তোলার জন্য কৃষি বিভাগ সার্বিক পরার্মশ দিচ্ছে। রবি’র চলতি মৌসুমে পুরো উপজেলায় প্রায় সাড়ে ১২ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।