ভাটামালিক মুক্তার মোল্লার কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
- প্রকাশিত সময় ০৫:১৫:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২
- / 108
কোনো রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই পাবনার ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে বসতি এলাকায় গড়ে উঠেছে অবৈধ ইটভাটা। এ ইটভাটার কারনে পরিবেশের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়েছে।
এই ইটভাটায় কাজ করানোর জন্য নেওয়া হয়েছে উঠতি বয়সী শিশুদের ।
ভবানীপুর গ্রামের এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, আমাদের গ্রামে প্রায় ১০০ টি পরিবার রয়েছে। ইটভাটার ধোয়া পরিবেশের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ছে। এখানে শিশুদের দিয়ে ইটভাটার কাজ করায় ভাটা মালিক।
ঐ এলাকার মাহবুব নামের এক ব্যাক্তি জানায়, ইটভাটা হওয়ার পর থেকে এই রাস্তায় কুত্তা গাড়ি, পাওয়ার টিলার, ড্রামট্রাক, ট্রাক্টর ইত্যাদী চলাচলের কারনে আমাদের বাচ্চারা রাস্তায় উঠতে পারেনা।
উঠলেও অনেক ঝুকিতে পড়তে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানায়, মাঝে মাঝে দেখি বিভিন্ন অফিসার আসে ভাটায়। ভাটায় সিসি ক্যামেরা থাকলেও গোপন রুমে মিটিং করে আবার বের হয়ে চলে যায়।
একই এলাকার সেলিম হোসেন নামের এক ব্যাক্তি জানায়, এই ভাটার মালিকের নাম মুক্তার মোল্লা, ভাটার ইটের নাম আর. কে. বি.। এই ভাটায় যে মাটি দিয়ে ইট বানানো হয় সেগুলো কৃষি জমি থেকে কেটে আনা হয়৷ আর এখানে ভারী যানবাহন চলাচলের কারনে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানায়, মুক্তার মোল্লার বাড়ি টেবুনিয়া বাজার এলাকায়। তার নাকী অনেক আত্বীয় স্বজন আছে সকলেই মাস্তান। এদের সন্ত্রাসী বাহিনী আছে৷ এদের বিরুদ্ধে কথা বললে এলাকায় টিকে থাকতে পারব না। একারনে আমরা মুখ খুলিনা
এ সকল বিষয়ে ভাটা মালিক মুক্তার মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল কাগজপত্র ঠিকঠাক করেই ভাটার কাজ শুরু করেছি বলে জানায়।
তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল ইসলাম জানায়, আর .কে.বি নামক ভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র নেই। অবৈধভাবে চলছে এই ভাটা। অতি দ্রুত এ ভাটার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।