ঢাকা ০৭:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

বড়াইগ্রামে বিনা দোষে কারাবাসে যুবক, দ্রুত মুক্তিসহ ক্ষতিপূরণের দাবি

নাটোর প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত সময় ১১:০২:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২
  • / 69

বড়াইগ্রাম উপজেলার মানচিত্র


নাটোরের বড়াইগ্রামে পুলিশী তদন্ত না করে মামলা রেকর্ডের ফলে বিনা দোষে কারাবাসে দিন-রাত কাটাচ্ছেন এক যুবক। এতে ওই যুবকের পরিবার ও গ্রামবাসী পুলিশের দায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

কারাগারে আটক ওই যুবকের পরিবার ও সুশীল সমাজ সহ মানবাধিকার কর্মীরা দ্রæত নির্দোষ ওই যু¦বকের মুক্তি দেওয়া সহ এ ঘটনায় ওই নির্দোষ যুবককে ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি মিথ্যা মামলা দায়েরকারীকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি করেছেন। কারাবাসে আটক ওই যুবকের নাম জিয়ারুল ইসলাম জিনার (৩৮)।

সে বড়াইগ্রামের জোনাইল ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তাকে গত সোমবার গভীর রাতে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ আটক করে ও পরের দিন জেল হাজতে প্রেরণ করে।


জানা যায়, স্থানীয় ভিন্ন একটি চেকের মামলায় জিয়ারুল স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি আরিফ হোসেনের ঘনিষ্ট সহযোগী মাসুদ রানার বিরুদ্ধে বড়াইগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাক্ষী দিলে এতে ক্ষিপ্ত হয় ওই আরিফ। পরে থানা চত্বরে জিয়ারুলকে ওই আরিফ হুমকি দিয়ে বলেন ‘আজই তোকে হাজতে পাঠাবো’।

এরপর সোমবার সন্ধ্যায় নিজের খালা নাজিরপুর গ্রামের রাবেয়া বেগমকে বাদী করে স্থানীয় একটি মারামারি মামলায় ২ নং আসামী হিসেবে জিয়ারুল ইসলাম জিনারের নাম লিপিবদ্ধ করে থানায় এজাহার দায়ের করেন। সেখানে জিয়ারুল ধারালো হাসুয়া দিয়ে কোপ দেওয়ার কথা লেখা রয়েছে। কিন্তু ওই মারামারির সাথে কোনই সংশ্লিষ্টতা নাই জিয়ারুলের। এমনকি মামলার বাদী রাবেয়া বেগম নিজেই জানেন না যে ২ নং আসামীর নাম হিসেবে জিয়ারুলের নাম রয়েছে। উনি এই নাম অন্তর্ভূক্তের জন্য ভাগ্নে আরিফকে দায়ী করেছেন।


মারামারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রবিউল ইসলাম দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, তদন্ত না করে মামলা রেকর্ড করা ও জিয়ারুলকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করাটা একটি বড় ধরণের মিসটেক। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, চার্জসীটে জিয়ারুলের নাম বাদ দেওয়া হবে।


বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। জিয়ারুল যেনো অযথা হয়রানী না হয় ও যেনো দ্রুত এই মামলা থেকে অব্যহতি পায় তার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বড়াইগ্রামে বিনা দোষে কারাবাসে যুবক, দ্রুত মুক্তিসহ ক্ষতিপূরণের দাবি

প্রকাশিত সময় ১১:০২:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

নাটোরের বড়াইগ্রামে পুলিশী তদন্ত না করে মামলা রেকর্ডের ফলে বিনা দোষে কারাবাসে দিন-রাত কাটাচ্ছেন এক যুবক। এতে ওই যুবকের পরিবার ও গ্রামবাসী পুলিশের দায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

কারাগারে আটক ওই যুবকের পরিবার ও সুশীল সমাজ সহ মানবাধিকার কর্মীরা দ্রæত নির্দোষ ওই যু¦বকের মুক্তি দেওয়া সহ এ ঘটনায় ওই নির্দোষ যুবককে ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি মিথ্যা মামলা দায়েরকারীকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি করেছেন। কারাবাসে আটক ওই যুবকের নাম জিয়ারুল ইসলাম জিনার (৩৮)।

সে বড়াইগ্রামের জোনাইল ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তাকে গত সোমবার গভীর রাতে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ আটক করে ও পরের দিন জেল হাজতে প্রেরণ করে।


জানা যায়, স্থানীয় ভিন্ন একটি চেকের মামলায় জিয়ারুল স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি আরিফ হোসেনের ঘনিষ্ট সহযোগী মাসুদ রানার বিরুদ্ধে বড়াইগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাক্ষী দিলে এতে ক্ষিপ্ত হয় ওই আরিফ। পরে থানা চত্বরে জিয়ারুলকে ওই আরিফ হুমকি দিয়ে বলেন ‘আজই তোকে হাজতে পাঠাবো’।

এরপর সোমবার সন্ধ্যায় নিজের খালা নাজিরপুর গ্রামের রাবেয়া বেগমকে বাদী করে স্থানীয় একটি মারামারি মামলায় ২ নং আসামী হিসেবে জিয়ারুল ইসলাম জিনারের নাম লিপিবদ্ধ করে থানায় এজাহার দায়ের করেন। সেখানে জিয়ারুল ধারালো হাসুয়া দিয়ে কোপ দেওয়ার কথা লেখা রয়েছে। কিন্তু ওই মারামারির সাথে কোনই সংশ্লিষ্টতা নাই জিয়ারুলের। এমনকি মামলার বাদী রাবেয়া বেগম নিজেই জানেন না যে ২ নং আসামীর নাম হিসেবে জিয়ারুলের নাম রয়েছে। উনি এই নাম অন্তর্ভূক্তের জন্য ভাগ্নে আরিফকে দায়ী করেছেন।


মারামারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রবিউল ইসলাম দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, তদন্ত না করে মামলা রেকর্ড করা ও জিয়ারুলকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করাটা একটি বড় ধরণের মিসটেক। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, চার্জসীটে জিয়ারুলের নাম বাদ দেওয়া হবে।


বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। জিয়ারুল যেনো অযথা হয়রানী না হয় ও যেনো দ্রুত এই মামলা থেকে অব্যহতি পায় তার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।