ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভার সংরক্ষিত ১ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিন গতকাল শুক্রবার (১১/১১) বিকাল স্থানীয় ডাকবাংলো প্রাঙ্গণে তাকে নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় ভিত্তিহীন সংবাদ ও অভিযোগের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ওই কাউন্সিলর বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় নারী উদ্যোক্তা নাম দিয়ে সাবিনা ইয়াসমিন পুতুল আমার মরহুম পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধার বিষয়ে ও আমার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীনভাবে অভিযোগ দিয়ে হয়রানিসহ পত্রিকায় সংবাদ প্রচার করে আমার মানিহানি করছে। আমি নাকি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নই। আমি উপজেলার ধরাভাঙ্গা গ্রামের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ল্যান্স নায়েক ওয়াহিদুজ্জামানের ঔরসজাত সন্তান। আমার জন্ম হওয়ার কিছু দিন পর আমার পিতা ওয়াহিদুজ্জামান মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন শহীদ হন। দেশ স্বাধীনের পর আমার মা’র অন্যত্র বিয়ে হয়। এটাকে নিয়ে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদ প্রচার করা হয়। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এছাড়া ওই পুতুল আমার বিরুদ্ধে এক মহিলা দিয়ে থানায় মিথ্যা চাঁদাবাদীর অভিযোগ করেন। সাংবাদিকগণ সত্যের প্রতীক, আপনাদের নিকট আমার অনুরোধ থাকবে সত্য উদঘাটন করে সংবাদ পরিবেশন করা। এসময় স্থানীয় সাংবাদিকগণসহ ওই কাউন্সিলরের পরিবারবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত তার গর্ভধারিনী মা সুরাইয়া খাতুন বলেন, নিলুফা আমার আগের স্বামী ওয়াহিদুজ্জামানের সন্তান যিনি নিলুফার জন্মের কিছুদিন পরই যুদ্ধে গিয়ে মারা যান।

বর্তমানে তার পালক পিতা আব্দুর রহিম বলেন, নিলুফা ওয়াহিদুজ্জামানের মেয়ে, সে আমার ঔরসজাত সন্তান নয়। আমি তাকে লালন পালন করে বড় করেছি।