ঢাকা ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

বিরামপুরে নির্ঘুম ব্যস্ততায় পতাকা নির্মাতারা

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত সময় ০৬:২৮:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২
  • / 86

বিরামপুরে নির্ঘুম রাত কাটছে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানীর সমর্থকদের জন্য পতাকা তৈরির টেইলরদের। ছবি: স্বতঃকণ্ঠ


বিশ্বকাপ শুরুর সময় যত ঘনিয়ে আসছে, উন্মাদনা যেন তত বাড়ছে। তবে দিনাজপুরের বিরামপুরে ফুটবল ভক্তদের পছন্দের দেশের পতাকা তৈরির ব্যস্ততা শুরু হয়েছে আরো আগেই।

প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে এক থেকে দেড় হাজার ছোট বড় পতাকা। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ব্যস্ততম দিন কাটছে এ উপজেলার পতাকা নির্মাতাদের। নিজ দেশের পতাকা নয়, নেইমারের ব্রাজিল, মেসির আর্জেন্টিনা, জার্মানী সহ বিভিন্ন দেশের পতাকা বানাচ্ছেন তারা।

গতকাল রবিবার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ড্রেসকো টেইলার্সে পতাকা তৈরীতে দারুণ ব্যস্ততা নির্মাতাদের। কাতার বিশ্বকাপ সামনে রেখে দম ফেলানোর সময় নেই যেন তাদের।

কথা হয় বিরামপুর পৌর শহরের হাজী মার্কেটের সামনে ড্রেসকো টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে। তিনি দৈনিক দেশবাংলাকে বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে পতাকা তৈরীর কাজ করে যাচ্ছি। কোনো কোনো দিন গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন কয়েক’শ পতাকা তৈরি করছি। আজ যেমন ব্রাজিলের ১৫টি, আর্জেন্টিনার ২০টি, জার্মানির ৭টি পতাকা তৈরি করেছি। প্রতিদিনই পতাকা তৈরীর ব্যস্ততা বেড়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সাপোর্টারদের পতাকা তৈরি করে দিলেও মনে প্রানে তিনি আর্জেন্টিনার একজন ভক্ত বলে জানান।

ফুটবল সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা, তাই প্রতি চার বছর পরপর ফুটবল বিশ্বকাপের উন্মাদনায় মেতে উঠে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ। সেই জন্য বিরামপুর উপজেলার কারিগরদের পতাকা নির্মাণের ব্যস্ততা রয়েছে।

চলতি মাসের ২০ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া কাতার বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও জার্মানীসহ বিভিন্ন দেশের সমর্থকদের রয়েছে বিপুল পরিমাণ পতাকার চাহিদা।

কথা হয় আর্জেন্টিনার পতাকা বানাতে আসা উপজেলার বেপারীটোলা গ্রামের বাদশার সাথে। তিনি দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ কে বলেন, ছোটবেলা থেকেই তিনি আর্জেন্টিনার সাপোর্ট করেন। প্রতিবারের নাই এবারেও তিনি প্রিয় দলকে ভালোবেসে জার্সি, পতাকাসহ বিভিন্ন ধরনের আয়োজন সম্পন্ন করেছেন। এলাকায় দর্শকদের খেলা দেখার জন্য নিজ খরচে ব্যবস্থা করেছেন প্রজেক্টরের। যার মাধ্যমে সকল দলের সমর্থকদের নিয়ে বিশ্বকাপ আনন্দে মেতে উঠতে চান তিনি।

এই রকম আরও টপিক

বিরামপুরে নির্ঘুম ব্যস্ততায় পতাকা নির্মাতারা

প্রকাশিত সময় ০৬:২৮:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

বিশ্বকাপ শুরুর সময় যত ঘনিয়ে আসছে, উন্মাদনা যেন তত বাড়ছে। তবে দিনাজপুরের বিরামপুরে ফুটবল ভক্তদের পছন্দের দেশের পতাকা তৈরির ব্যস্ততা শুরু হয়েছে আরো আগেই।

প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে এক থেকে দেড় হাজার ছোট বড় পতাকা। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ব্যস্ততম দিন কাটছে এ উপজেলার পতাকা নির্মাতাদের। নিজ দেশের পতাকা নয়, নেইমারের ব্রাজিল, মেসির আর্জেন্টিনা, জার্মানী সহ বিভিন্ন দেশের পতাকা বানাচ্ছেন তারা।

গতকাল রবিবার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ড্রেসকো টেইলার্সে পতাকা তৈরীতে দারুণ ব্যস্ততা নির্মাতাদের। কাতার বিশ্বকাপ সামনে রেখে দম ফেলানোর সময় নেই যেন তাদের।

কথা হয় বিরামপুর পৌর শহরের হাজী মার্কেটের সামনে ড্রেসকো টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে। তিনি দৈনিক দেশবাংলাকে বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে পতাকা তৈরীর কাজ করে যাচ্ছি। কোনো কোনো দিন গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন কয়েক’শ পতাকা তৈরি করছি। আজ যেমন ব্রাজিলের ১৫টি, আর্জেন্টিনার ২০টি, জার্মানির ৭টি পতাকা তৈরি করেছি। প্রতিদিনই পতাকা তৈরীর ব্যস্ততা বেড়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সাপোর্টারদের পতাকা তৈরি করে দিলেও মনে প্রানে তিনি আর্জেন্টিনার একজন ভক্ত বলে জানান।

ফুটবল সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা, তাই প্রতি চার বছর পরপর ফুটবল বিশ্বকাপের উন্মাদনায় মেতে উঠে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ। সেই জন্য বিরামপুর উপজেলার কারিগরদের পতাকা নির্মাণের ব্যস্ততা রয়েছে।

চলতি মাসের ২০ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া কাতার বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও জার্মানীসহ বিভিন্ন দেশের সমর্থকদের রয়েছে বিপুল পরিমাণ পতাকার চাহিদা।

কথা হয় আর্জেন্টিনার পতাকা বানাতে আসা উপজেলার বেপারীটোলা গ্রামের বাদশার সাথে। তিনি দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ কে বলেন, ছোটবেলা থেকেই তিনি আর্জেন্টিনার সাপোর্ট করেন। প্রতিবারের নাই এবারেও তিনি প্রিয় দলকে ভালোবেসে জার্সি, পতাকাসহ বিভিন্ন ধরনের আয়োজন সম্পন্ন করেছেন। এলাকায় দর্শকদের খেলা দেখার জন্য নিজ খরচে ব্যবস্থা করেছেন প্রজেক্টরের। যার মাধ্যমে সকল দলের সমর্থকদের নিয়ে বিশ্বকাপ আনন্দে মেতে উঠতে চান তিনি।