ঢাকা ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

তাড়াশে বিয়ের রেজিস্ট্রিতে কাবিন আকাশ ছোঁয়া: জেলা অফিসে অভিযোগ

তাড়াশ প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত সময় ১২:৫১:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২
  • / 220

ছবি: স্বতঃকণ্ঠ


সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিয়ের রেজিষ্টারে কাবিলের টাকা আকাশ ছেঁায়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা নিকাহ রেজিষ্টার অফিসসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যক্তি।

বিগত ১/৯/২০১৭ তারিখে উপজেলার তাড়াশ পৌরসভার উলিপুর গ্রামের মোঃ আরশেদ আলীর ছেলে মোঃ মোতালেব হোসেনের সহিত একই গ্রামের মোঃ আবু বক্কারের মেয়ে মোছাঃ হাবিবা খাতুন (সুমি)’র বিবাহ হয়। দেশীগ্রাম ইউনিয়ন নিকাহ রেজিষ্টার মোঃ মোবারক হোসেন কাজি বিবাহ রেজিষ্টারে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেন মোহর ধার্য করে লিপিবদ্ধ করেন। এর পর থেকেই ছেলে মোঃ মোতালেব হোসেন বিবাহর রেজিষ্টারের নকল কপি চাইলে কাজি মোঃ মোবারক হোসেন তাল বাহানা করতে থাকে। এক পর্যায়ে জোড় দাবিতে বিবাহর নকল চাইলে কাজি মোঃ মোবারক হোসেন বলেন কাবিলের জাবেদা দেওয়া যাবেনা। পরে ওই গ্রামের আব্দুল মালেক কাজির কাছে ফোন দিলে কাজি মোঃ মোবারক হোসেন বলেন কাবিলের ভলিয়ম বই কোর্টে জমা দেওয়া আছে।

এদিকে কাজি মোঃ মোবারক হোসেন মোছাঃ হাবিবা খাতুন (সুমি)’র নিকটতম আপন জন চাচা হওয়ায় মোঃ আবু বক্কারের সাথে যোগ সাজসে কাবিলের জাবেদানে ১২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বসিয়েছে। এ যেন আকাশ ছোঁয়ার মত । জানা গেছে, নিকাহ রেজিষ্টারে অংকে লিখা হলেও কথায় লিখা হয় নি ঘর ফাঁকা ছিল। মিথ্যা ,জালিয়াতি, দুদার্ন্ত,দাঙ্গাবাজ ও প্রতারনা করায় এক পর্যায়ে মোঃ মোতালেব হোসেন মোকাম বিজ্ঞ তাড়াশ থানা জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত সিরাজগঞ্জে অভিযোগ করেন । নিকাহ রেজিষ্টারে জালিয়াতি করা হয়েছে মর্মে উলিপুর গ্রামের মৃত কছির খাঁর ছেলে মোঃ আঃ মালেক,খুটিগাছা গ্রামের মৃত আবু হানিফ মিঞার ছেলে মোঃ গোলাম রাব্বানী ও মোঃ জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোঃ আব্দুস সালাম ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোকাম সিরাজগঞ্জের নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামা দিয়ে বলেন, উলিপুর গ্রামের মোঃ আরশেদ আলীর ছেলে মোঃ মোতালেব হোসেনের সহিত একই গ্রামের মোঃ আবু বক্কারের মেয়ে মোছাঃ হাবিবা খাতুন (সুমি)’র বিবাহ হয় আলোচনা সাপেক্ষে। সবার মধ্যে আলোচনা করে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেন মোহর ধার্য করে নিকাহ রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়। বিবাহের সময় কাবিলনামার ১৩নং কলামে দেনমোহরানার ঘর ফাঁকা রেখে নিকাহ রেজিষ্টার কাবিলনামার সকল ঘর পুর করে বর ও কনের স্বাক্ষর গ্রহন করে বিবাহ সম্পন্ন করা হয়।

এ ব্যাপারে তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল শেখ মোকাম বিজ্ঞ তাড়াশ থানা জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত সিরাজগঞ্জের মামলা নং ৮৪/২০২০ তদন্ত করে ১৮/১/২০২১ তারিখে প্রতিবেদন দাখিল করেন।দাখিলে উল্লেখ করেন কাজি মোঃ মোবারক হোসেনকে ৩বার নোটিশ করার পরেও তিনি আমার কার্যালয়ে হাজির হন নি। এছাড়াও গোপনে ও প্রকাশ্যে তদন্ত করে দেখা যায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা কাবিল লেখার সময় ইউপি সদস্য বর্তমান পৌরসভার কাউন্সিলর আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন। ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা লেখার সময় ঘর একটু ফাঁকা রাখা হয়। এতে পরিলক্ষিত হয় য়ে, কাজি সাহেব তার নিজের ভাতিজির কারনে দেন মোহরের পরিমান ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার পরিবর্তে ১২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করেছেন।

এছাড়াও আমার নিকট আরও প্রতিয়মান হয় যে,নামিক বাদি ও বিবাদির স্টাটাস অনুযায়ী ১২ লক্ষ ২০ হাজার টাকার দেন মোহর ধার্য করা অস্বাভাবিক। অতিরিক্ত টাকা বাড়ানো হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

তাড়াশে বিয়ের রেজিস্ট্রিতে কাবিন আকাশ ছোঁয়া: জেলা অফিসে অভিযোগ

প্রকাশিত সময় ১২:৫১:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিয়ের রেজিষ্টারে কাবিলের টাকা আকাশ ছেঁায়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা নিকাহ রেজিষ্টার অফিসসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যক্তি।

বিগত ১/৯/২০১৭ তারিখে উপজেলার তাড়াশ পৌরসভার উলিপুর গ্রামের মোঃ আরশেদ আলীর ছেলে মোঃ মোতালেব হোসেনের সহিত একই গ্রামের মোঃ আবু বক্কারের মেয়ে মোছাঃ হাবিবা খাতুন (সুমি)’র বিবাহ হয়। দেশীগ্রাম ইউনিয়ন নিকাহ রেজিষ্টার মোঃ মোবারক হোসেন কাজি বিবাহ রেজিষ্টারে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেন মোহর ধার্য করে লিপিবদ্ধ করেন। এর পর থেকেই ছেলে মোঃ মোতালেব হোসেন বিবাহর রেজিষ্টারের নকল কপি চাইলে কাজি মোঃ মোবারক হোসেন তাল বাহানা করতে থাকে। এক পর্যায়ে জোড় দাবিতে বিবাহর নকল চাইলে কাজি মোঃ মোবারক হোসেন বলেন কাবিলের জাবেদা দেওয়া যাবেনা। পরে ওই গ্রামের আব্দুল মালেক কাজির কাছে ফোন দিলে কাজি মোঃ মোবারক হোসেন বলেন কাবিলের ভলিয়ম বই কোর্টে জমা দেওয়া আছে।

এদিকে কাজি মোঃ মোবারক হোসেন মোছাঃ হাবিবা খাতুন (সুমি)’র নিকটতম আপন জন চাচা হওয়ায় মোঃ আবু বক্কারের সাথে যোগ সাজসে কাবিলের জাবেদানে ১২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বসিয়েছে। এ যেন আকাশ ছোঁয়ার মত । জানা গেছে, নিকাহ রেজিষ্টারে অংকে লিখা হলেও কথায় লিখা হয় নি ঘর ফাঁকা ছিল। মিথ্যা ,জালিয়াতি, দুদার্ন্ত,দাঙ্গাবাজ ও প্রতারনা করায় এক পর্যায়ে মোঃ মোতালেব হোসেন মোকাম বিজ্ঞ তাড়াশ থানা জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত সিরাজগঞ্জে অভিযোগ করেন । নিকাহ রেজিষ্টারে জালিয়াতি করা হয়েছে মর্মে উলিপুর গ্রামের মৃত কছির খাঁর ছেলে মোঃ আঃ মালেক,খুটিগাছা গ্রামের মৃত আবু হানিফ মিঞার ছেলে মোঃ গোলাম রাব্বানী ও মোঃ জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোঃ আব্দুস সালাম ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোকাম সিরাজগঞ্জের নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামা দিয়ে বলেন, উলিপুর গ্রামের মোঃ আরশেদ আলীর ছেলে মোঃ মোতালেব হোসেনের সহিত একই গ্রামের মোঃ আবু বক্কারের মেয়ে মোছাঃ হাবিবা খাতুন (সুমি)’র বিবাহ হয় আলোচনা সাপেক্ষে। সবার মধ্যে আলোচনা করে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেন মোহর ধার্য করে নিকাহ রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়। বিবাহের সময় কাবিলনামার ১৩নং কলামে দেনমোহরানার ঘর ফাঁকা রেখে নিকাহ রেজিষ্টার কাবিলনামার সকল ঘর পুর করে বর ও কনের স্বাক্ষর গ্রহন করে বিবাহ সম্পন্ন করা হয়।

এ ব্যাপারে তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল শেখ মোকাম বিজ্ঞ তাড়াশ থানা জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত সিরাজগঞ্জের মামলা নং ৮৪/২০২০ তদন্ত করে ১৮/১/২০২১ তারিখে প্রতিবেদন দাখিল করেন।দাখিলে উল্লেখ করেন কাজি মোঃ মোবারক হোসেনকে ৩বার নোটিশ করার পরেও তিনি আমার কার্যালয়ে হাজির হন নি। এছাড়াও গোপনে ও প্রকাশ্যে তদন্ত করে দেখা যায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা কাবিল লেখার সময় ইউপি সদস্য বর্তমান পৌরসভার কাউন্সিলর আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন। ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা লেখার সময় ঘর একটু ফাঁকা রাখা হয়। এতে পরিলক্ষিত হয় য়ে, কাজি সাহেব তার নিজের ভাতিজির কারনে দেন মোহরের পরিমান ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার পরিবর্তে ১২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করেছেন।

এছাড়াও আমার নিকট আরও প্রতিয়মান হয় যে,নামিক বাদি ও বিবাদির স্টাটাস অনুযায়ী ১২ লক্ষ ২০ হাজার টাকার দেন মোহর ধার্য করা অস্বাভাবিক। অতিরিক্ত টাকা বাড়ানো হয়েছে।