পাবনা বিউবোর আবাসিক ভবন ও স্থাপনাগুলো সংস্কার না হওয়ায় এখন ব্যবহারের অযোগ্য
- প্রকাশিত সময় ০৫:৫৯:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২
- / 111
পাবনা নূরপুর বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াবদা ক্যাম্পাসের ভিতরে আবাসিক ভবনগুলোর সংস্কার রক্ষণাবেক্ষণ না করায় বর্তমানে ব্যবহারের অযোগ্য। ছবিটি নূরপুর বিইউবো’র। ছবি: স্বতঃকণ্ঠ
পাবনা নূরপুর বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াবদা ক্যাম্পাসের ভিতরে আবাসিক ভবনগুলোর সংস্কার রক্ষণাবেক্ষণ না করায় ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও প্রায় প্রতিটি ভবনের জানালা দরজা গুলো চুরি হয়ে গেছে। ক্যাম্পাসজুড়ে আগাছায় বিষাক্ত সাপ পোকা-মাকড়ের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। বিশালাকারের দুইটি পুকুর আগাছায় ভরাট হয়ে গেছে।
ক্যাম্পাসজুড়ে মারাত্বকভাবে পরিবেশের বিপর্যয় হওয়ায় কর্মচারীদের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে শহরের বিভিন্ন এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে কর্মচারীদের। দেশ স্বাধীনতালাভের পূর্বে প্রায় ৩৫ একর জমিতে বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালন ও সংরক্ষণ সার্কেল বিউবো, পাবনা ওয়াবদা নামক এ সরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। এ প্রতিষ্ঠানের ভিতরে স্থাপিত গ্রীড উপকেন্দ্র, অফিস ভবন, আবাসিক ভবন, বৈদ্যুতিক মালামাল রাখার ছোটবড় একাধিক গুদামঘর, তারকাঁটা দিয়ে ঘেরা বাউন্ডারি, প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে পুকুর, একটি মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ৯০-র দশক পর্যন্ত সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি বিপুল সংখ্যক কর্মকতা-কর্মচারীদের কর্মস্থল এবং কর্মচাঞ্চল্য ছিল।
এরপর থেকে বিউবোর বিদ্যুত ঘাটতি, লোডসেডিং এবং দেওলিয়াত্বর কারণে বেসরকারি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কেডিএস এবং পরে টেকনো ইন্ডেক্স কে দেয়া হয় চুক্তিভিত্তিক বাণিজ্যিক বিভাগের দায়িত্ব। কিন্তু এতেও বড় অংকের লোকসান গুনতে হয় বিউবোকে। বর্তমান সরকার এই লোকসান এবং দেউলিয়াত্বের হাত থেকে বেরিয়ে আসার জন্য নরদান ইলেক্ট্রি সিটি কোম্পানি লিমিটেড নামক কোম্পানি করায় বিউবো অনেকটা স্বস্তি ফিরে পায়।
পূর্বের ন্যায় বিদ্যুত ঘাটতি, লোড সেডিং, গ্রাহকসেবায় অনিয়ম-হয়রানী, অনিয়ম-দুনীর্তি এসবের হাত থেকে মুক্তিপায় পাবনা বিউবো। কিন্তু সরকারি এ প্রতিষ্ঠানের কোটি কোটি টাকা মূল্যে স্থাপনা বর্তমান সংস্কার, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে প্রায় ধ্বংসের পথে। পরে থাকা আবদি জমিতে ধানের আবাদ এবং বিশালাকারে পুকুরে বিপুল পরিমান মাছের চাষ করা হতো কিন্তু অব্যবস্থাপনার কারণে তা্ধসঢ়;ও বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ড এবং দু’একজন নিম্ন পদের কর্মচারীরা জানায়, দীর্ঘদিনের পুরোনো এসব আবাসিক ভবনে অত্যন্ত ঝঁকির মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছে তাদের। একটু বৃষ্টি হলেই সাদ দিয়ে পারি পরে, ক্যাম্পাসের ভিতরে জরাজীর্ণ রাস্তাগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। জঞ্জলের কারণে বিষাক্ত সাপ ও বিভিন্ন প্রাণীর অবাধ বিচরণে আতঙ্কের মধ্যে ডিউটি ও বসবাস করতে হচ্ছে তাদের।
চোরের উপদ্রব তো আছেই। প্রায় প্রতিনিয়তই রাতে চুরি করা মালামলসহ চোরদের ধরে কতৃর্পক্ষের কাছে সোপর্দ করেন নিরাপত্তা প্রহরীরা। বর্তমান ক্যাম্পাসের ভিতরে অবস্থিত নেসকোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়।
এ অফিসে কর্মরত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. জিয়উল ইসলাম জানান, এখানকার স্থাপনাগুলো দীর্ঘ দিনের পুরোনো। আমরা এসব স্থাপনাগুলো এমন অবস্থায় পেয়েছি। তবে যেসব স্থাপনাগুলো একটু ভাল আছে তা ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে আর্থিক বরাদ্দ পেলে আবাসিক ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনাগুলো সংস্কার করা হবে বলে জানান এই কর্মকতা। – আইএনএস