ফুলবাড়ী বাজারে নতুন পেঁয়াজ ওঠায় প্রতিকেজিতে দাম কমেছে ৮-১০ টাকা
- প্রকাশিত সময় ০৩:৪৬:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২
- / 97
আমদানিকৃত পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার পাশাপাশি দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত নতুন পেঁয়াজ বাজারে ওঠায় পাইকারি ও খুচরা বাজারে প্রতিকেজিতে দাম কমেছে ৮-১০ টাকা।
বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩২ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৬ থেকে ৪০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৪২ থেকে ৪৫ টাকা কেজিদরে বিক্রি হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ফুলবাড়ী পৌর বাজারের সবজি কিনতে আসা ওষুধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি আব্দুস ছালাম বলেন, এক সপ্তাহ আগে ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৬ থেকে ৪০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৪২ থেকে ৪৫ টাকা কেজিদরে বিক্রি হয়েছে এখন সেই একই পেঁয়াজ কেজিতে ৮-১০ টাকা কম দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে চাহিদানুযায়ী পেঁয়াজ কেনা সম্ভব হচ্ছে ক্রেতা সাধারণের।
পৌর বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা শ্যামল চন্দ্র বলেন, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকাসহ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত নতুন পেঁয়াজ বাজারে ওঠায় দাম কমে আসায় বিক্রিও বেড়েছে।
ফুলবাড়ীর পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়ি শামসুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক থাকা রয়েছে। একই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত নতুন পেঁয়াজও বাজারে ওঠায় সব রকম পেঁয়াজের দামই কমে এসেছে। তবে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজ পুরোদমে বাজারে উঠলে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার বলেন, মূল পেঁয়াজের আবাদ শীতকালে হলেও পেঁয়াজের আমদানি নির্ভরতা কমাতে উপজেলায় ১৪ দশমিক ৭৬ হেক্টর (১১০ বিঘা) জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টরে উৎপানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ মেট্রিক টন। গ্রীষ্মকালীন চাষ করা পেঁয়াজ ইতোমধ্যে হাটবাজারে উঠতে শুরু করেছে। এ কারণে দাম কমে এসেছে।