ঢাকা ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

আটঘরিয়ায় বিনা চাষে রসুন আবাদে ব্যস্ত কৃষকরা

আটঘরিয়া ব্যুরো:
  • প্রকাশিত সময় ০৮:৪২:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২
  • / 144

আটঘরিয়ায় রসুন চাষে ব্যস্ত কৃষকরা। ছবি: সংগৃহীত


পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় বিনা হালে রসুন আবাদে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এবছর আটঘরিয়া উপজেলায় ১২৩ হেক্টর জমিতে বিনা চাষে রসুন আবাদ করা হচ্ছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সুেএ জানা গেছে।

সরজমিনে কয়রাবাড়ী,সুতিরবিল,একদন্ত,লক্ষীপুর,দেবোত্তর,মাজপাড়া,চাঁদভা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলায় গিয়ে দেখা যায়,আটঘরিয়ায় এখন চলছে বিনা চাষে রসুনের মৌসুম। বিলের যেদিকে চোখ মেলা যাবে সেদিকেই দেখা যাবে নারী—পুরুষ ও পাশাপাশি ছোট—ছোট ছেলে—মেয়েরাও মিলে জমিতে লাইন ধরে বসে—বসে রসুন লাগাতে দেখা যাচ্ছে। কয়রাবাড়ির কৃষক ফারুক হোসেন জানান,আমি দেড় বিঘা জমিতে বিনা চাষে রসুন আবাদ করছি।এই পদ্ধতিতে রসুন চাষ করলে জমিতে চাষ করা বা কোপানো লাগেনা, সার ও ওষুধ কম লাগে,শুধুমাত্র ২টি সেচ দিলেই হয়।

লাগানো রসুন অনেক বড়—বড় গাছ ও রসুন বড় হয়। তার এ পদ্ধতি দেখে অন্যান্যে কৃষকরা তার সহযোগিতা চাইলে তিনি তাদের রসুন সরবরাহ করাসহ নানা ধরনের পরামর্শ দেন। একই এলাকার হামিদ প্রামানিক জানান,আমি ২৮ শতাংশ জমিতে বিনা চাষে আমি রসুন আবাদ শুরু করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে বিনা চাষে রসুন আবাদ করতে তিন থেকে সাড়ে তিন মন কোয়া রসুন লাগে, খরছ হয় ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা । আর প্রতি বিঘায় উৎপাদন হয় ৩৫ থেকে ৪০ মন যার বাজার মুল্য অনেক বেশি। সব মিলিয়ে ভালো টাকা লাভ থাকে। গত বছর ভালো ফলন হয়েছে, আশা করি এবারও ভালো ফলন হবে বলে মনে করছেন এইসকল কৃষক।শ্রমিক রফিক জানান, দিন মজুর হিসেবে আমরা কাজ করি,সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ৪শ থেকে ৫শ টাকা
মজুরি পাই।

আটঘরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজীব আল মারুফ জানান,এ বছর আটঘরিয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট ১২৩ হেক্টর জমিতে বিনা চাষে রসুনের আবাদ শুরু হয়েছে।বিঘা প্রতি রসুন লাগে আড়াই থেকে ৩মন আর প্রতি বিঘায় রসুন উৎপাদন হয় ৩৫ থেকে ৪০ মন।বেশি লাভ হবার কারনে কৃষকেরা বিনা চাষের পদ্ধতিতে রসুন আবাদে ঝুঁকছে।

এই রকম আরও টপিক

আটঘরিয়ায় বিনা চাষে রসুন আবাদে ব্যস্ত কৃষকরা

প্রকাশিত সময় ০৮:৪২:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় বিনা হালে রসুন আবাদে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এবছর আটঘরিয়া উপজেলায় ১২৩ হেক্টর জমিতে বিনা চাষে রসুন আবাদ করা হচ্ছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সুেএ জানা গেছে।

সরজমিনে কয়রাবাড়ী,সুতিরবিল,একদন্ত,লক্ষীপুর,দেবোত্তর,মাজপাড়া,চাঁদভা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলায় গিয়ে দেখা যায়,আটঘরিয়ায় এখন চলছে বিনা চাষে রসুনের মৌসুম। বিলের যেদিকে চোখ মেলা যাবে সেদিকেই দেখা যাবে নারী—পুরুষ ও পাশাপাশি ছোট—ছোট ছেলে—মেয়েরাও মিলে জমিতে লাইন ধরে বসে—বসে রসুন লাগাতে দেখা যাচ্ছে। কয়রাবাড়ির কৃষক ফারুক হোসেন জানান,আমি দেড় বিঘা জমিতে বিনা চাষে রসুন আবাদ করছি।এই পদ্ধতিতে রসুন চাষ করলে জমিতে চাষ করা বা কোপানো লাগেনা, সার ও ওষুধ কম লাগে,শুধুমাত্র ২টি সেচ দিলেই হয়।

লাগানো রসুন অনেক বড়—বড় গাছ ও রসুন বড় হয়। তার এ পদ্ধতি দেখে অন্যান্যে কৃষকরা তার সহযোগিতা চাইলে তিনি তাদের রসুন সরবরাহ করাসহ নানা ধরনের পরামর্শ দেন। একই এলাকার হামিদ প্রামানিক জানান,আমি ২৮ শতাংশ জমিতে বিনা চাষে আমি রসুন আবাদ শুরু করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে বিনা চাষে রসুন আবাদ করতে তিন থেকে সাড়ে তিন মন কোয়া রসুন লাগে, খরছ হয় ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা । আর প্রতি বিঘায় উৎপাদন হয় ৩৫ থেকে ৪০ মন যার বাজার মুল্য অনেক বেশি। সব মিলিয়ে ভালো টাকা লাভ থাকে। গত বছর ভালো ফলন হয়েছে, আশা করি এবারও ভালো ফলন হবে বলে মনে করছেন এইসকল কৃষক।শ্রমিক রফিক জানান, দিন মজুর হিসেবে আমরা কাজ করি,সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ৪শ থেকে ৫শ টাকা
মজুরি পাই।

আটঘরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজীব আল মারুফ জানান,এ বছর আটঘরিয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট ১২৩ হেক্টর জমিতে বিনা চাষে রসুনের আবাদ শুরু হয়েছে।বিঘা প্রতি রসুন লাগে আড়াই থেকে ৩মন আর প্রতি বিঘায় রসুন উৎপাদন হয় ৩৫ থেকে ৪০ মন।বেশি লাভ হবার কারনে কৃষকেরা বিনা চাষের পদ্ধতিতে রসুন আবাদে ঝুঁকছে।