বিরামপুরে সমাজসেবা অফিসে জনবল সংকটে কার্যক্রম ব্যাহত
- প্রকাশিত সময় ০৩:০০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২
- / 129
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তাসহ ৫টি পদ দীর্ঘদিন শূন্য রয়েছে। এতে ওই অফিসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার জনগণ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। ১৩ জন লোকবলের জায়গায় অত্র অফিসে কাজ করছেন মাত্র ৮ জন। ফলে অফিসের কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মরতদের।
সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে বিধবা ভাতা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ কার্যক্রমসহ প্রায় ৫৪ টি কার্যক্রম সম্পাদন করতে হয়। অত্র অফিসে উপজেলা সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তার পদটি পদায়ন না হওয়ায়, শূন্য রয়েছে কয়েক বছর ধরে। এ ছাড়াও শূন্য রয়েছে ইউনিয়ন সমাজকর্মীর ৩টি পদ। সেইসাথে অফিস সহায়ক পদে একজন ১৩ বছর যাবৎ বরখাস্ত হয়ে আছেন। দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ এ পদগুলো শূন্য থাকায় অফিসের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, জনবল সংকটের কারণে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কার্যক্রম যথাসময়ে বাস্তবায়ন করতে হিমশিম খাচ্ছে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে কর্মরতরা। কারিগরী প্রশিক্ষক যে দুজন আছেন তাদেরও চাকুরী প্রায় শেষ পর্যায়ে। তারা দুজন শারীরিকভাবেও অসুস্থ। এতেকরে সরকারের গৃহিত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর নানা সেবায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ভাতাভোগী ও ভুক্তভোগীদের।
সমাজসেবা কর্মকর্তা রাজুল ইসলাম বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সমাজের মুল স্রোতধারায় ফিরিয়ে আনতে নতুন নতুন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হচ্ছে। সেই অনুপাতে জনবল ও পদ সৃস্টি না করায় এবং বিদ্যমান জনবলের পদ শুণ্য থাকায় চলমান কার্যক্রম সম্পাদন করা কষ্টকর হচ্ছে। সরকারের গৃহিত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে শুণ্য পদে দ্রুত নিয়োগ ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক পদ সৃস্টি করে জনবল বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, জনবল সংকট থাকার কারণে যথাসময়ে গ্রাহকদের সেবা দেওয়া অনেক সময় সম্ভব হয় না। শূন্য পদ পূরণে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এলাকাবাসী যাতে দ্রুত সেবা পান, সে ব্যাপারে আমরা অতিরিক্ত কাজ করে যাচ্ছি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজুর নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং চাহিদা পাঠিয়েছি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। আশা করছি, অতি দ্রুতই জনবল নিয়োগ হবে। এরপর জনগনকে আর কোন ভুগান্তি পোহাতে হবে না।