ঢাকা ০২:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

৩০ হাজার টাকা করে ঋণ, ১২ কৃষক কারাগারে

ঈশ্বরদী প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত সময় ০১:৪৩:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২২
  • / 107

পাবনায় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ফেরত না দেয়ায় ১২ কৃষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠায় পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ও শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে বুধবার ওই মামলায় ৩৭ কৃষকের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, চার বছর আগে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেড নামের একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়েছিলেন ওই কৃষকেরা। সময়মতো টাকা ফেরত না দেয়ার অভিযোগে ২০২১ সালে ব্যাংকের পক্ষে মোজাম্মেল হোসেন নামের এক ব্যক্তি কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বুধবার সে মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযানে নামে।

গ্রেপ্তার কৃষকরা হলেন, উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারি গ্রামের শুকুর প্রামাণিকের ছেলে আলম প্রামাণিক (৫০), মনি মণ্ডলের ছেলে মাহাতাব মণ্ডল (৪৫), মৃত সোবহান মণ্ডলের ছেলে আবদুল গণি মণ্ডল (৫০), কামাল প্রামাণিকের ছেলে শামীম হোসেন (৪৫), মৃত আয়েজ উদ্দিনের ছেলে সামাদ প্রামাণিক (৪৩), মৃত সামির উদ্দিনের ছেলে নূর বক্স (৪৫), রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আকরাম (৪৬), লালু খাঁর ছেলে মোহাম্মদ রজব আলী (৪০), মৃত কোরবান আলীর ছেলে কিতাব আলী (৫০), হারেজ মিয়ার ছেলে হান্নান মিয়া (৪৩), মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ মজনু (৪০) ও মৃত আখের উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান (৫০)।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক থেকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে ঋণ নিয়েছিলেন ৩৭ জন কৃষক। এই ঋণ ফেরত না দেয়ার অভিযোগে ২০২১ সালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

ওসি জানান, গ্রেপ্তার কৃষকেরা দাবি করেছেন তাদের অনেকেই ঋণের টাকা পরিশোধ করার পরও তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

জানতে চাইলে সমবায় ব্যাংক পাবনা শাখার চেয়ারম্যান সাবির হাসান বাচ্চু বলেন, কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলার সঙ্গে ব্যাংকের এ শাখার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাদের ঋণও আমাদের মাধ্যমে দেয়া হয়নি। যতদূর মনে পড়ে, চার বছর আগে ব্যাংকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান নির্বাহী একটি বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে সরাসরি এসব কৃষককে ঋণ দিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ঋণ দেয়ার সময় আমরা প্রদান প্রক্রিয়া ও ফেরত পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলাম। তবে কেন্দ্র সরাসরি বিষয়টি তত্ত্বাবধান করে। পরবর্তীতে ঋণের টাকা তুলে দিতে আমাদের জানানো হলে আমরা দায়িত্ব নেইনি। কৃষকেরা টাকা ফেরত দিয়েছেন কি না, তা জানা নেই।

এই রকম আরও টপিক

৩০ হাজার টাকা করে ঋণ, ১২ কৃষক কারাগারে

প্রকাশিত সময় ০১:৪৩:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২২

পাবনায় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ফেরত না দেয়ায় ১২ কৃষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠায় পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ও শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে বুধবার ওই মামলায় ৩৭ কৃষকের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, চার বছর আগে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেড নামের একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়েছিলেন ওই কৃষকেরা। সময়মতো টাকা ফেরত না দেয়ার অভিযোগে ২০২১ সালে ব্যাংকের পক্ষে মোজাম্মেল হোসেন নামের এক ব্যক্তি কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বুধবার সে মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযানে নামে।

গ্রেপ্তার কৃষকরা হলেন, উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারি গ্রামের শুকুর প্রামাণিকের ছেলে আলম প্রামাণিক (৫০), মনি মণ্ডলের ছেলে মাহাতাব মণ্ডল (৪৫), মৃত সোবহান মণ্ডলের ছেলে আবদুল গণি মণ্ডল (৫০), কামাল প্রামাণিকের ছেলে শামীম হোসেন (৪৫), মৃত আয়েজ উদ্দিনের ছেলে সামাদ প্রামাণিক (৪৩), মৃত সামির উদ্দিনের ছেলে নূর বক্স (৪৫), রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আকরাম (৪৬), লালু খাঁর ছেলে মোহাম্মদ রজব আলী (৪০), মৃত কোরবান আলীর ছেলে কিতাব আলী (৫০), হারেজ মিয়ার ছেলে হান্নান মিয়া (৪৩), মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ মজনু (৪০) ও মৃত আখের উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান (৫০)।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক থেকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে ঋণ নিয়েছিলেন ৩৭ জন কৃষক। এই ঋণ ফেরত না দেয়ার অভিযোগে ২০২১ সালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

ওসি জানান, গ্রেপ্তার কৃষকেরা দাবি করেছেন তাদের অনেকেই ঋণের টাকা পরিশোধ করার পরও তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

জানতে চাইলে সমবায় ব্যাংক পাবনা শাখার চেয়ারম্যান সাবির হাসান বাচ্চু বলেন, কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলার সঙ্গে ব্যাংকের এ শাখার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাদের ঋণও আমাদের মাধ্যমে দেয়া হয়নি। যতদূর মনে পড়ে, চার বছর আগে ব্যাংকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান নির্বাহী একটি বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে সরাসরি এসব কৃষককে ঋণ দিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ঋণ দেয়ার সময় আমরা প্রদান প্রক্রিয়া ও ফেরত পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলাম। তবে কেন্দ্র সরাসরি বিষয়টি তত্ত্বাবধান করে। পরবর্তীতে ঋণের টাকা তুলে দিতে আমাদের জানানো হলে আমরা দায়িত্ব নেইনি। কৃষকেরা টাকা ফেরত দিয়েছেন কি না, তা জানা নেই।