ঢাকা ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

বিরামপুরে ধান কাটা-মাড়াই’র ধুম পড়েছে

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১২:৪৪:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২২
  • / 122

বিরামপুরে ধান কাটা-মাড়াইয়ের ধুম চলছে এখন। ছবি: স্বতঃকণ্ঠ


দিনাজপুরের বিরামপুরে চলতি আমন মৌসুমে ধান কাটা-মাড়াই’র ধুম পড়েছে। এসব আমন ধান কেটে গম, ভুট্টা, শসা,আলু সহ বিভিন্ন ফসল চাষের জন্য জায়গা খালি করা হচ্ছে। ভাল ফলন ও দাম ভাল থাকায় খুশি ধান চাষিরা। চলতি মৌসুমে এলাকায় রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে মোট  ১৭ হাজার ৪৪৫ হেক্টর  জমিতে আমন চাষ হয়েছে, জানিয়েছে কৃষি অধিদপ্তর। বিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন আমন ক্ষেত ঘুরে দেখা যায়, এরই মধ্যে শুরু হয়েছে শীতকালীন ফসল সরিষার চাষ। পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গম, ভুট্টা, শসা,আলু  সহ বিভিন্ন ফসল চাষের প্রস্তুতি নিয়েছেন কৃষকরা । 

অন্যদিকে মাঠে মাঠে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সোনালি রঙের কাটা ধান। ধান কেটে আঁটি বেঁধে সপ্তাহ খানেক খোলা মাঠে ফেলে রাখছেন কৃষক। দেখে মনে হচ্ছে যেন মাঠে সোনা ছিটিয়ে পড়ে আছে। পরে ধানের সাথে খড় শুকিয়ে তা খোলায় নিয়ে যাচ্ছেন কৃষক। মাঠ থেকে ধান তোলার সাথে সরিষা চাষের জন্য জমিতে ফেলা হচ্ছে সরিষা বীজ। চলতি আমন মৌসুমে বর্ষার পানি পর্যাপ্ত না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছিলেন আমন চাষিরা। আবার দেখা দিয়েছিলো সার সংকট এবং হঠাৎ তেলের দাম বৃদ্ধি। সব মিলিয়ে ধান চাষে খরচ বেশি হয়েছিলো কৃষকদের। আবার ধান কাটা-মাড়াইয়ে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার টাকার মতো। তবে যদি ধানের দাম সরকার বাড়ায় তাহলে লাভের মুখ দেখবেন কৃষকেরা, বলেছেন আমন চাষিরা। 

বিরামপুর পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের কৃষক সুনিল বলেন, এবার আমি ২বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। আশানুরূপ ফলন হয়েছে। ধানের দাম ভালো থাকলে লাভের মুখ দেখবো আমরা। আশা করি বিঘা প্রতি ১৩ থেকে ১৬ মণ ধান পাবো। ধান কাটা শ্রমিকরা জানান- এবার বর্ষা নাই, মাঠে কোন পানি নেই। এতে আমাদের ধান কাটতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না। আমরা ৬জন এক সাথে ধান কাটছি। ধান কাটা-মাড়াইতে বিঘা প্রতি ৩ হাজার টাকা নিচ্ছি। দিনে দেড় থেকে দুই বিঘা জমির ধান কাটতে পারছি। মাঝে মধ্যে কৃষকরা ধানের বিনিময়ে ধান দিয়ে কাটিয়ে দিচ্ছেন। 

বিরামপুর  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিকছন চন্দ্র  জানিয়েছেন, বিরামপুর উপজেলায় মোট ১৭ হাজার ৪৪৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। আগাম লাগানো ধান কাটা-মাড়াই প্রায় শেষ করেছেন কৃষকেরা। সরিষা সহ বিভিন্ন ফসল চাষের জন্য কৃষকেরা তাড়াতাড়ি ধান কাটছেন। উপজেলা ও পলিপ্রয়াগপুর এলাকার অধিকাংশ জমির ধান কাটা-মাড়াই হয়েছে। ফলন অনেক ভাল, আশা করছি কৃষক তাদের কাঙ্খিত ফলন সময় মতো ঘরে তুলবেন।

এই রকম আরও টপিক

বিরামপুরে ধান কাটা-মাড়াই’র ধুম পড়েছে

প্রকাশিত সময় ১২:৪৪:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২২

দিনাজপুরের বিরামপুরে চলতি আমন মৌসুমে ধান কাটা-মাড়াই’র ধুম পড়েছে। এসব আমন ধান কেটে গম, ভুট্টা, শসা,আলু সহ বিভিন্ন ফসল চাষের জন্য জায়গা খালি করা হচ্ছে। ভাল ফলন ও দাম ভাল থাকায় খুশি ধান চাষিরা। চলতি মৌসুমে এলাকায় রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে মোট  ১৭ হাজার ৪৪৫ হেক্টর  জমিতে আমন চাষ হয়েছে, জানিয়েছে কৃষি অধিদপ্তর। বিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন আমন ক্ষেত ঘুরে দেখা যায়, এরই মধ্যে শুরু হয়েছে শীতকালীন ফসল সরিষার চাষ। পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গম, ভুট্টা, শসা,আলু  সহ বিভিন্ন ফসল চাষের প্রস্তুতি নিয়েছেন কৃষকরা । 

অন্যদিকে মাঠে মাঠে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সোনালি রঙের কাটা ধান। ধান কেটে আঁটি বেঁধে সপ্তাহ খানেক খোলা মাঠে ফেলে রাখছেন কৃষক। দেখে মনে হচ্ছে যেন মাঠে সোনা ছিটিয়ে পড়ে আছে। পরে ধানের সাথে খড় শুকিয়ে তা খোলায় নিয়ে যাচ্ছেন কৃষক। মাঠ থেকে ধান তোলার সাথে সরিষা চাষের জন্য জমিতে ফেলা হচ্ছে সরিষা বীজ। চলতি আমন মৌসুমে বর্ষার পানি পর্যাপ্ত না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছিলেন আমন চাষিরা। আবার দেখা দিয়েছিলো সার সংকট এবং হঠাৎ তেলের দাম বৃদ্ধি। সব মিলিয়ে ধান চাষে খরচ বেশি হয়েছিলো কৃষকদের। আবার ধান কাটা-মাড়াইয়ে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার টাকার মতো। তবে যদি ধানের দাম সরকার বাড়ায় তাহলে লাভের মুখ দেখবেন কৃষকেরা, বলেছেন আমন চাষিরা। 

বিরামপুর পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের কৃষক সুনিল বলেন, এবার আমি ২বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। আশানুরূপ ফলন হয়েছে। ধানের দাম ভালো থাকলে লাভের মুখ দেখবো আমরা। আশা করি বিঘা প্রতি ১৩ থেকে ১৬ মণ ধান পাবো। ধান কাটা শ্রমিকরা জানান- এবার বর্ষা নাই, মাঠে কোন পানি নেই। এতে আমাদের ধান কাটতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না। আমরা ৬জন এক সাথে ধান কাটছি। ধান কাটা-মাড়াইতে বিঘা প্রতি ৩ হাজার টাকা নিচ্ছি। দিনে দেড় থেকে দুই বিঘা জমির ধান কাটতে পারছি। মাঝে মধ্যে কৃষকরা ধানের বিনিময়ে ধান দিয়ে কাটিয়ে দিচ্ছেন। 

বিরামপুর  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিকছন চন্দ্র  জানিয়েছেন, বিরামপুর উপজেলায় মোট ১৭ হাজার ৪৪৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। আগাম লাগানো ধান কাটা-মাড়াই প্রায় শেষ করেছেন কৃষকেরা। সরিষা সহ বিভিন্ন ফসল চাষের জন্য কৃষকেরা তাড়াতাড়ি ধান কাটছেন। উপজেলা ও পলিপ্রয়াগপুর এলাকার অধিকাংশ জমির ধান কাটা-মাড়াই হয়েছে। ফলন অনেক ভাল, আশা করছি কৃষক তাদের কাঙ্খিত ফলন সময় মতো ঘরে তুলবেন।