পাচান মাদ্রাসায় ৪ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রনে ১০ শিক্ষক
- প্রকাশিত সময় ০৭:৩০:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২
- / 139
সিরাজগঞ্জের তাড়াশের উলিপুর পাচান দাখিল মাদ্রাসার বার্ষিক পরিক্ষার নবম শ্রেণীতে ৪ জন শিক্ষার্থীর পরিক্ষায় নিয়ন্ত্রনের দায়িত্বে আছেন মাদ্রাসাটির ১০ জন শিক্ষক—শিক্ষিকা। মাদ্রাসাটিতে কাগজে কলমে বেশি বেশি শিক্ষার্থী
দেখানো হলেও বাস্তবে তার কোন অস্তিতই পাওয়া যায়নি।
সরেজমিনে রবিবার সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে মাদ্রাসায়টিতে গিয়ে দেখা যায়, নবম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় ২ জন ছাত্র আর ২ জন ছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছে। আবার একই বেঞ্চে গাদাগাদি করে বসে। সাথে ছিল পরীক্ষার বিষয় বস্তুর বইটিও। পরীক্ষা কেন্দ্রের কক্ষে নেই কোন শিক্ষকও। শিক্ষকের খোঁজ করে দেখা গেল অফিস কক্ষে ৭ জন শিক্ষক—শিক্ষিকা বসে খোস গল্পে মেতে আছেন। এ যেন চরম উদাসিনতা।
অফিস কক্ষেই শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা গেল, এবারে তাদের মাদ্রাসায় নবম শ্রেণীতে মোট ২৮ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছেন। তবে কাগজে কলমে ২৮ জন থাকলেও বাস্তবে পরীক্ষা কেন্দ্রে এমন উপস্থিতি কেন জানতে চাইলে তার কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। এদিকে তারা বলছে ১০ জন শিক্ষক নাকি আজ মাদ্রাসায় উপস্থিত আছে । যদিও বা পাওয়া গেল মাত্র ৭ জন শিক্ষককে। তার মধ্যে কেউ কেউ আবার তাড়াশ বাজার সহ বিভিন্ন জায়গায় গেছে। এদিকে মাদ্রাসাটিতে ভারপাপ্ত সুপার হিসেবে আইয়ুব আলী দায়িত্বে থাকলেও তাকে স্কুল সময়ে মাদ্রাসায় পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিক বার ফোন করলেও সে রিসিভ করেন নি।
এদিকে গত বছরের বই এখন নতুন রয়ে গেছে। ছাত্র/ছাত্রী না থাকায় বই গুলো নতুন বছরে দিলেও শেষ হবে না।
বিষয়টি উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ নুরুন্নবী কে জানালে তিনি বলেন, আমি নিজেও একাধিক বার পরিদর্শন করে তাদের ছাত্র—ছাত্রী বাড়ানোর জন্য তাগিদ দিয়েছি। কিন্ত তারা এ বিষয়ে চরম উদাসিন। তাদের এমন আচরন চরম দুঃখ জনক। আমি উর্ধতন কর্মকতার্কে জানিয়ে দ্রুত প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মেজবাউল করিম বলেন, আমি বিষয়টি জানলাম সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তবে এমনটা হলে তা দুঃখ জনক।