ঢাকা ১১:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

নকল বিড়ি ও বিএটি’র আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

নেত্রকোনা সংবাদদাতা:
  • প্রকাশিত সময় ০৩:১১:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২
  • / 223

নকল বিড়ি ও বিএটি’র আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) নেত্রকোনা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের সামনে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন। ছবি: স্বতঃকণ্ঠ


বিড়িতে শুল্ক কমিয়ে শ্রমিককের মজুরী বৃদ্ধি, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর আগ্রাসন বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও কাস্টমস অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে নেত্রকোনা জেলা বিড়ি মালিক সমিতি ও বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) নেত্রকোনা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধন শেষে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের সহকারী কমিশনার রফিকুল ইসলাম বরাবর পাঁচ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

শ্রমিকদের অন্যান্য দাবি গুলো- যাচাই-বাছাই ব্যাতিরেকে (অনলাইন) লাইসেন্সসহ রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সকল বিড়ি বন্ধ করা, সিগারেটের ন্যায় বিড়িতেও অগ্রিম আয়কর ৩ শতাংশ করা এবং বহুজাতিক কোম্পানীর সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি করা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো বিড়ি শিল্পকে ধ্বংসে নানা পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ষড়যন্ত্রে দেশীয় শিল্পগুলো রুগ্ন হয়ে যাচ্ছে। ফলে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বেকার হয়ে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তারা এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। তাদের আগ্রাসন বন্ধ করে প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্প রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কমদামে অবৈধ ভাবে বিড়ি বিক্রি করায় সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে আর প্রকৃত রাজস্ব প্রদানকারী বিড়ি শিল্প মালিকরা চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। দেশের প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্প ও শ্রমিকদের টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বহুজাতিক কোম্পানির সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি করতে হবে। একইসাথে সরেজমিনে পরিদর্শন ব্যতিরেকে অর্থাৎ শ্রমিক শেড, গোডাউন, অফিস ছাড়া অস্তিত্বহীন বিড়ি কারখানার লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করতে হবে। এছাড়া সিগারেটের ন্যায় বিড়িতেও অগ্রিম আয়কর ৩ শতাংশ করতে হবে।

মানববন্ধনে শ্রমিকদের হাতে হাতে “বিড়ি শিল্পের কিছু হলে জ¦লবে আগুন ঘরে ঘরে, এদেশ থেকে ব্রিটিশ বনিয়া হঁটাও বিড়ি শিল্প বাঁচাও, অসাধু দুর্নীতিবাজ কাস্টমস কর্মকর্তার বিচার চাই বিচার চাই, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ফুসফুস পড়ায় এদেশে টাকা পাচার করে বিদেশে”সহ বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন দেখা যায়।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এম.কে বাঙ্গালী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।

নকল বিড়ি ও বিএটি’র আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

প্রকাশিত সময় ০৩:১১:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২

বিড়িতে শুল্ক কমিয়ে শ্রমিককের মজুরী বৃদ্ধি, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর আগ্রাসন বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও কাস্টমস অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে নেত্রকোনা জেলা বিড়ি মালিক সমিতি ও বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) নেত্রকোনা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধন শেষে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের সহকারী কমিশনার রফিকুল ইসলাম বরাবর পাঁচ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

শ্রমিকদের অন্যান্য দাবি গুলো- যাচাই-বাছাই ব্যাতিরেকে (অনলাইন) লাইসেন্সসহ রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সকল বিড়ি বন্ধ করা, সিগারেটের ন্যায় বিড়িতেও অগ্রিম আয়কর ৩ শতাংশ করা এবং বহুজাতিক কোম্পানীর সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি করা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো বিড়ি শিল্পকে ধ্বংসে নানা পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ষড়যন্ত্রে দেশীয় শিল্পগুলো রুগ্ন হয়ে যাচ্ছে। ফলে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বেকার হয়ে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তারা এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। তাদের আগ্রাসন বন্ধ করে প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্প রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কমদামে অবৈধ ভাবে বিড়ি বিক্রি করায় সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে আর প্রকৃত রাজস্ব প্রদানকারী বিড়ি শিল্প মালিকরা চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। দেশের প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্প ও শ্রমিকদের টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বহুজাতিক কোম্পানির সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি করতে হবে। একইসাথে সরেজমিনে পরিদর্শন ব্যতিরেকে অর্থাৎ শ্রমিক শেড, গোডাউন, অফিস ছাড়া অস্তিত্বহীন বিড়ি কারখানার লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করতে হবে। এছাড়া সিগারেটের ন্যায় বিড়িতেও অগ্রিম আয়কর ৩ শতাংশ করতে হবে।

মানববন্ধনে শ্রমিকদের হাতে হাতে “বিড়ি শিল্পের কিছু হলে জ¦লবে আগুন ঘরে ঘরে, এদেশ থেকে ব্রিটিশ বনিয়া হঁটাও বিড়ি শিল্প বাঁচাও, অসাধু দুর্নীতিবাজ কাস্টমস কর্মকর্তার বিচার চাই বিচার চাই, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ফুসফুস পড়ায় এদেশে টাকা পাচার করে বিদেশে”সহ বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন দেখা যায়।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এম.কে বাঙ্গালী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।