ঢাকা ০৪:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

বাঁধাকপির বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত সময় ০৫:২৩:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০২২
  • / 105

দিনাজপুরের বিরামপুরে চলতি মৌসুমে বাঁধা কপির বাম্পার ফলন। ছবি: স্বতঃকণ্ঠ


দিনাজপুরের বিরামপুরে চলতি মৌসুমে বাঁধা কপির বাম্পার ফলন হয়েছে। অল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় বাঁধাকপি চাষ করে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় দিনদিন এই উপজেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাঁধাকপি চাষ।

অনুকূল আবহাওয়া, সময়মত বীজ বপন ও সুষম সার ব্যবহারের উপজেলায় এবার বাঁধাকপির ফলন ভালো হয়েছে। এতে লাভের মুখ দেখছেন চাষীরা। এলাকার উৎপাদিত বাঁধাকপি চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। এ অঞ্চলের চাষীরা তাদের উৎপাদিত বাঁধাকপি এখন বাজার জাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছে। বাজারে দামও পাচ্ছেন ভালো।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি সবজি রবি ফসল মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ১২শ ৮০ হেক্টর জমিতে রকমারী শীতকালীন সবজির আবাদ করছে কৃষকরা।

উপজেলার বেশ কিছু এলাকা ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, শীতকালীন সবজি বাঁধাকপি আবাদ করে ভালো লাভ হওয়ায় এখানকার কৃষকরা শীতকালীন সবজি চাষে ক্রমেই আগ্রহী হয়ে উঠছে। তবে এবছর বাঁধাকপির চাষ ও ফলন ভালো হয়েছে।

সবজি বিক্রি বিষয়ে কথা হয় চাষিদের সাথে, তারা বলেন, কষ্ট করে বাঁধাকপি চাষ করলেও বিক্রির বিষয় নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। দাম কম বেশি হলেও এ অঞ্চলে সবজি গাড়ি যোগে বিভিন্ন জেলায় যায়। এছাড়াও কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা জমি থেকে পিচ হিসাবে কিনেন। তবে সব মিলিয়ে বাঁধাকপি চাষে অনেক সুবিধা বলে তারা মনে করছে।

বাঁধাকপি চাষি উপজেলা মুকুন্দপুর গ্রামের আনিছুর রহমান বলেন, আগাম জাতের বাঁধাকপির চাষে ব্যয় বেড়েছে, বিশেষ করে সার কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় কৃষক হতাশ হয়ে পড়েছে। প্রতি বছরের চেয়ে এবছর খরচ দ্বিগুণ তার পরেও সবজি চাষের শুরুতেই ফলন ও বাজার ভালো হওয়ায় সবজি চাষে কিছুটা পুষিয়ে উঠছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল বলেন, উপজেলায় বাঁধাকপি চাষিরা অত্যান্ত শ্রমজীবী এবং ফসল চাষেও অলসতা নেই। যে কারণে তারা ফসলের চাষ করে সুফল পাচ্ছে। এছাড়াও উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগণ নিয়মিত চাষিদের পাশে থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে প্রতিটি ফসল চাষের জন্য কৃষকদের সাথে মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দিয়ে চলেছে।

এই রকম আরও টপিক

বাঁধাকপির বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

প্রকাশিত সময় ০৫:২৩:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০২২

দিনাজপুরের বিরামপুরে চলতি মৌসুমে বাঁধা কপির বাম্পার ফলন হয়েছে। অল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় বাঁধাকপি চাষ করে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় দিনদিন এই উপজেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাঁধাকপি চাষ।

অনুকূল আবহাওয়া, সময়মত বীজ বপন ও সুষম সার ব্যবহারের উপজেলায় এবার বাঁধাকপির ফলন ভালো হয়েছে। এতে লাভের মুখ দেখছেন চাষীরা। এলাকার উৎপাদিত বাঁধাকপি চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। এ অঞ্চলের চাষীরা তাদের উৎপাদিত বাঁধাকপি এখন বাজার জাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছে। বাজারে দামও পাচ্ছেন ভালো।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি সবজি রবি ফসল মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ১২শ ৮০ হেক্টর জমিতে রকমারী শীতকালীন সবজির আবাদ করছে কৃষকরা।

উপজেলার বেশ কিছু এলাকা ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, শীতকালীন সবজি বাঁধাকপি আবাদ করে ভালো লাভ হওয়ায় এখানকার কৃষকরা শীতকালীন সবজি চাষে ক্রমেই আগ্রহী হয়ে উঠছে। তবে এবছর বাঁধাকপির চাষ ও ফলন ভালো হয়েছে।

সবজি বিক্রি বিষয়ে কথা হয় চাষিদের সাথে, তারা বলেন, কষ্ট করে বাঁধাকপি চাষ করলেও বিক্রির বিষয় নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। দাম কম বেশি হলেও এ অঞ্চলে সবজি গাড়ি যোগে বিভিন্ন জেলায় যায়। এছাড়াও কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা জমি থেকে পিচ হিসাবে কিনেন। তবে সব মিলিয়ে বাঁধাকপি চাষে অনেক সুবিধা বলে তারা মনে করছে।

বাঁধাকপি চাষি উপজেলা মুকুন্দপুর গ্রামের আনিছুর রহমান বলেন, আগাম জাতের বাঁধাকপির চাষে ব্যয় বেড়েছে, বিশেষ করে সার কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় কৃষক হতাশ হয়ে পড়েছে। প্রতি বছরের চেয়ে এবছর খরচ দ্বিগুণ তার পরেও সবজি চাষের শুরুতেই ফলন ও বাজার ভালো হওয়ায় সবজি চাষে কিছুটা পুষিয়ে উঠছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল বলেন, উপজেলায় বাঁধাকপি চাষিরা অত্যান্ত শ্রমজীবী এবং ফসল চাষেও অলসতা নেই। যে কারণে তারা ফসলের চাষ করে সুফল পাচ্ছে। এছাড়াও উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগণ নিয়মিত চাষিদের পাশে থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে প্রতিটি ফসল চাষের জন্য কৃষকদের সাথে মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দিয়ে চলেছে।