বিজয়ের মাস ডিসেম্বর কেন্দ্র করে গত চার ডিসেম্বর ২০২২ পাবনা জেলা পরিষদের আয়োজনে, জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আ স ম আব্দুর রহিম পাকনকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মাননা ও সংবর্ধনা প্রদান করেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার ও পাবনা ১ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডঃ শামসুল হক টুকু।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি স্কয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু।

পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন, পাবনা জেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, জেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার, যুগ্ম সচিব কাজী আতিউর রহমান, পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলি মুনসী, পাবনা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোশাররফ হোসেন, পাবনা পৌরসভার মেয়র মোঃ শরিফ উদ্দিন প্রধান প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এসময় সম্মানিত অতিথিদের মাঝে মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও বিভিন্ন শ্রেনীপেশার গন্য মান্য ব্যক্তি বর্গ ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ মুনতাজ উপস্থিত ছিলেন। 

এসময় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাবনার, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেন সমাজ থেকে শুরু করেই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে, শুধু সরকার বা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দোষ দিয়ে চলবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুদক্ষ জনশক্তির গুনবিচাড়ি। 

তিনি বলেন প্রত্যন্ত ভাবেই নিজ নিজে থেকেই একজন মানুষ হিসেবে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। আমরা সভা সমাবেশ সবকিছু করিনা কেন মূলত আত্ম সুদ্ধি সঙ্গে নিয়ে একজন ভালো মানুষ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে সুশিক্ষিত ও সুশৃঙ্খল জীবন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। আমাদের প্রত্যেকেরই ভুল হয়, ভুল বুঝে ভুল গুলো শুধ্রে ফেলতে হবে। তবেই দেশ সমাজ উভয় দিক থেকে উন্নয়ন সম্ভব। 

তিনি দেশ গড়ার উৎস শক্তি তরুন প্রজন্ম যুব সমাজের প্রশংসা করেছেন। তিনি তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির সঙ্গে সুশিক্ষায় মনযোগী হতে বলেন, শিক্ষা ধারণ করতে বলেন।

তিনি যুব সমাজকে ধ্বংসাক্তক মাদকের আগ্রাসন থেকে রক্ষা করতে নিয়ে যুদ্ধ ঘোষনা করেন ও সর্বস্তরের সহায়তা কামনা করেন। মাদক চোরাচালান বন্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনির সর্বাক্তক সহযোগিতা কামনা করেন। পর্যবেক্ষন পূর্বক জেলার বিভিন্ন এরিয়ায় চেক পোস্ট বসিয়ে মাদকের আমদানি নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হয়ে মাদকের মূল সিকড় টেনে বের করে আনতে হবে। মাদক বিক্রি বন্ধের মধ্য দিয়ে সম্পূর্ণ জিরো টলারেন্স নীতি ব্যাক্ত করেন। তাহলে আমরা অনেক দুর এগিয়ে যাব।

এসময় অনুষ্ঠিত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বদিচ্ছা ও এই প্রথম বারের মতো একজন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম পাকন পাবনা জেলা পরিষদের প্রশাসক হলেন জন্য আমরা অত্যন্ত গর্ভীত।

এছাড়াও পাবনা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান জেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি মোঃ রেজাউল রহিম লাল গত দিন গুলোতে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাবনার পুলিশ সুপার আমার পূর্ব পরিচিত তার কর্মদক্ষতার সুনাম অন্য জেলা গুলোতে শুনতে পাওয়া যায়।

এছাড়াও আমাদের জেলা প্রশাসকসহ অন্য সকল অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তা বৃন্দ সুদক্ষ। এভাবে সমন্বিতভাবে ভালো করতে চাইলেই অগ্রগতি সম্ভব। 

এসময় আলোচনার সমাপনী সভাপতিত্বে চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম পাকন বলেন শেষ জীবনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মাননা আমাকে কৃতজ্ঞ করেছে, এই জীবনে আর চাওয়া পাওয়ার কিছু নাই, আমিও ভালো কিছু চাই, দায়িত্বে থেকেও দলমত নির্বিশেষে আলোচনার সাপেক্ষে ভালো কিছু একটার জন্য আহ্বান করেন পাবনার গণমানুষের কাছে।