ঢাকা ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

বিরামপুরে কুঁচিয়া চাষে সফল পারুল কর্মকার

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত সময় ১০:১৮:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২
  • / 120

কুঁচিয়া বা কুঁচে মাছ চাষ পারুল কর্মকারের। ছবি: স্বতঃকণ্ঠ


সাপের মতো দেখতে হলেও কুঁচিয়া এক প্রকার মাছ। এটি আমাদের দেশে কুইচ্চা, কুঁইচা, কুঁচে, কুঁচো ইত্যাদি নামে পরিচিত। 

গত কয়েক বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবেই কুঁচিয়ার চাষ করতে শুরু করেছেন। দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের  কর্মকার পাড়ায় অভিনব পদ্ধতিতে কুঁচিয়া চাষে সফল পারুল কর্মকার । 

কুঁচিয়া চাষি পারুল কর্মকার বলেন, আমি আমার বাড়ির পাশে পতিত জমিতে  চৌবাচ্চা করে প্রথম ছোট আকারে কুঁচিয়ার চাষ শুরু করি। পরে চাহিদা দেখে আকার আরও বাড়িয়েছি।

”প্রথমে অল্প করে শুরু করেছিলাম। তারপর দেখলাম লাভ ভালই হচ্ছে। নিজেরাই খেতে পারছি আবার টাকাও আয় হচ্ছে। পরে আমি আরও কয়েকটি চৌবাচ্চা তৈরি করেছি।”

তিনি আরও জানান, স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের সহযোগিতায় ২০১৮ সালে তিনি প্রথমে একটি চৌবাচ্চা করে কুঁচিয়া চাষ শুরু করেন। সেই সঙ্গে কুঁচিয়ার খাবার হিসাবে দেয়ার জন্য পাশেই দুইটি রিং স্ল্যাবের ভেতরে কম্পোস্ট সার তৈরি করে কেঁচোর চাষাবাদও শুরু করেন।

”কুঁচিয়া তো রাক্ষুসে ধরনের মাছ, কিন্তু থাকে একেবারে মাটির নীচের দিকে। সেখানে কিছু পাইপ দিয়ে রেখেছি, ওরা সেই পাইপের মধ্যে ঢুকে থাকে। ওদের খাবারের জন্য পুকুরে তেলাপিয়া মাছ ছেড়েছি। সেগুলোর বাচ্চা হলে কুঁচিয়া খেয়ে ফেলে। তেলাপিয়া বড় হলে আমরাও খাই।

কুঁচিয়ার খাবার হিসাবে দেয়ার জন্য তিনি কেঁচোর চাষ শুরু করেছিলেন। কিন্তু এখন সেটাই তার আরেকটা আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে।

”গত ছয় মাসে কেঁচো আর কম্পোস্ট সার বিক্রি করেছি প্রায় এক লাখ টাকার। আর কুঁচিয়া তো আমরাও ধরে খাই। না হলে কুঁচিয়া বিক্রি হতো ৮০/৯০ হাজার টাকার।”

”আমার স্বামী চাষাবাদ করে। কিন্তু এখন আমার ইনকাম আমার স্বামীর চেয়েও বেশি,” হাসতে হাসতে বলছিলেন পারুল কর্মকার।

এই রকম আরও টপিক

বিরামপুরে কুঁচিয়া চাষে সফল পারুল কর্মকার

প্রকাশিত সময় ১০:১৮:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২

সাপের মতো দেখতে হলেও কুঁচিয়া এক প্রকার মাছ। এটি আমাদের দেশে কুইচ্চা, কুঁইচা, কুঁচে, কুঁচো ইত্যাদি নামে পরিচিত। 

গত কয়েক বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবেই কুঁচিয়ার চাষ করতে শুরু করেছেন। দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের  কর্মকার পাড়ায় অভিনব পদ্ধতিতে কুঁচিয়া চাষে সফল পারুল কর্মকার । 

কুঁচিয়া চাষি পারুল কর্মকার বলেন, আমি আমার বাড়ির পাশে পতিত জমিতে  চৌবাচ্চা করে প্রথম ছোট আকারে কুঁচিয়ার চাষ শুরু করি। পরে চাহিদা দেখে আকার আরও বাড়িয়েছি।

”প্রথমে অল্প করে শুরু করেছিলাম। তারপর দেখলাম লাভ ভালই হচ্ছে। নিজেরাই খেতে পারছি আবার টাকাও আয় হচ্ছে। পরে আমি আরও কয়েকটি চৌবাচ্চা তৈরি করেছি।”

তিনি আরও জানান, স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের সহযোগিতায় ২০১৮ সালে তিনি প্রথমে একটি চৌবাচ্চা করে কুঁচিয়া চাষ শুরু করেন। সেই সঙ্গে কুঁচিয়ার খাবার হিসাবে দেয়ার জন্য পাশেই দুইটি রিং স্ল্যাবের ভেতরে কম্পোস্ট সার তৈরি করে কেঁচোর চাষাবাদও শুরু করেন।

”কুঁচিয়া তো রাক্ষুসে ধরনের মাছ, কিন্তু থাকে একেবারে মাটির নীচের দিকে। সেখানে কিছু পাইপ দিয়ে রেখেছি, ওরা সেই পাইপের মধ্যে ঢুকে থাকে। ওদের খাবারের জন্য পুকুরে তেলাপিয়া মাছ ছেড়েছি। সেগুলোর বাচ্চা হলে কুঁচিয়া খেয়ে ফেলে। তেলাপিয়া বড় হলে আমরাও খাই।

কুঁচিয়ার খাবার হিসাবে দেয়ার জন্য তিনি কেঁচোর চাষ শুরু করেছিলেন। কিন্তু এখন সেটাই তার আরেকটা আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে।

”গত ছয় মাসে কেঁচো আর কম্পোস্ট সার বিক্রি করেছি প্রায় এক লাখ টাকার। আর কুঁচিয়া তো আমরাও ধরে খাই। না হলে কুঁচিয়া বিক্রি হতো ৮০/৯০ হাজার টাকার।”

”আমার স্বামী চাষাবাদ করে। কিন্তু এখন আমার ইনকাম আমার স্বামীর চেয়েও বেশি,” হাসতে হাসতে বলছিলেন পারুল কর্মকার।