ব্রিটিশ আমলের পূর্বে ১০০০/১৫০০ বঙ্গাব্দে গ্রাম পরিষদের আবির্ভাব ঘটে। সে সময় গ্রাম পরিষদের সমস্ত দেখাশোনা করার জন্য ৩২৪ অব্দে গ্রাম প্রশাসনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। ব্রিটিশ আমলের অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ভিত্তি আরও সুদৃড় কারার জন্য ১৮৭০ সালে স্থানীয় সরকারের উদ্ভব ঘটে। সেই থেকে শুরু করে আজ অবধি বিভিন্ন নিয়ম শৃঙ্খলার গতানুগতিক পরিবর্তিত ধারাবাহিকতায় গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার শাখা উন্নয়নের ক্ষেত্রে জেলায় অবস্থিত ইউনিয়ন পরিষদের ভালোমন্দ গুলো দেখাশোনা করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় পাবনাস্থ এবং পদ্মা নদী বিচ্ছিন্ন কুষ্টিয়া জেলার চর সাদিপুর ইউনিয়ন এর সার্বিক দেখাশোনা করে কুষ্টিয়ার স্থানীয় সরকার বিভাগ। কিন্তু খোঁজ নিয়ে ও স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী জানা যায় পাবনাস্থ কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার চর সাদিপুর ইউনিয়ন, কুষ্টিয়ার স্থানীয় সরকার পুরোপুরি ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন না। 

অন্য দিকে চর সাদিপুরে অবস্থিত ৩০ হাজার মানুষ তাদের জীবিকার তাগিদে পাবনাকেই সবচেয়ে বেশি ব্যাবহার করে। এভাবেই তাদের মৌলিক বিষয় গুলো প্রতিপালন করতে গিয়ে তারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

অন্য দিকে সংযুক্ত পাবনা ও কুষ্টিয়ার দারস্থ সাদিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দারা বিভিন্ন সরকারি অফিস-আদালত ব্যাবসা বানিজ্য থেকেও খুব ভালো সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না। স্কুল কলেজ মাদ্রাসায়ও শিক্ষা ব্যাবস্থাও খুব ভালো নয়। স্থানীয় চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যবেক্ষণপূর্বক দেখা যায় স্কুল শিক্ষার্থীতে পরিপূর্ণ ও স্কুলে শিক্ষক অনেক কম রয়েছে। এছাড়াও স্কুলের স্যানিটেশন ব্যাবস্থা করুন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের স্মরণে কোন শহিদ মিনার স্থাপিত হয় নি, যেখানে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার স্থাপন বাধ্যতা মূলক ঘোষণা করেছেন। 

এভাবেই সাধারণ মানুষের দিকে লক্ষ্য করে বিভক্ত কুষ্টিয়া পদ্মার পাশ্ববর্তী উত্তরে অবস্থিত চর সাদিপুর ইউনিয়নের সামান্য ২৪.৮৭ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে পাবনায় স্থানান্তর করলে, গ্রামের মানুষজন পাবনা থেকেই সমস্ত সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারত এবং এই মানুষ গুলোর গুরুত্ব বৃদ্ধি ও অল্প সময়ের মধ্যে সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হতো।