শুরু হচ্ছে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের তিনদিনব্যাপি ১৩২তম আবির্ভাব-তিথি মহোৎসব
- প্রকাশিত সময় ০৭:৪০:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
- / 132
উৎসব আনে জাতির জাগরণ, সৃষ্টি করে জীবনের স্পন্দন/ উৎসব মানে, শ্রেয়-সৃজনী সংহতি ও সমাবেশ শীর্ষ প্রতিপাদ্য নিয়ে পাবনার হিমাইতপুর সৎসঙ্গ আশ্রমে যুগ-পুরুষোত্তম শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের শুভ ১৩২তম আবির্ভাব-তিথি ও ভাগীরথী পদ্মায় পুণ্যস্নান উৎসবের পুণ্য মিলন মেলার মহোৎসব আজ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে।
শুক্রবার, শনি ও রোববার তিনদিনের এই মহোৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করবেন পররাষ্ট্র সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি।
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমের সভাপতি ড. শ্রীরবীন্দ্রনাথ সরকারের (প্রতিঋত্বিক) সভাপতিত্বে মহোৎসবের উদ্বোধনী দিনে বিশেষ অতিথি থাকবেন জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ ও পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম, বিপিএম, পিপিএম।
উদ্বোধনী দিনে সকাল থেকে শুরু হবে ভোরের প্রার্থনা ও সদগ্রন্থাদি পাঠ, কর্মী বৈঠক, ভক্তিমূলক গানের অনুষ্ঠান, রামায়ণ গান, যুব সম্মেলন, সান্ধ্য প্রার্থনা, বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠান, ধর্মসভা এবং শেষে লোকরঞ্জন ও বাউল সঙ্গীত।
মহোৎসবের দ্বিতীয়দিনে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন সৎসঙ্গ সভাপতি ড. শ্রীরবীন্দ্রনাথ সরকার। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাজশাহী ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার শ্রীসঞ্জীব কুমার ভাটি। এছাড়াও বিশেষ অতিথি থাকবেন জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শ্রীচন্দনকুমার চক্রবর্তী ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সমাজসেবক কবি সোহানী হোসেন। এছাড়াও দুপুরে অনুষ্ঠিত হবে মাতৃ সম্মেলন। ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা করবেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ইতিরাণী বিশ্বাস।
দ্বিতীয় দিনে ঊষা কীর্তন ও মাঙ্গলিকী, ভোরের প্রার্থনা, শ্রীমন্দিরে জন্মলগ্ন ঘোষনা, জাতীয় সংগীত ও মাতৃবন্দনা সহযোগে জাতীয় পতাকা ও সৎসঙ্গ পতাকা উত্তোলন, কুইজ প্রতিযোগিতা, মাতৃ সম্মেলন, ধর্মসভা ও সান্ধ্য প্রার্থনা। এছাড়াও রাতে কবিগানের আসর বসবে। এ আসরে উপমহাদেশের প্রখ্যাত কবিয়াল কবি অসীম সরকার কবিগানে আগতদের মাতাবেন।
সমাপনী দিনে দেশ বিদেশ থেকে আগত গুণীজনেরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন। এছাড়াও এদিনে উষা কীর্তন ও মাঙ্গলিকী, ভোরের প্রার্থনা, কিশোর মেলা, বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সান্ধ্য প্রার্থনা ও ধর্মসভার মধ্যদিয়ে তিনদিনের এই মহোৎসব শেষ হবে।
তিনদিনের উৎসব কমিটির আহবায়ক ড. নরেশ মধু জানান, ঠাকুরের আবির্ভাব-তিথির তিনদিনের মহোৎসবে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দেশ বিদেশ থেকে ভক্তদের পদচারণায় ঠাকুরের আশ্রম পূর্ণতা পেতে শুরু করেছে। আগত দর্শণার্থী ও ভক্তদের বিনোদনে নানা পসরা নিয়ে বসেছে দোকানীরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। তিনদিনের এই মহোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্নের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন আশ্রম কর্তৃপক্ষ।