ঢাকা ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪
আসন সংকটে যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে

পাবনা-রাজশাহী রেলরুট : আন্তঃজেলা ট্রেন চালুর দাবি যাত্রীদের

পাবনা প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত সময় ০৬:১১:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • / 163

পাবনা রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় হাজারও যাত্রী। ছবি: স্বতঃকণ্ঠ



দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো পাবনা শহর থেকে ঢাকা রুটে একটি আন্তঃজেলা ট্রেনের চালু করা সরকারের কাছে।

কিন্তু বার বার চেষ্টা করেও রেলের দেখা না মিললেও ২০১৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে পাবনা জেলা সকল এমপিদের সংসদে রেলের দাবি উৎথাপিত হওয়ার পরে পাবনা—রাজশাহী রুটে রেল লাইন নির্মাণ করে একটি রেল নিয়মিত চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয় সরকার। যেখানে রেল মন্ত্রণালয় সরকারকে জানিয়েছিলেন যে পাবনা—রাজশাহী রুটে রেল চলাচল সম্পূর্ণ লোসে চালাতে হবে রেল মন্ত্রণালয়ের । কিন্তুু সরকার রেল মন্ত্রণালয় ও রেল সংশ­ীষ্ট কর্তৃপক্ষের কথা মাথায় রেখে লোস হলেও পাবনাবাসির দাবির পেক্ষিতে এই ছোট রেলপথটি চালু করে।

কিন্তু রেল চালুর পর থেকে ২—১ বছর সঠিকভাবে যাত্রী না পাওয়ায় রেল চলাচল নিয়মিত না থাকলেও বর্তমানে এই ছোট রুটটিতে ব্যাপক যাত্রীর উপস্থিতি দেখা মিলছে। পাবনা পৌরসভার অন্তর্গত লস্করপুর এ পাবনা শহরবাসির জন্য বড় একটি রেল স্টেশন স্থাপন করা হয়। আর এই রেল স্টেশনটি নির্মাণ করার কয়েক বছরের মাথায় এখন পাবনা শহর বাসির রাজশাহীসহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি জেলাতে যাত্রা করতে ঢালার চর এক্সপ্রেসের রেলটি ব্যবহার করছে। পাবনার এই স্টেশনটিতে এসে দেখা গিয়েছে প্রায়দিনই প্রায় কয়েক হাজার যাত্রী রেল পথে যাতয়াত শুরু করেছে কিন্তু তারা পর্যাপ্ত আসন বা টিকিট পাচ্ছেননা ।

এ বিষয়টি নিয়ে সাধারণ যাত্রীদের সাথে কথা হলে তারা জানায় সরকার কেন যে এই রুটটি একটি আন্তঃজেলা ট্রেন দিচ্ছেনা আমাদের বুঝে আসেনা। কারণ পাবনা শহর বাসি এখন রেল পথে ভ্রমণ করতে অতিউৎসাহ প্রকাশ করছে যার দৃশ্যমান যাত্রী উপস্থিতি আপনি নিজের চোখেই দেখতে পাচ্ছেন সাংবাদিক ভাই। তবে আমাদের এই রুটটিতে প্রথমত যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে টিকিট ও আসনের অভাবে।

পাবনা থেকে রাজশাহী প্রায় ১০০ কি.মি. এর যাত্রা পথ। আর এতো যাত্রা পথে দাড়িয়ে দাড়িয়ে যাওয়া আমাদের জন্য খুব কষ্ট হয়ে যায় । কিন্তু কেন রেল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই বিষয় টিকে মাথায় নিচ্ছেনা কেনই বা রেলে আসন সংখ্যা বাড়াচ্ছেনা আর আসন সংখ্যা বাড়ানো কি এখানে একটি জরুরি ভিত্তিতে আন্তঃজেলা ট্রেন প্রয়োজন হয়ে দাড়িয়েছে।

তাহলে কোন স্বার্থের জন্য রেল কর্তৃপক্ষ এই রুটে একটি আন্তঃজেলা বড় ট্রেন দিচ্ছেনা সেটা আমারা জানতে চাই আমাদের প্রশ্ন ?

ট্রেনটি দিয়ে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার যাত্রী নারী পুরুষ অতিকষ্টে দাড়িয়ে দাড়িয়ে রেল যাত্রা করছে। অথচ আমার সবাই জানি যে রেলপথে যাত্রা অতি আনন্দের ও আরামদায়ক হয়। কিন্তু আমারে এই পাবনায় রেলে যাত্রা করে কোন আরাম নেই, আরো ভোগান্তি হচ্ছে আমাদের। যদি ভালো একটি আন্তঃজেলা মানের ভালো ট্রেন দিতো তাহলে আমরা প্রতিনিয়ত অনেক আরামের সাথে রাজশাহী সহ আরো অনেক জেলায় চলাচল করতে পারতাম। এ ছাড়াও পাবনা—রাজশাহী রুটের ঢালারচর এক্সপ্রেসে ট্রেনটি অনেক পুরাতন ট্রেন হওয়ায় ট্রেনটির ভিতরে সিট, বৈদুতিক পাখা , বেগ রাখার রেকগুলো নষ্ট ও অচল হওয়ায় যাত্রীরা সেগুলো ব্যবহার করতে পারছেনা। আর সব থেকে বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে আসন সংকট। কারন রুটটিতে যে ট্রেনটি চলাচল করছে যে ট্রেনটিতে চাহিদার তুলনায় অনেক আসন সংখ্যা কম হওয়ায় নারী, ছোট বাচ্চা সহ বৃদ্ধদের বেশি কষ্ট হচ্ছে দাড়িয়ে দাড়িয়ে যেতে গিয়ে। আর গরমের সময় অতিরিক্ত চাপাচাপি অচল ট্রেন হওয়ায় ট্রেনটিতে প্রায় দিনই অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

তাই যাত্রীসেবা বাড়াতে অতি দ্রুত পাবনা—রাজশাহী রুটে একটি আন্তঃজেলা মানের রেল চালুর জন্য জোর দাবি জানিয়েছে পাবনাবাসি। তাই সরকার তথা রেল কর্তৃপক্ষ যদি পাবনা—রাজশাহী রুটে রেল চালুর বিষয়ে সুদৃষ্টি দেয় তাহলে পাবনবাসির রেল পথে আরো বেশি আরামদায়ক ভ্রমণ করতে পারবে বলে পাবনার অভিজ্ঞমহল জানিয়েছেন।

এই রকম আরও টপিক

আসন সংকটে যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে

পাবনা-রাজশাহী রেলরুট : আন্তঃজেলা ট্রেন চালুর দাবি যাত্রীদের

প্রকাশিত সময় ০৬:১১:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২২


দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো পাবনা শহর থেকে ঢাকা রুটে একটি আন্তঃজেলা ট্রেনের চালু করা সরকারের কাছে।

কিন্তু বার বার চেষ্টা করেও রেলের দেখা না মিললেও ২০১৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে পাবনা জেলা সকল এমপিদের সংসদে রেলের দাবি উৎথাপিত হওয়ার পরে পাবনা—রাজশাহী রুটে রেল লাইন নির্মাণ করে একটি রেল নিয়মিত চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয় সরকার। যেখানে রেল মন্ত্রণালয় সরকারকে জানিয়েছিলেন যে পাবনা—রাজশাহী রুটে রেল চলাচল সম্পূর্ণ লোসে চালাতে হবে রেল মন্ত্রণালয়ের । কিন্তুু সরকার রেল মন্ত্রণালয় ও রেল সংশ­ীষ্ট কর্তৃপক্ষের কথা মাথায় রেখে লোস হলেও পাবনাবাসির দাবির পেক্ষিতে এই ছোট রেলপথটি চালু করে।

কিন্তু রেল চালুর পর থেকে ২—১ বছর সঠিকভাবে যাত্রী না পাওয়ায় রেল চলাচল নিয়মিত না থাকলেও বর্তমানে এই ছোট রুটটিতে ব্যাপক যাত্রীর উপস্থিতি দেখা মিলছে। পাবনা পৌরসভার অন্তর্গত লস্করপুর এ পাবনা শহরবাসির জন্য বড় একটি রেল স্টেশন স্থাপন করা হয়। আর এই রেল স্টেশনটি নির্মাণ করার কয়েক বছরের মাথায় এখন পাবনা শহর বাসির রাজশাহীসহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি জেলাতে যাত্রা করতে ঢালার চর এক্সপ্রেসের রেলটি ব্যবহার করছে। পাবনার এই স্টেশনটিতে এসে দেখা গিয়েছে প্রায়দিনই প্রায় কয়েক হাজার যাত্রী রেল পথে যাতয়াত শুরু করেছে কিন্তু তারা পর্যাপ্ত আসন বা টিকিট পাচ্ছেননা ।

এ বিষয়টি নিয়ে সাধারণ যাত্রীদের সাথে কথা হলে তারা জানায় সরকার কেন যে এই রুটটি একটি আন্তঃজেলা ট্রেন দিচ্ছেনা আমাদের বুঝে আসেনা। কারণ পাবনা শহর বাসি এখন রেল পথে ভ্রমণ করতে অতিউৎসাহ প্রকাশ করছে যার দৃশ্যমান যাত্রী উপস্থিতি আপনি নিজের চোখেই দেখতে পাচ্ছেন সাংবাদিক ভাই। তবে আমাদের এই রুটটিতে প্রথমত যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে টিকিট ও আসনের অভাবে।

পাবনা থেকে রাজশাহী প্রায় ১০০ কি.মি. এর যাত্রা পথ। আর এতো যাত্রা পথে দাড়িয়ে দাড়িয়ে যাওয়া আমাদের জন্য খুব কষ্ট হয়ে যায় । কিন্তু কেন রেল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই বিষয় টিকে মাথায় নিচ্ছেনা কেনই বা রেলে আসন সংখ্যা বাড়াচ্ছেনা আর আসন সংখ্যা বাড়ানো কি এখানে একটি জরুরি ভিত্তিতে আন্তঃজেলা ট্রেন প্রয়োজন হয়ে দাড়িয়েছে।

তাহলে কোন স্বার্থের জন্য রেল কর্তৃপক্ষ এই রুটে একটি আন্তঃজেলা বড় ট্রেন দিচ্ছেনা সেটা আমারা জানতে চাই আমাদের প্রশ্ন ?

ট্রেনটি দিয়ে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার যাত্রী নারী পুরুষ অতিকষ্টে দাড়িয়ে দাড়িয়ে রেল যাত্রা করছে। অথচ আমার সবাই জানি যে রেলপথে যাত্রা অতি আনন্দের ও আরামদায়ক হয়। কিন্তু আমারে এই পাবনায় রেলে যাত্রা করে কোন আরাম নেই, আরো ভোগান্তি হচ্ছে আমাদের। যদি ভালো একটি আন্তঃজেলা মানের ভালো ট্রেন দিতো তাহলে আমরা প্রতিনিয়ত অনেক আরামের সাথে রাজশাহী সহ আরো অনেক জেলায় চলাচল করতে পারতাম। এ ছাড়াও পাবনা—রাজশাহী রুটের ঢালারচর এক্সপ্রেসে ট্রেনটি অনেক পুরাতন ট্রেন হওয়ায় ট্রেনটির ভিতরে সিট, বৈদুতিক পাখা , বেগ রাখার রেকগুলো নষ্ট ও অচল হওয়ায় যাত্রীরা সেগুলো ব্যবহার করতে পারছেনা। আর সব থেকে বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে আসন সংকট। কারন রুটটিতে যে ট্রেনটি চলাচল করছে যে ট্রেনটিতে চাহিদার তুলনায় অনেক আসন সংখ্যা কম হওয়ায় নারী, ছোট বাচ্চা সহ বৃদ্ধদের বেশি কষ্ট হচ্ছে দাড়িয়ে দাড়িয়ে যেতে গিয়ে। আর গরমের সময় অতিরিক্ত চাপাচাপি অচল ট্রেন হওয়ায় ট্রেনটিতে প্রায় দিনই অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

তাই যাত্রীসেবা বাড়াতে অতি দ্রুত পাবনা—রাজশাহী রুটে একটি আন্তঃজেলা মানের রেল চালুর জন্য জোর দাবি জানিয়েছে পাবনাবাসি। তাই সরকার তথা রেল কর্তৃপক্ষ যদি পাবনা—রাজশাহী রুটে রেল চালুর বিষয়ে সুদৃষ্টি দেয় তাহলে পাবনবাসির রেল পথে আরো বেশি আরামদায়ক ভ্রমণ করতে পারবে বলে পাবনার অভিজ্ঞমহল জানিয়েছেন।