ঈশ্বরদীতে কলা ও শিম গাছ কেটে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগ
- প্রকাশিত সময় ১০:৫৫:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২
- / 108
উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির ওপর লাগানো কলা ও শিম গাছ কেটে উল্টো মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামের মিজানুর রহমান মজনু। রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মজনু মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মজনু বলেন, আমার দাদির ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত নিজ নামীয় (এসএ খতিয়ান ৫৪, এসএ দাগ ১৫৬, আরএস খতিয়ান ৫১, আরএস দাগ ২২৬, দলিল নং ১,০৬৫/ ৩,৫০০ খারিজ হিসাব নং ৩৮৬) সম্পত্তি ভোগদখল করছি। গত ২১ ডিসেম্বর ওই সম্পত্তির ওপর আমাদের আবাদকৃত কলা ও শিম গাছ ফারুক হোসেন ও তার সহযোগী আব্দুস সামাদ গং সন্ত্রাসী কায়দায় গাছ কর্তন ও লুটপাট করে জোরপূর্বক ঘর উত্তোলন করে। পরে ওই সন্ত্রাসীরা আমার ও আমার দুই ভাইয়ের নামে থানায় মিথ্যা বিভ্রান্তিমূলক মামলা দায়ের করে। ঘটনা তদন্তপূর্বক এহেন পরিস্থিতি প্রতিকারের জন্য তিনি সমাজের বিবেকবানদের সহযোগীতা কামনা করেন।
এবিষয়ে ফারুক হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বুধবার বেতবাড়িয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ৫ শতাধিক ফলন্ত কলার গাছ ও ১ বিঘা জমির ফলন্ত শিম গাছ কেটে ফেলে প্রতিপক্ষরা। রাতেই ৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনকে আসামী করে ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, গাছকাটার ঘটনা খুবই ন্যাক্কারজনক এবং ক্ষমার অযোগ্য। অভিযোগ পাওয়ার পর তাৎক্ষনিকভাবে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।