বিরামপুরে জমে উঠেছে শীতকালীন ব্যাডমিন্টন
- প্রকাশিত সময় ১১:১৬:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২
- / 85
প্রায় মাস খানেক পূর্ব থেকে নামতে শুরু করেছে শীত। আর তাই খোলা মাঠের জমিতে, বাগানে কিংবা বাড়ির পাশের জমিতে কোর্ট কেটে লাইটের আলোয় চলছে খেলা। র্যাকেটের বাড়ি খেয়ে হাওয়ায় উড়ছে কর্ক।
কেউ সমস্বরে পয়েন্ট গুনছেন, কেউবা সুযোগ পেয়ে সজোরে ‘চাপ’ বসিয়ে দিচ্ছেন বিপক্ষ দলের কোর্টে। কোর্টের পাশে র্যাকেট হাতে দাঁড়িয়ে অন্যান্য খেলোয়াড়, দর্শক। র্যাকেটের বাড়ি আর দর্শকের হাত তালিতে মুখর পুরো এলাকা।
এ চিত্র কলেজিয়েট স্কুলপাড়া, কলেজপাড়া, ঘাটপাড়, নতুনবাজার, উপজেলা অফিসার্স ক্লাব ও উপজেলার প্রায় প্রতিটা শহর ও গ্রামে। শিশু থেকে শুরু করে কিশোর, যুবক, মধ্য বয়সীসহ চাকুরিজীবিরা এখন ব্যাডমিন্টন খেলায় মেতে উঠেছেন।
শীতের সন্ধ্যায় পাড়া কিংবা মহল্লায়, শহর কিংবা গ্রামে ব্যাডমিন্টন খেলার এ চিত্র খুব পরিচিত। শীত এলেই বাড়ির আঙিনা বা অন্য কোথাও জমে ওঠে এই মৌসুমী খেলা। সন্ধ্যা নামার পরপরই র্যাকেট নিয়ে মাঠে হাজির হন অফিস ফেরত কর্মজীবী ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। সকালেও কোন কোন যায়গায় মিলছে এ খেলা। এসব খেলোয়াড়দের হুল্লোড়ে মুখর থাকে পুরো এলাকা।
বিরামপুরের যুবসমাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী ছেলে মেয়েরা সন্ধ্যার পর থেকেই ব্যাডমিন্টন খেলায় মেতে ওঠেন। বিশেষ করে সন্ধ্যা ৭ টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এই খেলায় অংশ নেওয়া মানুষের সংখ্যা থাকে বেশি।
গতকাল রোববার সন্ধ্যার পূর্ব মূহুর্তে বিরামপুর পৌর শহরের কলেজপাড়া গিয়ে দেখা যায়, ব্যাটমিন্টন খেলায় মেতে উঠেছে শিশু কিশোররা। ব্যাটমিন্টন নেটের দুই পাশের খুঁটিতে বিদ্যুতিক বাল্ব জ্বালানোর জন্য তৈরি রেখেছে। সন্ধ্যা হলেই তা অন করা হবে। পৌর শহরের কলেজপাড়ার খেলোয়াড়রা বলেন, ‘ব্যাডমিন্টন আমাদের খুবই প্রিয় খেলা। শীতের শুরুতেই আমরা এই খেলা শুরু করেছি। প্রতিদিন সন্ধ্যায় এখানে ব্যাডমিন্টন খেলতে আসি। তারা আরও বলেন, খেলার সকল উপকরণ নিজ উদ্যোগে কিনেছেন। এ খেলার জন্য নির্ধারিত মাঠ তৈরি করে দেওয়া হলে ভালো হয় বলে জানান তারা।
কলেজপাড়া মহল্লার কয়েকজন খেলোয়াড় বলেন, ডিসেম্বর মাস শেষের দিকে। পড়ালেখার চাপ তেমন একটা নেই। তাই সন্ধ্যা হলেই বন্ধুদের সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলতে চলে আসি।
কলেজপাড়া মহল্লার ব্যাডমিন্টন কোর্টের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দর্শক তুহিন বলেন, খেলা দেখতে বেশ ভালো লাগে আমার। তাই প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই এখানে খেলা দেখতে আসি।
ভারতীয় সীমান্তবর্তী কাটলা গ্রামের খেলোয়াড় সোহেল রানা বলেন, আমাদের এই এলাকাটি সীমান্তবর্তী হওয়ায় মাদকের প্রবণতা বেশি। শীত আসলেই বিভিন্ন বয়সের খেলোয়াড়রা এখানে ব্যাডমিন্টন খেলতে মেতে ওঠেন। খেলাধুলার মধ্যে ডুবে থাকলে শরীরের পাশাপাশি মনও ভালো থাকে।