রাণীনগরে শীতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত শিশু রোগীর সংখ্যা
- প্রকাশিত সময় ০৯:৩৩:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৩
- / 85
গত কয়েক দিন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের মত নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় কমছে তাপমাত্রা। হাড় কাঁপানো শীতে ও কনকনে বাতাসে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। ফলে বাড়ছে ঠান্ডা, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়েরিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগ। এই শীতে রাণীনগর হাসপাতালে দিন দিন বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভুগছে শিশুরা।
হাসপাতাল ঘুরে জানা গেছে, শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। অনেক বাবা—মা জ্বর, সর্দি—কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও ডায়েরিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। ডাক্তার দেখাতে লাইনে ধরে ভির করছে শিশু বিশেষজ্ঞের কক্ষের সামনে। এরপর একে একে অবিভাবকরা শিশুদের ডাক্তার দেখাচ্ছেন। এছাড়া নানা বয়সী মানুষ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে রাণীনগর হাসপাতালের জরুরী বিভাগ থেকে শুরু করে হাসপাতালের আউটডোরে বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, বর্তমানে হাসপাতালে শিশুসহ নানা বয়সী প্রায় ৩০ জন ঠান্ডাজনিত রোগী ভর্তি আছেন। এছাড়া হাসপাতালে ১ জানুয়ারি থেকে শুরু করে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ৬ শতার্ধিক ঠান্ডাজনিত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
আউটডোরে ডাক্তার দেখাতে আসা শিশুর মা রুমা বেগম বলেন, তার শিশু কণ্যার ধান্ডা লেগেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেশ কয়েকবার পতলা পাইখানা করে। এরপর তিনি শিশুকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য দুপুরে হাসপাতালে এসে শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে দেখান। ডাক্তার বলেছে শিশুর ডায়েরিয়া হয়েছে।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত সাব্বির হোসেন বলেন, গত কয়েক দিন আগে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে প্রচুর ঠান্ডা লাগে। এরপর থেকে জ্বর—সর্দি ও কাশি শুরু হয়।
এরপর হাসপাতালের এক ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিয়ে একটু ভালো হয়েছি। পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে উঠতে আবারও হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে এসেছি।
হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: মোকাদ্দেশ রাব্বানী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ জন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন তিনি।
রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: কেএইচএম ইফতেখারুল আলাম খান বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকলে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যাও বেশি হয়। এতে নানা বয়সি মানুষ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এর মধ্যে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, শীতের সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। শিশুর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাসায় সবসময় শিশুদের কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখতে হবে। শিশু কোনো অবস্থায় যেন ভেজা না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তা হলে ঠাণ্ডার সমস্যা থেকে
শিশুরা কিছুটা হলেও সুরক্ষা পাবে।