আশ্রমের উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনার সনজিত কুমার ভাতি
- প্রকাশিত সময় ০৮:১৬:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯
- / 112
ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনার সনজিত কুমার ভাতি পাবনার হেমায়েতপুর শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র আশ্রমের উন্নয়নের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাকে ডেকে, আমাকে কিছু বলার সুযোগ দেওয়ায় আমি আনন্দিত, অভিভূত। ঠাকুরের জন্মভূমিতে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। সনজিত কুমার ভাট্টি ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আশ্রমের এই মহোৎসবে দেশ বিদেশ থেকে আগত পূণার্থী, ভক্ত ও অনুসারীদের অভিবাদন জানান।
শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র’র ১৩২তম আবির্ভাব তিথি ও ভাগীরথী পদ্মায় পুণ্যস্নান শীর্ষক তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন বিকেলে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনার সনজিত কুমার ভাট্টি উপরোক্ত কথা বলেছেন।
সৎসঙ্গ আশ্রমের সভাপতি ড. রবীন্দ্রনাথ সরকারের (প্রতিঋত্বিক) সভাপতিত্বে ও উৎসব কমিটির আহবায়ক ড. নরেশ চন্দ্র মধুর সঞ্চালনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কলকাতা থেকে আগত বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব প্রলয় মজুমদার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা কমল সেন, নারী শিল্প উদ্যোক্তা, সমাজ সেবক কবি সোহানী হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা চন্দন কুমার চক্রবর্তী, রঞ্জন সাহা, আশ্রমের সাবেক সম্পাদক যুগোল কিশোর ঘোষসহ আরও অনেকে।
আলোচনা সভায় বক্তারা দাবী করেন, ঠাকুরের জন্মভূমিতে কোন বিভাজন নয়, যারা ঠাকুরকে নিয়ে, ঠাকুরের জন্মস্থান নিয়ে বিভাজন সৃষ্টি করে তারা কখনো ঠাকুরের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেনি। ঠাকুরের এই জন্মস্থান দেশ বিদেশে ইতোমধ্যে বেশ সুনাম অর্জন করেছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই সুনাম ছড়িয়ে যাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। বক্তারা ঠাকুরের জন্মভূমি তথা ঠাকুরকে নিয়ে বিভাজনে না গিয়ে ঠাকুরের বাণী প্রচারে নিজেদের অবস্থান থেকে স্বোচ্ছার হয়ে কাজ করতে হবে এমন আহবান জানান ঠাকুর অনুসারী ভক্তদের।
দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচীর মধ্যে ঊষা কীর্তন ও মাঙ্গলিকী, ভোরের প্রার্থনা, শ্রীমন্দিরে জন্মলগ্ন ঘোষনা, জাতীয় সংগীত ও মাতৃবন্দনা সহযোগে জাতীয় পতাকা ও সৎসঙ্গ পতাকা উত্তোলন, কুইজ প্রতিযোগিতা, মাতৃ সম্মেলন, ধর্মসভা ও সান্ধ্য প্রার্থনা করা হয়। রাতে উপমহাদেশের প্রখ্যাত কবিয়াল কবি অসীম সরকার কবিগান পরিবেশন করে আগতদের মাতিয়ে তোলেন।