ঢাকা ১১:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

নিজেদের জায়গা ভাঁড়া দিয়ে রাস্তায় ঈশ্বরদী রিক্সা সমিতি, সীমাহীন ভোগান্তি শহরজুড়ে

ঈশ্বরদী প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত সময় ০৫:০২:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • / 165

ঈশ্বরদী: রিকসা সমিতির সামনের সড়ক, সর্বক্ষণ থাকে যানজটপুর্ণ। ছবি: স্বতঃকণ্ঠ


নিজেদের ব্যবহারের জন্য রেলওয়ে থেকে এককালীন লিজ নিয়ে নিজেদের শুশৃঙ্খলা আর শহরকে যানজট মুক্ত রাখতে যে গ্যারেজটি তৈরী করেছিল সেটি এখন ভাড়া দিয়ে রাস্তায় অবস্থান করছে ঈশ্বরদী রিক্সা সমিতি। এতে করে প্রতিনিয়ত যানজটে অতিষ্ট হচ্ছে জনজীবন আর রাস্থায় নির্ধারিত স্ট্যান্ডের অভাবে ঠোকর খেয়ে বেড়াচ্ছে রিক্সা চালকরা। রিক্সা চালকদের এই ভোগান্তি সমিতিতে রাজনীতি করনের কারণে আরও তীব্রতর হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীদের অনেকেই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, রিক্সা স্ট্যান্ডের জন্য নির্ধারিত স্থানে প্রভাবশালীরা তৈরী করেছে মোটরসাইকেল গ্যারেজ, শরবত, ফলের দোকানসহ একাধিক জুতার দোকান। সংগত কারনেই নিজেদের জায়গায় ঠাই না পেয়ে রিক্সা নিয়ে চালকরা ভিড় জমাচ্ছে রাস্তার উপরে। ফলস্রুতিতে বাজারের রাস্তা জুড়ে যানজট লেগেই থাকে। আর বাজারে সৃষ্ট এই যানজটের প্রভাব পড়ছে পুরো শহর জুড়ে। বাড়ছে নিত্য চলাচল কারীদের ভোগান্তি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রিক্সা চালক সমিতির এক সদস্য জানান, বাৎসরিক ৭০ হাজার টাকা চুক্তিতে স্ট্যান্ডটি লিজদেন রিক্সা শ্রমিক নেতারা। সেই চুক্তির টাকা দিয়ে আহত এবং অসুস্থ চালকদের সেবায় ব্যয় করার কথা থাকলেও সেটা এখন শুধুই স্বপ্ন। কেননা প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাওয়ায় গত প্রায় ৭/৮ বছর চুক্তির একটি টাকাও দেননি নামীয় ইজারাদার প্রভাবশালীরা। ফলে আমরা হারিয়েছি আমাদের স্ট্যান্ড পাশাপাশি অসুস্থ সহকর্মীরাও হারাচ্ছে তাদের ন্যূন্যতম অধিকার।

তিনি আরও বলেন, ঈশ্বরদী রিক্সাচালক সমিতির মোট সদস্য সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার হাজারের ও বেশী। এই বিপুল সংখ্যক রিক্সা থেকে প্রতিদিন পাঁচ (৫) টাকা করে মাসে প্রায় সাত লাখের ও বেশি টাকা সংগ্রহ হয়। যে টাকা সমিতির নিয়মানুসারে কমিটির কাছে সঞ্চিত থাকার কথা থাকলেও গত দেড় বছর ধরে নেই কোন কমিটি, নেই টাকার হিসাব। 

মো. মমিন (ছদ্মনাম) নামের এক রিক্সা চালক বলেন, রাতে পারমিটের জন্য আমাদের চল্লিশটি গাড়িকে দেড়শ টাকা হারে দিতে হয়। কমিটি নেই কিন্তু সকল টাকা সংগ্রহের কোন কাজই বন্ধ নেই! চলছে হরিলুট।

রিক্সা সমিতির সাবেক এক সদস্য সচিব জানান, উপজেলা সমাজ কল্যাণ অফিসারের যোগসাজোশে গত তিন বছরের উপার্জিত সকল অর্থ লুটপাট করে খাচ্ছে কিছু নামধারী নেতা। সেই নেতাদের সুবিধার্তেই তারা রিক্সা সমিতির দখলীয় স্ট্যান্ড উদ্ধারে নানা অনিহা প্রকাশ করে যাচ্ছেন দিনের পর দিন। ফলস্রুতিতে নিজেদের জায়গা হারিয়ে ট্রাফিক পুলিশসহ সকলের লাঞ্ছনার স্বীকার হচ্ছেন আমাদের রিক্সা শ্রমিক ভাইয়েরা। আমার বিভিন্ন সময় রিক্সা স্ট্যান্ডের এই জায়গা উদ্ধারের জন্য একাধিক বার একাধিক নেতার সরনাপন্ন হলেও অদৃশ্য কারনে আজও ঈশ্বরদী রিক্সা স্ট্যান্ড দখল মুক্ত করতে সক্ষম হয়নি কোন নেতা। আদো কখনো আমরা আমাদের এই হারানো স্ট্যান্ড ফেরত পাবো কিনা সেটাও অনিশ্চিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রিক্সা সমিতির হাজারো ভুক্তভোগীদেরমত সাধারণ জনতার প্রাণের দাবি একটাই অনতিবিলম্বে অবৈধ দখলদারির হাত থেকে ঈশ্বরদী রিক্সা স্ট্যান্ডকে দখলমুক্ত করে ঈশ্বরদী শহরকে যানজটের হাত থেকে রক্ষা করবেন সংশ্লিষ্টরা এমনটাই প্রত্যাশা সুশীল নাগরিকদের।

এই রকম আরও টপিক

নিজেদের জায়গা ভাঁড়া দিয়ে রাস্তায় ঈশ্বরদী রিক্সা সমিতি, সীমাহীন ভোগান্তি শহরজুড়ে

প্রকাশিত সময় ০৫:০২:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩

নিজেদের ব্যবহারের জন্য রেলওয়ে থেকে এককালীন লিজ নিয়ে নিজেদের শুশৃঙ্খলা আর শহরকে যানজট মুক্ত রাখতে যে গ্যারেজটি তৈরী করেছিল সেটি এখন ভাড়া দিয়ে রাস্তায় অবস্থান করছে ঈশ্বরদী রিক্সা সমিতি। এতে করে প্রতিনিয়ত যানজটে অতিষ্ট হচ্ছে জনজীবন আর রাস্থায় নির্ধারিত স্ট্যান্ডের অভাবে ঠোকর খেয়ে বেড়াচ্ছে রিক্সা চালকরা। রিক্সা চালকদের এই ভোগান্তি সমিতিতে রাজনীতি করনের কারণে আরও তীব্রতর হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীদের অনেকেই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, রিক্সা স্ট্যান্ডের জন্য নির্ধারিত স্থানে প্রভাবশালীরা তৈরী করেছে মোটরসাইকেল গ্যারেজ, শরবত, ফলের দোকানসহ একাধিক জুতার দোকান। সংগত কারনেই নিজেদের জায়গায় ঠাই না পেয়ে রিক্সা নিয়ে চালকরা ভিড় জমাচ্ছে রাস্তার উপরে। ফলস্রুতিতে বাজারের রাস্তা জুড়ে যানজট লেগেই থাকে। আর বাজারে সৃষ্ট এই যানজটের প্রভাব পড়ছে পুরো শহর জুড়ে। বাড়ছে নিত্য চলাচল কারীদের ভোগান্তি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রিক্সা চালক সমিতির এক সদস্য জানান, বাৎসরিক ৭০ হাজার টাকা চুক্তিতে স্ট্যান্ডটি লিজদেন রিক্সা শ্রমিক নেতারা। সেই চুক্তির টাকা দিয়ে আহত এবং অসুস্থ চালকদের সেবায় ব্যয় করার কথা থাকলেও সেটা এখন শুধুই স্বপ্ন। কেননা প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাওয়ায় গত প্রায় ৭/৮ বছর চুক্তির একটি টাকাও দেননি নামীয় ইজারাদার প্রভাবশালীরা। ফলে আমরা হারিয়েছি আমাদের স্ট্যান্ড পাশাপাশি অসুস্থ সহকর্মীরাও হারাচ্ছে তাদের ন্যূন্যতম অধিকার।

তিনি আরও বলেন, ঈশ্বরদী রিক্সাচালক সমিতির মোট সদস্য সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার হাজারের ও বেশী। এই বিপুল সংখ্যক রিক্সা থেকে প্রতিদিন পাঁচ (৫) টাকা করে মাসে প্রায় সাত লাখের ও বেশি টাকা সংগ্রহ হয়। যে টাকা সমিতির নিয়মানুসারে কমিটির কাছে সঞ্চিত থাকার কথা থাকলেও গত দেড় বছর ধরে নেই কোন কমিটি, নেই টাকার হিসাব। 

মো. মমিন (ছদ্মনাম) নামের এক রিক্সা চালক বলেন, রাতে পারমিটের জন্য আমাদের চল্লিশটি গাড়িকে দেড়শ টাকা হারে দিতে হয়। কমিটি নেই কিন্তু সকল টাকা সংগ্রহের কোন কাজই বন্ধ নেই! চলছে হরিলুট।

রিক্সা সমিতির সাবেক এক সদস্য সচিব জানান, উপজেলা সমাজ কল্যাণ অফিসারের যোগসাজোশে গত তিন বছরের উপার্জিত সকল অর্থ লুটপাট করে খাচ্ছে কিছু নামধারী নেতা। সেই নেতাদের সুবিধার্তেই তারা রিক্সা সমিতির দখলীয় স্ট্যান্ড উদ্ধারে নানা অনিহা প্রকাশ করে যাচ্ছেন দিনের পর দিন। ফলস্রুতিতে নিজেদের জায়গা হারিয়ে ট্রাফিক পুলিশসহ সকলের লাঞ্ছনার স্বীকার হচ্ছেন আমাদের রিক্সা শ্রমিক ভাইয়েরা। আমার বিভিন্ন সময় রিক্সা স্ট্যান্ডের এই জায়গা উদ্ধারের জন্য একাধিক বার একাধিক নেতার সরনাপন্ন হলেও অদৃশ্য কারনে আজও ঈশ্বরদী রিক্সা স্ট্যান্ড দখল মুক্ত করতে সক্ষম হয়নি কোন নেতা। আদো কখনো আমরা আমাদের এই হারানো স্ট্যান্ড ফেরত পাবো কিনা সেটাও অনিশ্চিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রিক্সা সমিতির হাজারো ভুক্তভোগীদেরমত সাধারণ জনতার প্রাণের দাবি একটাই অনতিবিলম্বে অবৈধ দখলদারির হাত থেকে ঈশ্বরদী রিক্সা স্ট্যান্ডকে দখলমুক্ত করে ঈশ্বরদী শহরকে যানজটের হাত থেকে রক্ষা করবেন সংশ্লিষ্টরা এমনটাই প্রত্যাশা সুশীল নাগরিকদের।