ভাঙ্গুড়া উপজেলা মডেল মসজিদের শুভ উদ্বোধন, থাকছে যে সকল সুবিধা
- প্রকাশিত সময় ১১:২১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩
- / 110
সারা বাংলাদেশে দ্বিতীয় ধাপে নব নির্মিত ৫০টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন তিনি। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারা দেশের ন্যায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
নবনির্মিত উপজেলা মড়েল মসজিদ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাকি বিল্লাহ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান, ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল, জেলা পরিষদ সদস্য আসলাম আলী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আফিজ রঞ্জু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিদা পারভীন পাখি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ—সভাপতি জাকির হোসেন ছবি, সহসভাপতি অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম,উপজেলা মডেল মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আমিনুল ইসলামসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা—কর্মচারী, ইমাম, মুয়াজ্জিন, গনমাধ্যম কর্মী বৃন্দ ও স্থানীয় জনতার একাংশ। অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মড়েল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগকে প্রশংসা করেন । তারা আরও বলেন,এটাই হচ্ছে বিশ্বে প্রথম কোনো সরকারের একই সময়ে একসঙ্গে এত বিপুলসংখ্যক মসজিদ নির্মাণের ঘটনা। যা বিশ্বে বিরল।
প্রসঙ্গত,সারাদেশে একসাথে ৫৬০টি মডেল মসজিদ স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবিত একটি অসাধারণ পরিকল্পনা যা মুসলিম স¤প্রদায়ের সাড়ে ১৪শত বছরের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত। কি নেই এই মডেল মসজিদটিতে। আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধায়ই রয়েছে মডেল মসজিদগুলোতে।
৪০ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত উপজেলা পর্যায়ের মডেল মসজিদগুলো একসাথে ৯০০ এবং জেলা ও সিটি করপোরেশনগুলোতে ১২০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবে। মসজিদের মিনারটির উচ্চতা ৯৫ ফুট। দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদের ভিতর ঝাড়বাতি, এসিসহ রয়েছে আরও অনেক সুসজ্জিত উপকরণ।
এই মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে থাকছে যে সকল সুবিধাগুলো—
১। মসজিদে নারী ও পুরুষদের জন্য পৃথক অজু ও নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা।
২। মসজিদে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা।
৩। প্রতিটি মসজিদে হজ প্রশিক্ষণ ও হজযাত্রীদের নিবন্ধনের ব্যবস্থা।
৪। মসজিদে ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
৫। ইসলামী গবেষণা কেন্দ্র ও লাইব্রেরি।
৬। সজিদ কমপ্লেক্সে থাকছে অটিজম কর্নার।
৭। মসজিদে মৃতদেহ গোসল করানোর ও জানাযার নামাজের ব্যবস্থা।
৮।মসজিদের নীচতলায় গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা।
৯।মসজিদে হেফজখানার ব্যবস্থা।
১০। মসজিদে প্রাক—প্রাথমিক শিক্ষা, সহজ কুরআন শিক্ষা ও গণশিক্ষা কেন্দ্র।
১১। দ্বীনি এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতিটি মসজিদে সভাকক্ষ।
১২।মসজিদে ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র।
১৩।মসজিদে দেষি—বিদেশি মেহমানদের জন্য ‘অতিথিশালা’ বা আবাসনের ব্যবস্থা।
১৪। সময়ের চাহিদা মোতাবেক জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সুযোগ, ইত্যাদি।