ঢাকা ১০:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনার সাঁথিয়ায় সামাজিক কুটুক্তির কারণে ধর্ষিতার পরিবার এলাকা ছাড়া

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৬:১২:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩
  • / 81

পাবনার সাঁথিয়ায় সামাজিক কুটুক্তির কারণে বাড়ি ছাড়া ধর্ষিতার পরিবার। নিজ ঘর বাড়ি ছেড়ে শহরে বাবা রিক্সা চালান মা করেন ঝিঁয়ের কাজ। ভাড়া থাকে ছোট একটি ছাপড়া ঘরে। মানুষের কুটুক্তি শুনে রাতে চোখের পানিতে বালিশ ভিঁজে যায় স্বজনদের।

থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের রায়েকমারী গ্রামের কৃষক পরিবারের মেয়ে রেশমা(১৫) (ছদ্মনাম) পড়েন পাশ্ব¦বর্তী নি¤œমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে।

একই গ্রামের সালামের ছেলে জনি(১৬) একই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। প্রেমের সূত্র ধরে গত বছরের ৭ মে রেশমাকে জোড় পূর্বক একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে জনি।

ধর্ষণের ঘটনায় রেশমার ভাই বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় মামলা করে। মামলায় তিন মাস জেল হাজতে থেকে জামিনে ছাড়া পান জনি।

এরই মধ্যে পারিবারিক ভাবে কোন ঠাঁসা হয়ে পড়ে রেশমার পরিবার। সমাজের লোকেরা ও পাশ্ববর্তী মানুষেরা রেশমার পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশ্য করে নানা কুটুক্তি করতে থাকে।

বাধ্য হয়ে ধর্ষিতার বাবা মেয়ে, স্ত্রীকে নিয়ে লোকলজ্জায় পাবনা শহরে গিয়ে আত্ম গোপন করেন। সেখানে একটি ছাপড়া
ভাড়া করে কোনমত জীবন যাপন করছেন রেশমার পরিবার। বাবা চালান মা ঝিঁয়ের কাজ করেন।

রেশমার গ্রামের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, একটি চারচালা টিনের ঘর। এক কক্ষে থাকেন রেশমার বড় ভাই, অন্য কক্ষে ছোট ভাইস্ত্রীসহ অন্য কক্ষে থাকতেন রেশমা ও তার বাবা মা। বাবা, মা’র কক্ষটি এখন ফাঁকা রয়েছে। দাদী মহিরন নেছা ও ভাবী রহিমা থাতুন জানান, ঘটনার পর থেকে নানা রকম কথায় অতিষ্ঠিত হয়ে ননদকে নিয়ে শশুড় শাশুড়ী আত্ম গোপনে রয়েছে।


রেশমার ভাই জানান, আমরা এ ঘটনায় সঠিক বিচার দাবি করে আসছি। কিন্তু এলাকা ও সমাজের মানুষের মুখে নানা কুটুক্তি সহ্য করতে পারছি না। মানুষের কথায় রাতে ঘুম আসে না। ঘুমাতে গেলে চোখের পানিতে বালিশ ভিজে যায়।

বার বার মানুষের কথা ভুলার চেষ্টা করেও পারি না। সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। আমরা সামাজিক ভাবে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করব।

তারা যদি সচেতন না হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা চাই ওই পরিবারটি নিজ বাড়িতে অবস্থান করুক।

এই রকম আরও টপিক

পাবনার সাঁথিয়ায় সামাজিক কুটুক্তির কারণে ধর্ষিতার পরিবার এলাকা ছাড়া

প্রকাশিত সময় ০৬:১২:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩

পাবনার সাঁথিয়ায় সামাজিক কুটুক্তির কারণে বাড়ি ছাড়া ধর্ষিতার পরিবার। নিজ ঘর বাড়ি ছেড়ে শহরে বাবা রিক্সা চালান মা করেন ঝিঁয়ের কাজ। ভাড়া থাকে ছোট একটি ছাপড়া ঘরে। মানুষের কুটুক্তি শুনে রাতে চোখের পানিতে বালিশ ভিঁজে যায় স্বজনদের।

থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের রায়েকমারী গ্রামের কৃষক পরিবারের মেয়ে রেশমা(১৫) (ছদ্মনাম) পড়েন পাশ্ব¦বর্তী নি¤œমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে।

একই গ্রামের সালামের ছেলে জনি(১৬) একই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। প্রেমের সূত্র ধরে গত বছরের ৭ মে রেশমাকে জোড় পূর্বক একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে জনি।

ধর্ষণের ঘটনায় রেশমার ভাই বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় মামলা করে। মামলায় তিন মাস জেল হাজতে থেকে জামিনে ছাড়া পান জনি।

এরই মধ্যে পারিবারিক ভাবে কোন ঠাঁসা হয়ে পড়ে রেশমার পরিবার। সমাজের লোকেরা ও পাশ্ববর্তী মানুষেরা রেশমার পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশ্য করে নানা কুটুক্তি করতে থাকে।

বাধ্য হয়ে ধর্ষিতার বাবা মেয়ে, স্ত্রীকে নিয়ে লোকলজ্জায় পাবনা শহরে গিয়ে আত্ম গোপন করেন। সেখানে একটি ছাপড়া
ভাড়া করে কোনমত জীবন যাপন করছেন রেশমার পরিবার। বাবা চালান মা ঝিঁয়ের কাজ করেন।

রেশমার গ্রামের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, একটি চারচালা টিনের ঘর। এক কক্ষে থাকেন রেশমার বড় ভাই, অন্য কক্ষে ছোট ভাইস্ত্রীসহ অন্য কক্ষে থাকতেন রেশমা ও তার বাবা মা। বাবা, মা’র কক্ষটি এখন ফাঁকা রয়েছে। দাদী মহিরন নেছা ও ভাবী রহিমা থাতুন জানান, ঘটনার পর থেকে নানা রকম কথায় অতিষ্ঠিত হয়ে ননদকে নিয়ে শশুড় শাশুড়ী আত্ম গোপনে রয়েছে।


রেশমার ভাই জানান, আমরা এ ঘটনায় সঠিক বিচার দাবি করে আসছি। কিন্তু এলাকা ও সমাজের মানুষের মুখে নানা কুটুক্তি সহ্য করতে পারছি না। মানুষের কথায় রাতে ঘুম আসে না। ঘুমাতে গেলে চোখের পানিতে বালিশ ভিজে যায়।

বার বার মানুষের কথা ভুলার চেষ্টা করেও পারি না। সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। আমরা সামাজিক ভাবে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করব।

তারা যদি সচেতন না হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা চাই ওই পরিবারটি নিজ বাড়িতে অবস্থান করুক।