ঢাকা ১১:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ফরিদপুরের ‘মাজাট-গোলকাটা’ সংযোগ রাস্তা নির্মাণে গ্রামের মানুষের নিঃশর্ত জমি দান 

ফরিদপুর (পাবনা) সংবাদদাতা:
  • প্রকাশিত সময় ১১:৩৭:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩
  • / 98

মাজাট-গোলকাটা সংযোগ রাস্তা তৈরির কাজ দূর্বারগতিতে এগিয়ে চলেছে। - স্বতঃকণ্ঠ


পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার ডেমরা ইউনিয়নের একমাত্র যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গ্রাম গোলকাটা-মাজাট গ্রামদুটিকে একত্রিত করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে নিয়ে আসলেন তিন এলাকার সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন। এমপি মকবুল হোসেনের এই অনুদানের প্রেক্ষিতে গ্রামের মানুষ নিঃশর্ত ভাবে নিজেদের জমি ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে এই  রাস্তার কাজে দায়িত্বে থাকা ডেমড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শহীদুর রহমান বলেন এই রাস্তা গ্রামের মানুষের বহুল প্রতিক্ষিত একটি রাস্তা। মাঠের ফসল পরিবহণে রাস্তাটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ তাই গ্রামের সাধারণ মানুষ তাদের জমি স্বর্তহীন ভাবেই দিয়েছেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আকরাম হোসেন সহ আরো কিছু মানুষ এই কাজে সকলকে অনুপ্রাণিত করেছেন বলে জানায় এলাকাবাসী।

১৯৭৩/৭৪ সালে মাজাট গ্রামের  মানুষ সমবায় ভিত্তিক ইরি-৮ ধানের চাষাবাদ করে  যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেন। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে বেগুনের চাষ করতেন যেটাকে বলা হতো লই টানা বাগুন বা মাজাটে বেগুন হিসেবে পরিচিত লাভ করেছিলেন ।গ্রামের সকল মানুষের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছিলেন । তৎকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধু সরকার গ্রামটিকে স্বনির্ভর গ্রাম হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন বয়সে ছোট হলেও গ্রামের নেতৃত্ব দিতেন মরহুম জুলফিকার আলী।

বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে মরহুম ওয়াজউদ্দিন খান মাননীয় সাংসদ রাস্তা নির্মাণে বরাদ্দ দিয়েও করতে পারেন নি, পরবর্তীতে সাংসদ মকবুল হোসেন ইতোপূর্বে দুইবার টাকা বরাদ্দ করেও রাস্তাটি করতে বিফল হন। সাম্প্রতিককালে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গোলকাটা  মাজাটের বিষয়টি ডেমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল্লাহ সরদার পুনরায় এমপির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তাঁর সংসদীয় এলাকার মানুষের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে রাস্তা নির্মাণের আবেদনের পরামর্শ দেন। সেই আলোকেই শহীদুল্লাহ সরকার এলাকার মানুষের সাথে আলাপ আলোচনা করে একমত হয়ে অবহিত করলে এমপি সন্তুষ্ট চিত্তে উক্ত রাস্তার বরাদ্দ দেন।

বর্তমানে কাজটি দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিদর্শনে গিয়ে উন্নয়নের মহা যজ্ঞ বলে অবহিত করেন।

আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হালিম তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এসকল তথ্য প্রকাশ করেছেন। 

ফরিদপুরের ‘মাজাট-গোলকাটা’ সংযোগ রাস্তা নির্মাণে গ্রামের মানুষের নিঃশর্ত জমি দান 

প্রকাশিত সময় ১১:৩৭:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩

পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার ডেমরা ইউনিয়নের একমাত্র যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গ্রাম গোলকাটা-মাজাট গ্রামদুটিকে একত্রিত করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে নিয়ে আসলেন তিন এলাকার সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন। এমপি মকবুল হোসেনের এই অনুদানের প্রেক্ষিতে গ্রামের মানুষ নিঃশর্ত ভাবে নিজেদের জমি ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে এই  রাস্তার কাজে দায়িত্বে থাকা ডেমড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শহীদুর রহমান বলেন এই রাস্তা গ্রামের মানুষের বহুল প্রতিক্ষিত একটি রাস্তা। মাঠের ফসল পরিবহণে রাস্তাটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ তাই গ্রামের সাধারণ মানুষ তাদের জমি স্বর্তহীন ভাবেই দিয়েছেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আকরাম হোসেন সহ আরো কিছু মানুষ এই কাজে সকলকে অনুপ্রাণিত করেছেন বলে জানায় এলাকাবাসী।

১৯৭৩/৭৪ সালে মাজাট গ্রামের  মানুষ সমবায় ভিত্তিক ইরি-৮ ধানের চাষাবাদ করে  যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেন। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে বেগুনের চাষ করতেন যেটাকে বলা হতো লই টানা বাগুন বা মাজাটে বেগুন হিসেবে পরিচিত লাভ করেছিলেন ।গ্রামের সকল মানুষের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছিলেন । তৎকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধু সরকার গ্রামটিকে স্বনির্ভর গ্রাম হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন বয়সে ছোট হলেও গ্রামের নেতৃত্ব দিতেন মরহুম জুলফিকার আলী।

বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে মরহুম ওয়াজউদ্দিন খান মাননীয় সাংসদ রাস্তা নির্মাণে বরাদ্দ দিয়েও করতে পারেন নি, পরবর্তীতে সাংসদ মকবুল হোসেন ইতোপূর্বে দুইবার টাকা বরাদ্দ করেও রাস্তাটি করতে বিফল হন। সাম্প্রতিককালে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গোলকাটা  মাজাটের বিষয়টি ডেমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল্লাহ সরদার পুনরায় এমপির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তাঁর সংসদীয় এলাকার মানুষের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে রাস্তা নির্মাণের আবেদনের পরামর্শ দেন। সেই আলোকেই শহীদুল্লাহ সরকার এলাকার মানুষের সাথে আলাপ আলোচনা করে একমত হয়ে অবহিত করলে এমপি সন্তুষ্ট চিত্তে উক্ত রাস্তার বরাদ্দ দেন।

বর্তমানে কাজটি দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিদর্শনে গিয়ে উন্নয়নের মহা যজ্ঞ বলে অবহিত করেন।

আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হালিম তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এসকল তথ্য প্রকাশ করেছেন।