‌স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশকে পাকিস্তান বানাতে এখন আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে এদেশের স্বাধীনতা বিরোধীরা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। দেশের অর্থনীতি ও শান্তি বিনষ্ট করতে কিভাবে দেশকে পাকিস্তান বানাবে তা নিয়ে আন্তজার্তিক পরিকল্পনা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ার সংসদ সদস্য মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি।

বৃহস্পতিবার (২৬) জানুয়ারি ঈশ্বরদী উপজেলায় আগামী ২৯ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজশাহীর জনসভা সফল করার লক্ষ্যে ঈশ্বরদী উপজেলা ও প্রতিটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা করে ক্ষ্যন্ত হয়নি, তারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও হত্যা করার জন্য ষড়যন্ত্র করে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহী আসছেন ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার ও স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন বিকেলে তিনি রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা ময়দানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশকে সফল করতে নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি’র নেতৃত্বে ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ায় ব্যাপক আগাম প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
দলীয় সভাপতি ও সরকার প্রধানকে বরণ করে নিতে বিভিন্ন আগাম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।

প্রতিদিনই স্থানীয় এমপি নূরুজ্জামান বিশ্বাসের নেতৃত্বে প্রস্তুতি সভা করছে ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ার আওয়ামীলীগের ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।

স্থানীয় এমপির নেতৃত্বে ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েব আলী বিশ্বাস, সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ও আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন ও সাধারণ সম্পাদক মোহাঈম্মীন হোসেন চঞ্চল উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে নিয়মিত সাধারন সভা করছেন।

আওয়ামীলীগের পাশাপাশি এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোও সাধারন সভার পাশাপাশি ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে।

সংসদ সদস্য এই প্রবীন রাজনীতিবিদ বলেন, রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন জনসভা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। জনসভা সফল করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক তৎপরতা নিয়ে এ সমাবেশ। তাই প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও সমাবেশকে সামনে রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। সমাবেশকে সামনে রেখে এখন পরিকল্পনা ও কাজ দুটোই চলামান রয়েছে। সমাবেশকে সফল করতে পুরো পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। আশা করছি ২৯ জানুয়ারি নৌকার প্রতি জনগণের আস্থার আরেকটি প্রমাণ হবে।

প্রসঙ্গতঃ ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দানে জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর পবার হরিয়ানের জনসভায় হাজির হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর বাগমারায় ও ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চারঘাটে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেন তিনি।
‌