ঢাকা ১১:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

চাটমোহরে পাট খড়ির দাম না পেয়ে কৃষকেরা হতাশ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৮:১৯:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • / 135

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় পাটের পর এবার পাট খড়ির দাম না পাওয়ায় কৃষকেরা হতাশায় ভুগছেন। অনেক পাটচাষীরা দাবী করছেন তাদের খরচের টাকা উঠছে না।

চলতি বছরে এ অঞ্চলে পাটের বাজারে ধস নেমেছে। ২২’শ টাকার পাট বর্তমান বাজারে ১৫’শ থেকে ১৬’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাটের পর পাটখড়ি নিয়ে কৃষকেরা পড়েছেন বিপাকে। বানিজ্যিক পণ্য পাট খড়ি বিক্রি হচ্ছে পানির দরে।

কৃষি স¤প্রাসরণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চাটমোহর উপজেলায় চলতি বছরে ৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এদিকে পাট চাষীরা জানান, বিঘা প্রতি জমিতে ১ হাজার আঁটি পাট খড়ি হয়।

এ হিসেবে প্রতি হেক্টরে সাড়ে ৭ হাজার আঁটি পাট খড়ি হয়ে থাকে। বর্তমান ফরিয়া প্রতি আঁটি পাট খড়ি ২ টাকা থেকে ৩ টাকা করে বিক্রি করছে।

গুনাইগাছা ইউনিয়নের জালেশ্বর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও রামচন্দ্রপুর গ্রামের মজদার আলী, আব্দুস সোবাহান জানান, গত বছরের বাজারদর অনুয়ায়ী এবার বেশি পরিমান জমিতে পাটের আবাদ করেছিলাম।

কিন্তু এবার পাটের দাম অনেক কম। তাছাড়া পাট খড়ি খুব সীমিত দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

ধানকুনিয়া গ্রামের কৃষক আনিছুর রহমান জানান, এবার ৩ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। পাটের ফলন ভালো হয়নি। বিঘাতে ১ হাজার আঁটি পাট খড়ি হয়ে থাকে। পাটের ফলন ভালো হলে পাট খড়ি আরো বেশি হয়।

তিনি ফরিয়াদের কাছে প্রতি ১০০ আঁটি পাট খড়ি আড়াইশ থেকে ৩’শ টাকায় বিক্রি করছেন। তিনি আরো জানান, এ পাট খড়ি ফরিয়ারা ধানের চাতাল মালিকদের কাছে ৫/৬ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করছে।

হরিপুর গ্রামের কৃষক খালেক হোসেন জানান, পাটের দাম যখন কম ছিল তখন পাটের চেয়ে পাট খড়ির কদর অনেক বেশি ছিল। আগের দিনে পাট খড়ি বানিজ্যিক পণ্য ছিল না। পাট ধোয়ার পর চাষীরা নিজেদের প্রয়োজন মত পাট খড়ি বাড়ি নিয়ে যেতেন। পাট খড়ি বেশি ব্যবহার হয় পান বরজের বেড়া ও ছাউনি দিতে।

তাছাড়া কিছু পরিমান রান্নার জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার হত। গত কয়েক বছর ধরে এ অঞ্চলে চাতালের ধান সিদ্ধ করতে পাট খড়ির ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। আগে ধানের চাতাল মালিকরা ধানের তুষ ও কুঁড়া দিয়ে ধান সিদ্ধ করতো।

কুড়া ও তুষের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন তারা পাট খড়ি দিয়ে ধান সিদ্ধ করছেন। এতে পাট খড়ির চাহিদা বেড়ে গেছে বহুগুনে। প্রতি দিন শত শত নছিমন-করিমন ও ভ্যান বোঝাই করে পাট খড়ি গ্রাম থেকে শহর ও ধানের চাতালে যাচ্ছে।

অপরদিকে পাট খড়ি স্ট্রে বোর্ড তৈরির কাঁচামাল হিসেবে অনেক জনপ্রিয় রয়েছে। এব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাসান রশীদ হোসাইনী বলেন, পাটের ফলন এ বছর ভালো হয়েছে।

বাজারে দাম আরো বেশি হলে কৃষক ভালবান হতেন। তাছাড়া এখানে পাট খড়ির চাহিদা রয়েছে।

চাটমোহরে পাট খড়ির দাম না পেয়ে কৃষকেরা হতাশ

প্রকাশিত সময় ০৮:১৯:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় পাটের পর এবার পাট খড়ির দাম না পাওয়ায় কৃষকেরা হতাশায় ভুগছেন। অনেক পাটচাষীরা দাবী করছেন তাদের খরচের টাকা উঠছে না।

চলতি বছরে এ অঞ্চলে পাটের বাজারে ধস নেমেছে। ২২’শ টাকার পাট বর্তমান বাজারে ১৫’শ থেকে ১৬’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাটের পর পাটখড়ি নিয়ে কৃষকেরা পড়েছেন বিপাকে। বানিজ্যিক পণ্য পাট খড়ি বিক্রি হচ্ছে পানির দরে।

কৃষি স¤প্রাসরণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চাটমোহর উপজেলায় চলতি বছরে ৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এদিকে পাট চাষীরা জানান, বিঘা প্রতি জমিতে ১ হাজার আঁটি পাট খড়ি হয়।

এ হিসেবে প্রতি হেক্টরে সাড়ে ৭ হাজার আঁটি পাট খড়ি হয়ে থাকে। বর্তমান ফরিয়া প্রতি আঁটি পাট খড়ি ২ টাকা থেকে ৩ টাকা করে বিক্রি করছে।

গুনাইগাছা ইউনিয়নের জালেশ্বর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও রামচন্দ্রপুর গ্রামের মজদার আলী, আব্দুস সোবাহান জানান, গত বছরের বাজারদর অনুয়ায়ী এবার বেশি পরিমান জমিতে পাটের আবাদ করেছিলাম।

কিন্তু এবার পাটের দাম অনেক কম। তাছাড়া পাট খড়ি খুব সীমিত দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

ধানকুনিয়া গ্রামের কৃষক আনিছুর রহমান জানান, এবার ৩ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। পাটের ফলন ভালো হয়নি। বিঘাতে ১ হাজার আঁটি পাট খড়ি হয়ে থাকে। পাটের ফলন ভালো হলে পাট খড়ি আরো বেশি হয়।

তিনি ফরিয়াদের কাছে প্রতি ১০০ আঁটি পাট খড়ি আড়াইশ থেকে ৩’শ টাকায় বিক্রি করছেন। তিনি আরো জানান, এ পাট খড়ি ফরিয়ারা ধানের চাতাল মালিকদের কাছে ৫/৬ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করছে।

হরিপুর গ্রামের কৃষক খালেক হোসেন জানান, পাটের দাম যখন কম ছিল তখন পাটের চেয়ে পাট খড়ির কদর অনেক বেশি ছিল। আগের দিনে পাট খড়ি বানিজ্যিক পণ্য ছিল না। পাট ধোয়ার পর চাষীরা নিজেদের প্রয়োজন মত পাট খড়ি বাড়ি নিয়ে যেতেন। পাট খড়ি বেশি ব্যবহার হয় পান বরজের বেড়া ও ছাউনি দিতে।

তাছাড়া কিছু পরিমান রান্নার জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার হত। গত কয়েক বছর ধরে এ অঞ্চলে চাতালের ধান সিদ্ধ করতে পাট খড়ির ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। আগে ধানের চাতাল মালিকরা ধানের তুষ ও কুঁড়া দিয়ে ধান সিদ্ধ করতো।

কুড়া ও তুষের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন তারা পাট খড়ি দিয়ে ধান সিদ্ধ করছেন। এতে পাট খড়ির চাহিদা বেড়ে গেছে বহুগুনে। প্রতি দিন শত শত নছিমন-করিমন ও ভ্যান বোঝাই করে পাট খড়ি গ্রাম থেকে শহর ও ধানের চাতালে যাচ্ছে।

অপরদিকে পাট খড়ি স্ট্রে বোর্ড তৈরির কাঁচামাল হিসেবে অনেক জনপ্রিয় রয়েছে। এব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাসান রশীদ হোসাইনী বলেন, পাটের ফলন এ বছর ভালো হয়েছে।

বাজারে দাম আরো বেশি হলে কৃষক ভালবান হতেন। তাছাড়া এখানে পাট খড়ির চাহিদা রয়েছে।