বিএনপি-জামাতচক্রের অশুভ শক্তির সন্ত্রাস-নৈরাজ্য এবং ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত সাফল্যমন্ডিত করতে সারাদেশে একযোগে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

এলক্ষে উক্ত মহতী সিদ্ধান্ত সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে রাজশাহী জেলার ৯টি উপজেলার ৭২টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সমন্বয়ে ব্যাপক পরিসরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে ইউনিয়নে-ইউনিয়নে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সারাদেশের ন্যায় শনিবার বিকেলে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ৩নং পাকুড়িয়া ইউনিয়নে  কাদিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

পাকুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সভাপতি আব্দুর রহমানে সভাপতিত্বে ও যুগ্ন আহবায়ক সামিউল আলম নয়ন সরকারের সঞ্চালনায় উক্ত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঘা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মন্টু,সাবেক সাংগঠনিক ওয়াহেদ সাদিক কবির,উপজেলা সৈনিকলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মিল্টন,পাকুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায় সেলিম আরিফসহ পাকুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। 

এসময় আওয়ামী লীগের নেতারা তাদের বক্তব্যে বলেন, দেশের উন্নয়ন বিএনপি সহ্য করতে পারছে না। তাই বিএনপি আবার জ্বালাও পোড়াও কর্মকার্ন্ডে লিপ্ত হচ্ছে। বিএনপি তাদের পদযাত্রার নামে নাশকতা করার চেষ্টা করছেন।

আন্দোলনের নামে নাশকতা করতে আসলে বিএনপিকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারী দেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

বাঘায় গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধুর আত্মহত্যা

রাজশাহীর বাঘায় স্বামীর শয়ন কক্ষ থেকে প্রিয়া বেগম (২০) নামে এক গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় ওই গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দিঘা দাবিয়াতলা গ্রামে। গৃহবধু প্রিয়া বেগম ওই গ্রামের ইসলাম আলীর স্ত্রী।

পুলিশ জানায়,গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে শয়ন কক্ষের তীরের (আড়ার) সাথে ঝুলছিল গৃহবধু। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গৃহবধুর স্বামী ইসলাম আলী জানান, স্ত্রী প্রিয়া বেগম শনিবার তার বাবার বাড়ি পাবনায় যাওয়ার জন্য বলছিল। আমি দুই একদিন পরে যাওয়ার কথা বলি। এ নিয়ে শুক্রবার রাতে তার সাথে মতবিরোধ হয়। তার দাবি, স্ত্রীর কথামতে যেতে না দেওয়ার অভিমানে আত্নহত্যা করেছে।

ইসলামের মা নজেরা বেগম (গৃহবধুর শ্বাশুড়ি) জানান, সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ছেলে বাড়ির বাহিরে যাওয়ার পরে ঘরের দরজা বন্ধ দেখি। ঘরের কাছে গিয়ে তাকে ডাকা ডাকি করে সাড়া পাননি। পরে আমার ডাক চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা এসে বাহির থেকে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে শয়ন কক্ষের তীরে(আড়ার) সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় প্রিয়া বেগমকে দেখতে পান।নজেরা বেগম আরও জানায়,বছর খানেক আগে পাবনা সদর এলাকায় ইট ভাটায় কাজে গিয়ে তাদের বিয়ে হয়।

স্থানীয় মেম্বর আব্দুর আজিজ জানান,পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
বাঘা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুল ইসলাম জানান, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে ইউডি মামলা করা হয়েছে।