প্রেমিকার বাবাকে হত্যাকারী ঘাতক প্রেমিক র্যাবের হাতে গ্রেফতার
- প্রকাশিত সময় ০৫:৩৮:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / 85
র্যাব-১৩, ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী, দিনাজপুর এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, গত ১৫/১২/২০২২ইং তারিখে পাবনা জেলার সদর থানাধীন মধ্য জামুয়া শেখপাড়া এলাকায় প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্রকরে প্রেমিকার পিতাকে হত্যা মামলার প্রধান আসামী ও মূল পরিকল্পনাকারী দিনাজপুর জেলার সেতাবগঞ্জ হতে ঢাকাগামী বাস যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেছে।
উক্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি আভিযানিক দল সিআইডি, বাংলাদেশ পুলিশ পাবনা কর্তৃক অধিযাচনপত্রের প্রেক্ষিতে ১৬ ফেব্রয়ারী ২০২৩ সকাল ০৯.৫০ ঘটিকায় দিনাজপুর জেলার সদর থানাধীন এম আব্দুর রহিম মেডিকেল এর মোড় এলাকায় চেকপোস্টের মাধ্যমে তল্লাশি করে উক্ত ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাস হতে মূলহোতা মোঃ অনিক শেখ (২৪), পিতা- মোঃ ইয়াজুদ্দিন শেখ, সাং- মধ্য জামুয়া শেখপাড়া, থানাঃ পাবনা সদর, জেলাঃপাবনাকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য যে, উক্ত আসামী বেশ কিছুদিন ধরে জনৈকাশাম্মি আক্তার(২০), পিতা- মৃতফরিদ মোল্লা, সাং- ভাড়ারা মধ্য জামুয়া ভদ্র পাড়া, থানা ও জেলা- পাবনাকে প্রতিনিয়ত প্রেমের প্রস্তাবদিয়ে উত্যক্ত করাসহ বিবাহ করার প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। শাম্মি আক্তার(২০) এর পরিবার এতে রাজিনা হয়ে তাকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয়।
ফলে উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীসহ তারসহযোগী আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৫/১২/২০২২ ইং তারিখ রাত অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার সময় বর্নিত শাম্মি আক্তার(২০) এর পিতা মোঃ ফরিদ মোল্লা স্থানীয় একটি মসজিদ হতে এশার নামাজ আদায় করে বাড়ী ফেরার পথিমধ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে আটক করে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করে। উক্ত ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে ও বিভিন্ন মিডিয়ায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
বর্নিত ঘটনার বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে উক্ত ঘটনায়তার সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে এবং বর্ণিত হত্যাকান্ডের পর সে দিনাজপুর জেলার সেতাবগঞ্জে পালিয়ে আসে।
ইতিমধ্যে উক্ত স্থানে অবস্থান করা তার জন্য নিরাপদ নয় মনে করে সে গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে অদ্য দিনাজপুর জেলা হতেঢাকার উদ্দেশ্যে অবস্থান পরিবর্তন করছিলো মর্মে জানায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত হত্যা কান্ডের ঘটনার বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। ধৃত আসামীকে পাবনা জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি