ঢাকা ০৬:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ঈশ্বরদীতে প্রসাশনের পরিচয়ে  শুকনা হলুদ বোঝাই ট্রাক ডাকাতি 

ঈশ্বরদী প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত সময় ০৫:৪৬:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / 249

প্রতীকী ছবি


পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রসাশনের পরিচয় দিয়ে  শুকনা হলুদ বোঝাইকৃত একটি ট্রাক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

১৬ ফেব্রুয়ারী রাত আনুমানিক ১ ঘটিকা থেকে ২ ঘটিকার মধ্যে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের চরমিকামারী মাথালপাড়া গোরস্থান সংলগ্ন মো. গাফ্ফার সরদারের হলুদ চাতাল সরদার এন্টারপ্রাইজে এ ঘটনা ঘটে।

প্রতক্ষ্যদর্শী এবং সরদার এন্টার প্রাইজের মো. হাফিজ সরদার জানান, গতকাল শুকনো হলুদ বোঝাই ট্রাকটি স্কয়ারে পাঠানো হয়। ৫০ কেজির মোট ২০৮ বস্তা হলুদ যাহার বর্তমান আনুমানিক বাজার মূল্য ১৯৫৫২০০/= টাকা। হলুদ শুকানো কম হয়েছ ওযুহাতে  তারা গাড়িটি ফেরৎ পাঠিয়ে দেন। সেই হলুদ বোঝাই ট্রাকটি সন্ধ্যা নাগাদ আমাদের মিলের সামনে এলে শ্রমিকরা সেগুলো আনলোড না করে সকালে করবেন বলে চলে যায়। এর পর আমরা যে যার মত বাড়ি চলে যাই। হঠাৎ রাত ৩ ঘটিকা নাগাদ আমার মোবাইলে একটি কল আসে । আমি কলটি রিসিভ করলে ওপাশ থেকে একজন আমাকে বলেন , আমি পাবনা থেকে বলছি । আমরা আপনারে দুজন নৈশ প্রহরীকে হাত পা বাধা অবস্থায় এখানে পেয়েছি। বিষয়টি শোনা মাত্র আমি ট্রিপল নাইন (৯৯৯) এ কল করে প্রসাশনের সাহায্য চেয়েছি। রাতেই অবশ্য ঈশ্বরদী থানার একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। 

হাফিজ নৈশ প্রহরীদের বরাত দিয়ে জানান, রাত আনুমানিক ১ টা কি ২টার দিকে একটি প্রাইভেট কার যোগে কয়েকজন আমাদের চাতালে আসেন। সেখানে তারা হাতে রিভলবার নিয়ে নিজেদের প্রসাশন পরিচয় দিয়ে বলেন, এই চাতালের মালিক গাঁজার ব্যবসা করেন বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আছে তাই এই গাড়িটি তল্লাশী করতে হবে। প্রসাশন এবং তল্লাশীর কথা শুনে নৈশ প্রহরীরা বাইরে এল তাদের গাড়ীতে উঠতে বলেন তারা। সে সময় প্রহরীরা নাকোচ করলে ডাকাত দলের সদস্যরা বলেন, গাড়ীটি থানায় নিয়ে তল্লাশী করতে হবে আপনারা গাড়ীতে উঠুন। তারপর গাড়ীতে তুলেই তাদের হাত পা বেধে পাবনা টার্মিনাল পার করে ফেলে হলুদ বোঝাই ট্রাকনিয়ে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) অরবিন্দ সরকারকে মুঠো ফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি)হাদিউল ইসলাম বলেন, আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনা চলছে।তবে থানায় কোন লিখিত অভিযোগ আমরা পাইনি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ঈশ্বরদী সার্কেল বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, বিষয়টি নিয়ে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ আমরা পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ঈশ্বরদীতে প্রসাশনের পরিচয়ে  শুকনা হলুদ বোঝাই ট্রাক ডাকাতি 

প্রকাশিত সময় ০৫:৪৬:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রসাশনের পরিচয় দিয়ে  শুকনা হলুদ বোঝাইকৃত একটি ট্রাক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

১৬ ফেব্রুয়ারী রাত আনুমানিক ১ ঘটিকা থেকে ২ ঘটিকার মধ্যে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের চরমিকামারী মাথালপাড়া গোরস্থান সংলগ্ন মো. গাফ্ফার সরদারের হলুদ চাতাল সরদার এন্টারপ্রাইজে এ ঘটনা ঘটে।

প্রতক্ষ্যদর্শী এবং সরদার এন্টার প্রাইজের মো. হাফিজ সরদার জানান, গতকাল শুকনো হলুদ বোঝাই ট্রাকটি স্কয়ারে পাঠানো হয়। ৫০ কেজির মোট ২০৮ বস্তা হলুদ যাহার বর্তমান আনুমানিক বাজার মূল্য ১৯৫৫২০০/= টাকা। হলুদ শুকানো কম হয়েছ ওযুহাতে  তারা গাড়িটি ফেরৎ পাঠিয়ে দেন। সেই হলুদ বোঝাই ট্রাকটি সন্ধ্যা নাগাদ আমাদের মিলের সামনে এলে শ্রমিকরা সেগুলো আনলোড না করে সকালে করবেন বলে চলে যায়। এর পর আমরা যে যার মত বাড়ি চলে যাই। হঠাৎ রাত ৩ ঘটিকা নাগাদ আমার মোবাইলে একটি কল আসে । আমি কলটি রিসিভ করলে ওপাশ থেকে একজন আমাকে বলেন , আমি পাবনা থেকে বলছি । আমরা আপনারে দুজন নৈশ প্রহরীকে হাত পা বাধা অবস্থায় এখানে পেয়েছি। বিষয়টি শোনা মাত্র আমি ট্রিপল নাইন (৯৯৯) এ কল করে প্রসাশনের সাহায্য চেয়েছি। রাতেই অবশ্য ঈশ্বরদী থানার একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। 

হাফিজ নৈশ প্রহরীদের বরাত দিয়ে জানান, রাত আনুমানিক ১ টা কি ২টার দিকে একটি প্রাইভেট কার যোগে কয়েকজন আমাদের চাতালে আসেন। সেখানে তারা হাতে রিভলবার নিয়ে নিজেদের প্রসাশন পরিচয় দিয়ে বলেন, এই চাতালের মালিক গাঁজার ব্যবসা করেন বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আছে তাই এই গাড়িটি তল্লাশী করতে হবে। প্রসাশন এবং তল্লাশীর কথা শুনে নৈশ প্রহরীরা বাইরে এল তাদের গাড়ীতে উঠতে বলেন তারা। সে সময় প্রহরীরা নাকোচ করলে ডাকাত দলের সদস্যরা বলেন, গাড়ীটি থানায় নিয়ে তল্লাশী করতে হবে আপনারা গাড়ীতে উঠুন। তারপর গাড়ীতে তুলেই তাদের হাত পা বেধে পাবনা টার্মিনাল পার করে ফেলে হলুদ বোঝাই ট্রাকনিয়ে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) অরবিন্দ সরকারকে মুঠো ফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি)হাদিউল ইসলাম বলেন, আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনা চলছে।তবে থানায় কোন লিখিত অভিযোগ আমরা পাইনি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ঈশ্বরদী সার্কেল বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, বিষয়টি নিয়ে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ আমরা পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।