ঢাকা ০৩:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সরকারি ভ্যাকসিন টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে

ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধিঃ
  • প্রকাশিত সময় ০৯:১০:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / 202

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে অব্যবহৃত অবস্থায় ডাকপ্লেগ রোগের ভ্যাকসিনের প্রায় পাঁচ শতাধিক ভায়াল ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিরুদ্ধের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।

এ মাসের প্রথম দিকে রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড.মোঃ নজরুল ইসলাম হঠাৎ ভাঙ্গুড়া প্রাণিসম্পদ অফিসে সফরে আসেন ।

এসময় স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই ঘটনার সত্যতা পান এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সকলের সাথে কথা বলে এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে বিষয়টি ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার নাজমুল হোসাইনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেন। বর্তমানে ওই ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে।

জানা যায়, ভাঙ্গুড়া প্রাণিসম্পদ অফিসে সরকারি ভাবে বিভিন্ন সময়ে পশুপাখির বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়। যা সুফল ভোগী জন সাধারণের মধ্যে বিনামুল্যে বিতরণ করা হয়ে থাকে। তেমনি গত ছয় মাস আগে ডাকপ্লেগ রোগের প্রায় পাঁচ শতাধিক ভ্যাকসিন প্রাণিসম্পদ ভবনের পেছনে থাকা টয়লেটের পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকে দেখতে পান কয়েক জন।

ওই সময় তারা ছবি তুলে রাখেন। এরপর এ মাসের প্রথম দিকে রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হঠাৎ সফরে আসলে ভ্যাকসিন ফেলে দেওয়ার বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে তিনি জানেন এবং সরেজমিন দেখে ঘটনার সত্যতা পান। তাৎক্ষণিক পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নাজমুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রধান ইতোমধ্যে তদন্ত
শুরু করেছেন।

খামারীদের অভিযোগ বিভিন্ন সময়ে সরকারি হাসপাতালে আসা ভ্যাকসিন খামারিদের সঠিক ভাবে বিতরণ না করে কৌশলে বাইরে বিক্রি করে দেওয়া হয়। কোনো কারণে ওই ভ্যাকসিনগুলো বিক্রি করতে না পারায় মেয়াদ শেষ হওয়ায় ফেলে তারা ফেলে দিয়েছেন।

টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকের ভ্যাকসিনের বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি ফিল্ড এ্যাসিসটেন্ট শাহিনুর ইসলাম বলেন,ফেলে দেওয়া ভ্যাকসিনগুলো আমি যোগদানের আগের । তবে কে কিভাবে সেগুলো এসেছে বা কে ফেলেছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

আমি যোগদানের পর যে সমস্ত ভ্যাকসিন এসেছে তার সঠিক পরিসংখ্যান আমার কাছে রয়েছে। কেউ আমাকে ফাঁসাতে এমন কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রোমানা আক্তার রোমি বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। তাই বিষয়টি নিয়ে তিনি বিস্তারিত জানেন না। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ ভ্যাকসিন ডাস্টবিনের ফেলার ঘটনায় তদন্ত চলছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

তদন্ত কর্মকর্তা ঈশ্বরদী উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নাজমুল হোসাইন বলেন, তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেওয়া হবে। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান , তিনি তদন্তের বিষয়টি শুনেছেন। আগামী সমন্বয় সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হবে ।

বিষয়টি সম্পর্কে রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, একটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত বিষয়টি উৎঘাটন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সরকারি ভ্যাকসিন টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে

প্রকাশিত সময় ০৯:১০:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে অব্যবহৃত অবস্থায় ডাকপ্লেগ রোগের ভ্যাকসিনের প্রায় পাঁচ শতাধিক ভায়াল ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিরুদ্ধের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।

এ মাসের প্রথম দিকে রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড.মোঃ নজরুল ইসলাম হঠাৎ ভাঙ্গুড়া প্রাণিসম্পদ অফিসে সফরে আসেন ।

এসময় স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই ঘটনার সত্যতা পান এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সকলের সাথে কথা বলে এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে বিষয়টি ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার নাজমুল হোসাইনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেন। বর্তমানে ওই ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে।

জানা যায়, ভাঙ্গুড়া প্রাণিসম্পদ অফিসে সরকারি ভাবে বিভিন্ন সময়ে পশুপাখির বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়। যা সুফল ভোগী জন সাধারণের মধ্যে বিনামুল্যে বিতরণ করা হয়ে থাকে। তেমনি গত ছয় মাস আগে ডাকপ্লেগ রোগের প্রায় পাঁচ শতাধিক ভ্যাকসিন প্রাণিসম্পদ ভবনের পেছনে থাকা টয়লেটের পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকে দেখতে পান কয়েক জন।

ওই সময় তারা ছবি তুলে রাখেন। এরপর এ মাসের প্রথম দিকে রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হঠাৎ সফরে আসলে ভ্যাকসিন ফেলে দেওয়ার বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে তিনি জানেন এবং সরেজমিন দেখে ঘটনার সত্যতা পান। তাৎক্ষণিক পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নাজমুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রধান ইতোমধ্যে তদন্ত
শুরু করেছেন।

খামারীদের অভিযোগ বিভিন্ন সময়ে সরকারি হাসপাতালে আসা ভ্যাকসিন খামারিদের সঠিক ভাবে বিতরণ না করে কৌশলে বাইরে বিক্রি করে দেওয়া হয়। কোনো কারণে ওই ভ্যাকসিনগুলো বিক্রি করতে না পারায় মেয়াদ শেষ হওয়ায় ফেলে তারা ফেলে দিয়েছেন।

টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকের ভ্যাকসিনের বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি ফিল্ড এ্যাসিসটেন্ট শাহিনুর ইসলাম বলেন,ফেলে দেওয়া ভ্যাকসিনগুলো আমি যোগদানের আগের । তবে কে কিভাবে সেগুলো এসেছে বা কে ফেলেছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

আমি যোগদানের পর যে সমস্ত ভ্যাকসিন এসেছে তার সঠিক পরিসংখ্যান আমার কাছে রয়েছে। কেউ আমাকে ফাঁসাতে এমন কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রোমানা আক্তার রোমি বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। তাই বিষয়টি নিয়ে তিনি বিস্তারিত জানেন না। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ ভ্যাকসিন ডাস্টবিনের ফেলার ঘটনায় তদন্ত চলছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

তদন্ত কর্মকর্তা ঈশ্বরদী উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নাজমুল হোসাইন বলেন, তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেওয়া হবে। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান , তিনি তদন্তের বিষয়টি শুনেছেন। আগামী সমন্বয় সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হবে ।

বিষয়টি সম্পর্কে রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, একটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত বিষয়টি উৎঘাটন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।