ভেড়ামারায় বইমেলা ও কবিতা উৎসবের ২য় দিন
- প্রকাশিত সময় ০৫:৩০:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / 97
মঙ্গলবার ভেড়ামারা উপজেলা চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান মিঠু ও ইউএনও হাসিনা মমতাজ সকাল সাড়ে নয়টায় আনুষ্ঠানিকভাবে একুশে বইমেলা ও কবিতা উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন। -স্বতঃকণ্ঠ
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি বা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে তিন দিন ব্যাপী উপজেলা চত্বরে আয়োজন করা হয়েছে বইমেলা ও কবিতা উৎসব।
গত মঙ্গলবার ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আখতারুজ্জামান মিঠু ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজ সকাল সাড়ে নয়টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে বইমেলা ও কবিতা উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন।
এবার উপজেলা চত্বর বইমেলাতে বিভিন্ন লাইব্রেরী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংস্কৃতি সংগঠনের সমন্বয়ে মোট ১৪ টি স্টল রয়েছে এবং দর্শনার্থীদের আনন্দ দিতে প্রতিদিন সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কুষ্টিয়া সাহিত্য পরিষদ (কেএসপি) কবিতা আবৃতি, ছড়া, পুঁথি পাঠের আয়োজন করেছে।
কুষ্টিয়া সাহিত্য পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আসমান আলী বইমেলা সম্পর্কে জানান, ভেড়ামারা উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ এমন একটি উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। কেননা ফেইসবুক, ইউটিউব ও চ্যাটিংয়ের যুগে মানুষ বই পড়া ভুলে গেছে। এ প্রজন্ম রবীন্দ্রনাথ নজরুল, শরৎচন্দ্র, সুকান্ত, জীবনানন্দ মীর মশাররফকে চিনে না। এছাড়া অনলাইনের অপপ্রয়োগ ব্যাপকহারে বেড়ে গেছে। এর থেকে এ প্রজন্মকে ফিরাতে হবে। এজন্য মানুষকে বই মুখী করে তুলতে হবে। তার জন্য বেশি বেশি বইমেলার আয়োজন করা দরকার।
কুষ্টিয়া সাহিত্য পরিষদ (কেএসপি)র অন্যতম সদস্য কবি মোঃ মনির উদ্দিন বলেন, উপজেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগ আমাদের সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বই প্রেমীদের জন্য এক মহা মিলনের সৃষ্টি করেছে। এমন উদ্যোগ জনসাধারণের মধ্যে বইপড়া সহ জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে, অমর একুশে ফেব্রুয়ারীর তাৎপর্য প্রচারে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
তার লেখা বিভিন্ন কবিতা ও গল্পের বই আশানুরূপ বিক্রয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
কবি ও লেখক জাহিদ হাসান বলেন, মেলার স্টল গুলোতে ছোট থেকে শুরু করে নবীন ও প্রবীণের এ মিলন মেলা ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। একুশে বইমেলায় ১ম দিনের চেয়ে ২য় দিনে পাঠকের আনাগোনা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্টলে ছোট গল্প, উপন্যাস, কবিতাসহ বিভিন্ন বই স্থান পেয়েছে।
স্টলগুলোতে কর্মরত ব্যক্তিরা জানান, গতদিনের তুলনায় এবার পাঠক- দর্শকের সংখ্যা তুলনা মূলক বেশি। বই বিক্রয় হচ্ছে মোটামুটি। সকালে মানুষের আনাগোনা কম থাকলেও সন্ধ্যা বাড়ার সাথে সাথে মানুষ ভিড় বাড়ে চোখে পড়ার মত।