ফেনীতে সাংবাদিক ইউনিয়নের ১ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
- প্রকাশিত সময় ০৭:১১:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩
- / 134
সাংবাদিকতার নামে অপ-সাংবাদিকতা বন্ধ করতে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অপ-সাংবাদিকতা বন্ধ করতে প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও সুধী সমাজের ব্যক্তিবর্গকে সহযোগিতা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) ফেনী সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত সুধী সমাবেশে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বক্তব্যে এ আহবান জানান। ফেনী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি যতন মজুমদারের সভাপতিত্বে ফেনী শহরের বেষ্ট ইন চাইনিজ রেস্টুরেন্টের কনভেনশন হলে আয়োজিত সুধী সমাবেশের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও টিভি টুডের প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন,মানুষ যখন বিপদে পড়ে তখন সাংবাদিকদের কাছে যারা। সাংবাদিকেরা অন্যায় বিরুদ্ধে কথা বলে। যাদের গলার স্বর কম তাদের পাশে সাংবাদিককে দাঁড়ায়। সমাজে অনেক কুমির আছে। কুমিরের সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হবে। সুধী সমাজ হচ্ছে আমাদের আশ্রয়ে জায়গা।সাংবাদিকতার নামে অপসংবাদিকতা বন্ধ করতে হবে। আমরা অপ-সাংবাদিকতা মুক্ত করতে চাই।যে ভালো সাংবাদিকতা কর তাকে উৎসাহিত করতে হবে। বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় সংগঠন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও টিভি টুডের প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল আরো বলেন,পত্রিকার ডিক্লারেশন আছে কিন্তু সেটিতে নিউজ না করে টাকা পয়সার চিন্তা করলে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা অপ সাংবাদিকতা করে তাদের প্রতিহত করার জন্য সকল স্তরের জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও সুধী সমাজের নেতৃবৃন্দকে ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা বস্তনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা চায়, সম্মান চায়, অধিকার চায়। বাংলাদেশে সাংবাদিকতা করতে হলে বঙ্গবন্ধুকে মেনে নিয়েই করতে হবে। যারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে থাকবে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই আছে। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিক ইউনিয়ন সবসময় সচেষ্ট থাকবে। তবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপোষহীন থেকে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন,
মুক্ত গণমাধ্যম এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি।এখনও রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও জনপ্রতিনিধিদের বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়। এখনকার পরিস্থিতিতে বালু উত্তোলনকারীরাও সাংবাদিকদের উপর হামলা করে।
সভাপতি ওমর ফারুক আরো বলেন, কিছু সাংবাদিক অপ-সাংবাদিকতায় জড়িয়ে সাধারণ মানুষকে হেনস্তা করে৷ বেতন ভাতা না দিলে চাঁদাবাজি করবে সাংবাদিকরা। অপ-সাংবাদিকতা বন্ধ করতে পত্রিকা ডিক্লারেশন এর ক্ষেত্রে প্রশাসনকে সচেষ্ট থেকে যাচাই বাছাই করে ডিক্লারেশন দেয়ার আহবান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল বলেন,
আন্ডারগ্রাউন্ডে যেসব পত্রিকা আছে তা যদি প্রতিহত না করেন তাহলে প্রকৃত সংবাদিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কেউ যদি কল্যাণ তহবিলের চেক নিয়ে চাঁদাবাজি করে তাহলে আমাদেরকে জানাবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় ১১ হাজার সাংবাদিকদেকে ৩৪ কোটি ৮১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, ফেনী পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শহীদ উল আলম, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অমিত রায়, যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজী, কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, দৈনিক আমার কাগজ সম্পাদক ফজলুল হক ভূইয়া রানা, বিএমএ ফেনী শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. সাহেদুল ইসলাম ভূঞা কাওসার, স্টার লাইন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান জাফর উদ্দিন।
ফেনী সাংবাদিক ইউনিয়ন (এফইউজে) সভাপতি যতন মজুমদাদের সভাপতিত্বে ও কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ মনিরেরর পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সালেহ আহম্মদ, ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শুকদেব নাথ তপন,ডিবিসি নিউজ এর ফেনী জেলা মুহাম্মদ আবু তাহের ভূঁইয়া ও ফেনী সাংবাদিক ইউনিয়নে সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক মিলন।সুধী সমাবেশে জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। সুধী সমাবেশে ১৭ জন সাংবাদিককে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অনুদানের চেক তুলে দেন অতিথিরা।