ঢাকা ০২:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

শহীদ তাজুল দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

অনলাইন ডেস্ক:
  • প্রকাশিত সময় ১১:৫১:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩
  • / 158

শহীদ তাজুল দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) উদ্যোগে অদ্য ০১/০৩/২০২৩ তারিখ বুধবার বিকেলে তোপখানা রোডস্থ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত স্মরণসভা।


`শহীদ তাজুল দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) উদ্যোগে বুধবার বিকেলে তোপখানা রোডস্থ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি সহিদুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত স্মরণ সভায়  শহীদ তাজুল ইসলামের জীবন বৃত্তান্ত উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের দপ্তর সম্পাদক ও নারী শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারন সম্পাদক সাহিদা পারভীন শিখা। স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, সহ-সভাপতি মাহবুব আলম, সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, সহসভাপতি ফেকুলাল ঘোষ কমল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক, অর্থ সম্পাদক কাজী রুহুল আমীন, প্রচার সম্পাদক মোবারক হোসেন, নির্মাণ শ্রমিক নেতা আলী হোসেন,  ঢাকা মহানগর টিইউসির সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী প্রমুখ।

স্মরণসভায় নেতৃবৃন্দ বলেন ১৯৮২ সালে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকার সামরিক শাসন জারি করে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন ও অন্যান্য ন্যায়সঙ্গত কর্মকান্ড যখন কেড়ে নেয় তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা তরুন মেধাবী শ্রমিক নেতা তাজুল ইসলাম বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে আদমজী জুট মিলের শ্রমিকদের  সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ করে তাদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার ও দাবী আদায়ের জন্য আন্দোলন গড়ে তোলে। যার ফলশ্রুতিতে তৎকালীন শাসনগোষ্টীর রোষানলে পড়তে হয় তাকে।  আদমজী জুট মিলে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) এর আন্দোলনে মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার সময় ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ  শাসকগোষ্ঠীর পেটুয়া বাহিনী হামলা চালিয়ে নির্মমভাবে তাজুল ইসলামকে হত্যা করে। তার আত্নত্যাগ এর মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার আদায়ে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছিল। এরশাদ সরকার শ্রমিকদের দাবী মেনে নিয়ে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) এর সাথে চুক্তি করতে বাধ্য হয়েছিল।

নেতৃবৃন্দ বলেন,  আজও আমাদের দেশের শ্রমিক কর্মচারীরা পরিবার পরিজনসহ বাঁচার মতো মজুরি পায় না। তারা অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার থেকে বঞ্চিত। চাকুরী,  চাকুরীর নিশ্চয়তা,  কর্মস্থলের নিরাপত্তা আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। চাল, আটা, তেল, ডাল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মুল্য বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিদিন নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।  নেতৃবৃন্দ বলেন শ্রমিক ও শ্রমিক আন্দোলনের বর্তমান যে সংকট তা উত্তরণে শহীদ তাজুলের মতো সত্যনিষ্ঠা ও ত্যাগী শ্রমিক নেতার খুবই প্রয়োজন ছিল। তার নিঃস্বার্থ লড়াই ও আত্নত্যাগ শ্রমিক শ্রেণী ও শ্রমিক আন্দোলনের আদর্শ ও প্রেরনা হয়ে থাকবে। নেতৃবৃন্দ শহীদ তাজুলের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে শ্রমিক কৃষক মেহনতি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি

এই রকম আরও টপিক

শহীদ তাজুল দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত সময় ১১:৫১:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩

`শহীদ তাজুল দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) উদ্যোগে বুধবার বিকেলে তোপখানা রোডস্থ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি সহিদুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত স্মরণ সভায়  শহীদ তাজুল ইসলামের জীবন বৃত্তান্ত উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের দপ্তর সম্পাদক ও নারী শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারন সম্পাদক সাহিদা পারভীন শিখা। স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, সহ-সভাপতি মাহবুব আলম, সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, সহসভাপতি ফেকুলাল ঘোষ কমল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক, অর্থ সম্পাদক কাজী রুহুল আমীন, প্রচার সম্পাদক মোবারক হোসেন, নির্মাণ শ্রমিক নেতা আলী হোসেন,  ঢাকা মহানগর টিইউসির সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী প্রমুখ।

স্মরণসভায় নেতৃবৃন্দ বলেন ১৯৮২ সালে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকার সামরিক শাসন জারি করে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন ও অন্যান্য ন্যায়সঙ্গত কর্মকান্ড যখন কেড়ে নেয় তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা তরুন মেধাবী শ্রমিক নেতা তাজুল ইসলাম বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে আদমজী জুট মিলের শ্রমিকদের  সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ করে তাদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার ও দাবী আদায়ের জন্য আন্দোলন গড়ে তোলে। যার ফলশ্রুতিতে তৎকালীন শাসনগোষ্টীর রোষানলে পড়তে হয় তাকে।  আদমজী জুট মিলে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) এর আন্দোলনে মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার সময় ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ  শাসকগোষ্ঠীর পেটুয়া বাহিনী হামলা চালিয়ে নির্মমভাবে তাজুল ইসলামকে হত্যা করে। তার আত্নত্যাগ এর মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার আদায়ে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছিল। এরশাদ সরকার শ্রমিকদের দাবী মেনে নিয়ে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) এর সাথে চুক্তি করতে বাধ্য হয়েছিল।

নেতৃবৃন্দ বলেন,  আজও আমাদের দেশের শ্রমিক কর্মচারীরা পরিবার পরিজনসহ বাঁচার মতো মজুরি পায় না। তারা অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার থেকে বঞ্চিত। চাকুরী,  চাকুরীর নিশ্চয়তা,  কর্মস্থলের নিরাপত্তা আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। চাল, আটা, তেল, ডাল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মুল্য বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিদিন নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।  নেতৃবৃন্দ বলেন শ্রমিক ও শ্রমিক আন্দোলনের বর্তমান যে সংকট তা উত্তরণে শহীদ তাজুলের মতো সত্যনিষ্ঠা ও ত্যাগী শ্রমিক নেতার খুবই প্রয়োজন ছিল। তার নিঃস্বার্থ লড়াই ও আত্নত্যাগ শ্রমিক শ্রেণী ও শ্রমিক আন্দোলনের আদর্শ ও প্রেরনা হয়ে থাকবে। নেতৃবৃন্দ শহীদ তাজুলের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে শ্রমিক কৃষক মেহনতি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি