ঢাকা ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনায় লাইসেন্সকৃত অস্ত্র অবৈধভাবে প্রদর্শন করায় মেয়র পুত্র আটক

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৩:২৬:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩
  • / 91

আটককৃত কামরুল হাসান সুজয় (২৭)।


মেয়র বাবার লাইসেন্সকৃত অস্ত্র অবৈধভাবে প্রদর্শন করার অভিযোগে পাবনার ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান মাজেদের ছেলে কামরুল হাসান সুজয়কে (২৭) আটক করেছে পুলিশ। এ সময় লাইসেন্সকৃত পিস্তলটিও জব্দ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ফরিদপুর পৌর মুক্তমঞ্চের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক কামরুল হাসান সুজয় ফরিদপুর পৌর সদরের রাউত নাগদাপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। তিনি ফরিদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ছিলেন। তার বাবা কামরুজ্জামান মাজেদ ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মেয়রের ছেলে কামরুল হাসান সুজয়ের সঙ্গে উপজেলার পুঙ্ধসঢ়;গুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলামের বিরোধ চলে আসছে।

বৃহস্পতিবার দুপর দেড়টার দিকে সাজেদুল উপজেলা পরিষদের পাশে এলে কামরুল লোকজন নিয়ে তার ওপর চড়াও হন। সাজেদুল পালানোর চেষ্টা করলে কামরুল পিস্তল নিয়ে তাকে ধাওয়া করেন। এ সময় সাজেদুলের লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে কামরুলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পুঙ্গলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম বলেন, মেয়রের ছেলে কামরুল হাসান সুজয় এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। কথায় কথায় মানুষের বিরুদ্ধে অস্ত্র প্রদর্শন করে। মেয়র বাবার ক্ষমতার বলে পুরো উপজেলায় অপকর্ম করে বেড়ায়। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

ফরিদপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, পূর্ববিরোধের জেরে পৌর মুক্তমঞ্চের সামনে প্রতিপক্ষকে বাবার লাইসেন্সকৃত পিস্তল দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন মেয়রপুত্র কামরুল হাসান সজয়। এ সময় সেখানে দায়িত্বরত থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়াজেদ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

এ বিষয়ে ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান মাজেদ বলেন, বিষয়টি শোনার পর থানায় আসছি। ঘটনাটা জানার চেষ্টা করছি। এখন ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলব।

এই রকম আরও টপিক

পাবনায় লাইসেন্সকৃত অস্ত্র অবৈধভাবে প্রদর্শন করায় মেয়র পুত্র আটক

প্রকাশিত সময় ০৩:২৬:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩

মেয়র বাবার লাইসেন্সকৃত অস্ত্র অবৈধভাবে প্রদর্শন করার অভিযোগে পাবনার ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান মাজেদের ছেলে কামরুল হাসান সুজয়কে (২৭) আটক করেছে পুলিশ। এ সময় লাইসেন্সকৃত পিস্তলটিও জব্দ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ফরিদপুর পৌর মুক্তমঞ্চের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক কামরুল হাসান সুজয় ফরিদপুর পৌর সদরের রাউত নাগদাপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। তিনি ফরিদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ছিলেন। তার বাবা কামরুজ্জামান মাজেদ ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মেয়রের ছেলে কামরুল হাসান সুজয়ের সঙ্গে উপজেলার পুঙ্ধসঢ়;গুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলামের বিরোধ চলে আসছে।

বৃহস্পতিবার দুপর দেড়টার দিকে সাজেদুল উপজেলা পরিষদের পাশে এলে কামরুল লোকজন নিয়ে তার ওপর চড়াও হন। সাজেদুল পালানোর চেষ্টা করলে কামরুল পিস্তল নিয়ে তাকে ধাওয়া করেন। এ সময় সাজেদুলের লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে কামরুলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পুঙ্গলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম বলেন, মেয়রের ছেলে কামরুল হাসান সুজয় এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। কথায় কথায় মানুষের বিরুদ্ধে অস্ত্র প্রদর্শন করে। মেয়র বাবার ক্ষমতার বলে পুরো উপজেলায় অপকর্ম করে বেড়ায়। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

ফরিদপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, পূর্ববিরোধের জেরে পৌর মুক্তমঞ্চের সামনে প্রতিপক্ষকে বাবার লাইসেন্সকৃত পিস্তল দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন মেয়রপুত্র কামরুল হাসান সজয়। এ সময় সেখানে দায়িত্বরত থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়াজেদ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

এ বিষয়ে ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান মাজেদ বলেন, বিষয়টি শোনার পর থানায় আসছি। ঘটনাটা জানার চেষ্টা করছি। এখন ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলব।