ঢাকা ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ভাঙ্গুড়ায় শিক্ষকের থাপ্পড়ে ছাত্রের কানের পর্দাফাটাল !

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১০:১১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • / 93

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার ছোট বিশাকোল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মজিদের থাপ্পড়ে ইমন হোসেন(১৪) নামের ঐ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রের কানের পর্দা ফেটে গেছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে।

ইমন ঐ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র ও বিশাকোল গ্রামের আব্দুল মালেকের পুত্র। সে বর্তমানে ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

রোববার এবিষয়ে ইউএনও সৈয়দ আশরাফুজ্জামানবরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
আহত শিক্ষার্থী ইমন হোসেন সাংবাদিকদের জানান,গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ে রুটিন মোতাবেক শিক্ষক না থাকায় প্রধান শিক্ষক আব্দুর মজিদ নিজেই ৯ম শ্রেণির বাংলা ২য় পত্রক্লাসে হাজির হন।

শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীরা ঐসময়ে চেঁচামেচি করছিল । এই অবস্থায় সে প্রথম সারিতে বসা অবস্থায় ছিল তখন দাড়িয়ে সবাইকে চেঁচামেচি থামাতে বলে।

এই বলাতেই প্রধান শিক্ষক অতি দ্রæত তার কাছে এসে মাথার চুর ধরে কানের উপর বেশ কয়েকটি থাপ্পর মারে ও পিঠের উপর তিনচারটি কিল মারে এবং বলেন‘ তুই বড় মাস্তান হইছিস।’

এসময় তিনি ঐ শিক্ষার্থীকে আরও কিছু অশালীন ভাষাও বলেন। এরপর তার ডান কান দিয়ে রক্ত বের হতে থাকলে সে নিজেই বাহিরে গিয়ে কানের রক্ত ধুয়ে ফেলে এবং মাথায় পানি নেয়।

বিকালের দিকে তার কানে বেশী ব্যাথা শুরু হলে স্থানীয় ডাক্তারের নিকট প্রাথামিক চিকিৎসা নেয়। কিন্তু তার কানের ব্যাথা বাড়তে থাকলে শুক্রবারে নাক-কান-গলা বিশোষজ্ঞডাক্তার মোঃ রফিকুল ইসলামের নিকট দেখান।

এসময় ডাক্তার মোঃ রফিকুল ইসলাম কানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে মর্মে তার অভিভাবকে অবগত করেন। কিন্তু কানের ব্যাথা না কমায় শনিবারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছি।

এবিষয়ে ইমনের পিতা আব্দুল মালেক বলেন, ‘একজন শিক্ষক এভাবে আমার ছেলেকে কানের উপর মেরে কানটার ক্ষতি করবে এটা কখনো আমি আশা করি নি। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিশাকোল উচ্চ বিদ্যালয়েরপ্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন,‘শ্রেণি কক্ষে বেয়াদবি করায় তাকে একটা থাপ্পর মারা হয়েছে। কিন্তু সে ঘার ঘুরোতেই হয়তো তার কানে লেগেছে। তবে আমি তাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছি এবং বর্তমানে চিকিৎসার খোঁজ খবর রাখছি।’

এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল আলম বলেন, শিক্ষক কর্র্তৃক ছাত্রকে কানের উপর থাপ্পর মারার অভিযোগ পেয়ে ঐ বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করেছি এবং প্রথমেই শিক্ষার্থীকে যাথাযাথ চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে প্রধান শিক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অধিকতর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঘটনার বিষয়ে ইউএনও সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন,‘লিখিত অভিযোগটি এখনো আমার হস্তগত হয় নি। তবে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে বিষয়টি আমি জেনেছি। আহত শিক্ষার্থীকে তাৎক্ষকিত চিকিৎসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কোনো শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত বা আঘাত করা যাবে না। ঐ শিক্ষাকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্তে সত্য প্রমানিত হলে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ভাঙ্গুড়ায় শিক্ষকের থাপ্পড়ে ছাত্রের কানের পর্দাফাটাল !

প্রকাশিত সময় ১০:১১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার ছোট বিশাকোল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মজিদের থাপ্পড়ে ইমন হোসেন(১৪) নামের ঐ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রের কানের পর্দা ফেটে গেছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে।

ইমন ঐ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র ও বিশাকোল গ্রামের আব্দুল মালেকের পুত্র। সে বর্তমানে ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

রোববার এবিষয়ে ইউএনও সৈয়দ আশরাফুজ্জামানবরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
আহত শিক্ষার্থী ইমন হোসেন সাংবাদিকদের জানান,গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ে রুটিন মোতাবেক শিক্ষক না থাকায় প্রধান শিক্ষক আব্দুর মজিদ নিজেই ৯ম শ্রেণির বাংলা ২য় পত্রক্লাসে হাজির হন।

শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীরা ঐসময়ে চেঁচামেচি করছিল । এই অবস্থায় সে প্রথম সারিতে বসা অবস্থায় ছিল তখন দাড়িয়ে সবাইকে চেঁচামেচি থামাতে বলে।

এই বলাতেই প্রধান শিক্ষক অতি দ্রæত তার কাছে এসে মাথার চুর ধরে কানের উপর বেশ কয়েকটি থাপ্পর মারে ও পিঠের উপর তিনচারটি কিল মারে এবং বলেন‘ তুই বড় মাস্তান হইছিস।’

এসময় তিনি ঐ শিক্ষার্থীকে আরও কিছু অশালীন ভাষাও বলেন। এরপর তার ডান কান দিয়ে রক্ত বের হতে থাকলে সে নিজেই বাহিরে গিয়ে কানের রক্ত ধুয়ে ফেলে এবং মাথায় পানি নেয়।

বিকালের দিকে তার কানে বেশী ব্যাথা শুরু হলে স্থানীয় ডাক্তারের নিকট প্রাথামিক চিকিৎসা নেয়। কিন্তু তার কানের ব্যাথা বাড়তে থাকলে শুক্রবারে নাক-কান-গলা বিশোষজ্ঞডাক্তার মোঃ রফিকুল ইসলামের নিকট দেখান।

এসময় ডাক্তার মোঃ রফিকুল ইসলাম কানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে মর্মে তার অভিভাবকে অবগত করেন। কিন্তু কানের ব্যাথা না কমায় শনিবারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছি।

এবিষয়ে ইমনের পিতা আব্দুল মালেক বলেন, ‘একজন শিক্ষক এভাবে আমার ছেলেকে কানের উপর মেরে কানটার ক্ষতি করবে এটা কখনো আমি আশা করি নি। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিশাকোল উচ্চ বিদ্যালয়েরপ্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন,‘শ্রেণি কক্ষে বেয়াদবি করায় তাকে একটা থাপ্পর মারা হয়েছে। কিন্তু সে ঘার ঘুরোতেই হয়তো তার কানে লেগেছে। তবে আমি তাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছি এবং বর্তমানে চিকিৎসার খোঁজ খবর রাখছি।’

এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল আলম বলেন, শিক্ষক কর্র্তৃক ছাত্রকে কানের উপর থাপ্পর মারার অভিযোগ পেয়ে ঐ বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করেছি এবং প্রথমেই শিক্ষার্থীকে যাথাযাথ চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে প্রধান শিক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অধিকতর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঘটনার বিষয়ে ইউএনও সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন,‘লিখিত অভিযোগটি এখনো আমার হস্তগত হয় নি। তবে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে বিষয়টি আমি জেনেছি। আহত শিক্ষার্থীকে তাৎক্ষকিত চিকিৎসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কোনো শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত বা আঘাত করা যাবে না। ঐ শিক্ষাকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্তে সত্য প্রমানিত হলে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’