আত্রাইয়ে সড়কে অবৈধ ট্রলি-ট্রাক্টরের বেপরোয়া অবাধ বিচরণ
- প্রকাশিত সময় ০৩:২২:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০২৩
- / 142
আত্রাইয়ের সর্বত্র অবৈধ ট্রলি ও ট্রাক্টরের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। বেপরোয়া গতিতে চলাচলেরর কারণে বাড়ছে নানা দুর্ঘটনা।-স্বতঃকণ্ঠ
শষ্য, মৎস্য ও আমের রাজধানি খ্যাত উত্তর জনপদের জেলা নওগাঁর আত্রাইয়ে অবৈধ ট্রলি ও ট্রাক্টরের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। এদের বেপরোয়া গতিতে চলাচলের কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় একের পর এক দূর্ঘটনা। ফলে অকালেই ঝরে যাচ্ছে তরতাজা প্রাণ। অবৈধ এসব যানবাহনের উৎপাতে অতিষ্ঠ স্কুলগামী কমলমতি শিশু-কিশোরসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ।
এসব যানবহনের ফলে কাউকে আবার সারাজীবনের মতো বরণ করতে হচ্ছে পঙ্গুত্ব¡। এছাড়াও এগুলোর বিকট শব্দের কারনে ঘটছে শব্দদূষণও। ফলে স্কুলগামী শিশু-কিশোরসহ জন সাধারণকে সার্বক্ষনিক আতংকের মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে। কিন্তু চোখের সামনে অবৈধ এই যানের অবাধ চলাচল দেখেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করছেন না সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। ফলে তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে উপজেলায় সর্বত্র।
অবৈধ এ যান চলাচলের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তাঘাটও। অধিক লাভের আশায় কৃষি কাজের ব্যবহার উপযোগি করে তৈরি এই যন্ত্রটি পণ্য পরিবহণ কাজে ব্যবহার করছে এক শ্রেণীর স্বার্থন্বেষী ব্যক্তিরা।
ট্রলি ও ট্রাক্টরের ড্রাইভারদের জন্য কোনো লাইসেন্সের প্রয়োজন না হওয়ায় অতি সহজেই এসব পরিবহন কিনে আনে ব্যবসায়িরা। তারা এসব ট্রাক্টর কিনে কৃষি কাজের পরিবর্তে ব্যবহার করছে পরিবহন কাজে। ফলে উপজেলায় ট্রাক্টরের সংখ্যা দিন দিন ব্যপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে তার ব্যপক প্রভাব বিস্তার রয়েছে।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, চাষাবাদের জন্য আমদানীকৃত এই ট্রাক্টর অবৈধ ট্রলি-নছিমনসহ নানা পরিবহনে রুপান্তরিত হয়ে মানুষের সর্বনাশ করছে। আবাদি জমি ছেড়ে দাবড়ে বেড়াচ্ছে উপজেলা সদরসহ গ্রামীন জনপদে কিংবা বাজার কেন্দ্রিক জায়গাগুলোতে। ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা না থাকায় শিশু কিংবা কিশোররাও অদক্ষভাবে এসব ট্রাক্টর অবাধে চালাচলের সুযোগ পাচ্ছে, ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা। উপজেলায় প্রতিদিন অসংখ্য ট্রলি ও ট্রাক্টর বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে অবাধে চলাচল করছে। কিন্তু বাংলাদেশ মোটরযান আইনে পাকা রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের তালিকায় এর কোনো অস্তিত্ব নেই।
এ ব্যাপারে পথচারী ওয়াজেদ আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অবৈধ ট্রলি ও ট্রাক্টর রাস্তা-ঘাট ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করলেও এসব বন্ধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন।
এ ব্যাপারে স্কুল পড়–য়া কোমলমতি শিশু সৌরভ বলেন, প্রতিদিন সকাল হলেই আমাদেরকে স্কুলে যেতে হয়। ট্রাক্টরের বেপোরয়া গতির ফলে ধুলা বালিতে আমাদের অনেক সমস্যা হয়। রাস্তায় আমাদের জীবনের ঝুুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।
এব্যপারে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তারেকুর রহমান সরকার বলেন, সড়কে ট্রাক্টরের চলাচল কিংবা পূর্ণ সামগ্রী বহনের অনুমতি নেই, আমরা ট্রাক্টর চালকদের নিষেধ করছি। সড়ক নিরাপত্তার জন্য এসব অবৈধ যান চলাচল করতে দেওয়া হবে না, প্রতিরোধে আমরা কাজ করছি।