কৃষি সম্মৃদ্ধ সাঁথিয়ায় উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের হাটবাড়িয়া, খানপুর মাঠে ২/৩ ফসলী জমিতে পুকুর খনন চেষ্টা, বন্ধের জন্য স্থানীয় কৃষকদের সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন।

এলাকাবাসীর আবেদন সুত্রে জানা যায়, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলাধীন নন্দনপুর ইউনিয়নের খান পুর ও হাটবাড়িয়া মৌজার একাধিক ফসলী জমিতে হাটবাড়িয়া গ্রামের মোঃ রেজাউল করিম (রইজউদ্দিন) পুকুর খননের চেষ্টা করছেন। তিনি উপজেলা ভূমি সহকারি কর্মকর্তাদের দ্বারা ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করাচ্ছেন। উক্ত মাঠে পুকুর খনন করলে এলাকার কৃষকদের ২/৩ ফসলী জমি অনাবাদি হয়ে যাবে। আমাদের ওই সকল জমির ধান, গম, পেয়াজ, রসুন উৎপাদন করা সম্ভব হবে না।

হাটবাড়িয়া গ্রামের সাবেক শিক্ষক আঃ লতিফ মাস্টার, নজরুল ইসলাম, আঃ মজিদ খান, আনারুল, আলাউদ্দিন, আজিবরসহ শতাধিক কৃষক বলেন, উক্ত মাঠে পুকুর খনন করলে এলাকার কৃষকদের ২/৩ ফসলী জমি অনাবাদি হয়ে যাবে। আমাদের ওই সকল জমির ধান, গম, পেয়াজ, রসুন উৎপাদন করা সম্ভব হবে না। সে মাঠে বিএডিসি (বরেন্দ্র) প্রকল্প থেকে গভীর নলকুপ স্থাপন করে ঐ সকল জমিতে তারা চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করছি। তারা আরো বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা এক ইঞ্চি জমিও পতিত বা ফেলে রাখা যাবে না। স্থানীয়রা কৃষি উৎপাদন বাড়াতে ও চাষাবাদের সুবিধা বাড়াতে সহযোগিতা কামনা করছেন। আবেদনপত্র পাবনা জেলা প্রশাসক, জেলা বিএডিসি/ বরেন্দ্র বহুমুখি প্রকল্প পরিচালক, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সহ বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি প্রেরণ করেছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার ( ভূমি) মনিরুজ্জামান বলেন, অভিযোগ এখন পর্যন্ত আমার দপ্তরে আসেনি, আসলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাঁথিয়ায় দুধর্ষ চুরি সংঘটিত

সাঁথিয়া(পাবনা)প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়ায় আবেদীন প্যালেসে দুধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। সঙ্গবদ্ধ চোরেরা উপজেলার বন্দিরাম চর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের “আবেদীন প্যালেসের বাসার কেচি গেটের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে নগদ টাকা ও স্বর্ণাস্কারসহ প্রায় ১২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে।

জানা গেছে, গত বুধবার দিনগত রাতে বাসায় না থাকায় উপজেলা বন্দিরামচর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের “আবেদীন প্যালেস” বাসার কেচি গেট ও দরজার তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে চোরেরা। এ সময় সঙ্গবদ্ধ চোরেরা ১টি ৫৬ইঞ্চি এলএডি টিভি, ১১ ভরি স্বনার্লস্কার, ৮টি কাসার প্লেট, নগদ ১লাখ টাকাসহ প্রায় ১২ লাখ টাকার মালামাল চুরি নিয়ে যায়। এ ব্যাপরে সাঁথিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, চুরির ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। চুরি যাওয়া মালামাল উদ্বারের চেষ্টা চলছে।