চাঁদা না পেয়ে জমিতে পানি, নিমার্ণাধীন ভবনের কাজ বন্ধ, আদালতে মামলা
- প্রকাশিত সময় ০৭:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩
- / 332
পাবনার আমিনপুরে চাঁদা না পেয়ে জমিতে পানি দিয়ে নিমার্ণাধীন ভবনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে আমিনপুর থানায় থানায় লিখিত অভিযোগ অতঃপর সমবোঝতায় পোষ -মিমাংশা করা হয়। থানায় আপোষ মিমাংষার সুচতুর আব্দুল হাই পাবনা আদালতে মোকদ্দমা দায়ের। যাহার নং—১০১/২০২৩(আমিনপুর)। তারিখ—০৭/০২/২০২৩ইং। ফলে নিমার্ণাধীন ভবনের মালিক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থের আশংকায় রয়েছে। ভুক্তভোগী রেজাউল ইসলাম চাদাবাজ আব্দুল হাই এর অনৈতিক কর্মকান্ডের হাত থেকে রক্ষায় সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
ভুক্তভোগি পরিবার সূত্রে জানাযায়, পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানাধীন দিঘলকান্দি গ্রামের মজির উদ্দিনের ছেলে তায়জুল ইসলাম একই গ্রামের তায়েজ উদ্দিন গংদের কাছ থেকে দিঘলকান্দি মৌজার আর এস দাগ ১৯১ এ ০৬ শতাংশ ও আর এস ১৮৮ দাগে ০৮ শতাংশ মোট ১৪ শতাংশ জমি ক্রয় করেন ২০১০সাল। উক্ত জমি ক্রয় করে তারা দীর্ঘ দিন যাবৎ চাষাবাদ করতে থাকে। তায়জুল ইসলামের ছেলেরা উক্ত জমির উপর পাকা নিমার্ণ করতে গেলে একই গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে আব্দুল হাই চাদার দাবী করে। টাকা না পাওয়ায় আব্দুল হাই ক্ষিপ্ত হয়ে শ^শুর বাড়ির লোকজন নিয়ে পুকুর থেকে শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি দিয়ে নিমার্ণাধীন ভবনের কাজ বন্ধ করে দেয়। এ ব্যাপারে আমিনপুর থানায় রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রভাবশালী আব্দুল হাই তার চাচা শ^শুর নেকবারের পুকুরে শ্যালো মেশিন লাগিয়ে তায়জুল ইসলামের জমি সংলগ্ন তার পুকুরে পানি দিয়ে ভরে দেওয়ায় তাইজুল ইসলামের জমি পানিতে ডুবে যায়। ফলে উক্ত স্থানে পাকা ভবন নিমার্ণ করার মত সুযোগ হচ্ছে না।
আব্দুল হাই জানান, আমার পুকুরে পানি ভরে দিয়েেছি। তার জায়গায় পানি গেলে আমার কিছুর করার নাই। চাঁদা দাবির কথা অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে আমিনপুর থানার এস,আই.জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। সরোজমিনে গিয়ে দেখে উভয় পক্ষকে নিয়ে আমিন দিয়ে উক্ত সম্পত্তির সীমানা নির্ণয় করা হয়। বাদী রোজাউল ইসলাম ও বিবাদী আব্দুল হাই এর মধ্যে জমিজমা বিষয়ে শান্তি—শৃঙ্ঘলার বজায়ে রাখার স্বার্থে যে যার জায়গায় কাজ করবে মর্মে অঙ্গিকার করায় আপোষ—মিমাংশা হয়েছে।
বিবাদীর নিকটতম আত্মীয় ইউএনও দায়িত্ব পালন থাকার করনে থানায় মিমাংশা করার কয়েকেদিন পরেই সুচতুর আব্দুল হাই বাদী হয়ে আবু সামা,নজরুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, আনিছুর রহমান, ওমর ছানী, ময়না খাতুন, তারা খাতুন উভয় পিতা তায়েজ উদ্দিন ও আয়শা খাতুন জং মৃত তায়েজ উদ্দিনকে বিবাদী করে পাবনা বিজ্ঞ নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আদালতে ১০১/২০২৩(আমিনপুর) মোকদ্দমা দয়ের করেন (তারিখ ০৭/০২/২০২৩ইং)। উক্ত মোকদ্দমায় উল্লেখ করা হয়, যে দিঘলকান্দি মৌজার আরএস খতিয়ান নং—২৮ , ৫৯ আর এস দাগ নং—১৯২, ১৯৩ জমির পরিমান .০৬ ও .১৩ মোট ১৯ শতাংশ সম্পত্তির ওপর বাদী ভোগদখলী থাকা অবস্থায় বিবাদীগণরা গত ০১/০১/২০২৩ইং তারিখে বেআইনীভাবে পাকা ভবন নিমার্ণ করছে। পাকা ভবন নিমার্ণ যাতে করতে না পারে সে জন্য বিবাদীগনের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারার আবেদন করা হয়।
উক্ত সম্পত্তির ওপর ১৪৪ ধারা জারী করা হয়। কিন্তু উক্ত সম্পত্তি ভোগদখলও করছেন আব্দুল হাই। আর বিবাদীগণ ভোগদখল করছেন মৌজার খতিয়ান আর এস দাগ ১৯১ এ ০৬ শতাংশ ও খতিয়ান আর এস ১৮৮ দাগে ০৮ শতাংশ মোট ১৪ শতাংশ সম্পত্তি। অথচ আমিনপুর থানা পুলিশ বিবাদীর ভোগদখলকৃত সম্পত্তিতে পাকা ভবন নিমার্ণের নিষের্ধ দেওয়ায় কাজ বন্দ হয়ে গেছে।
আদালত থেকে উপজেলা সহকারি কশিশনার(ভূমি)কে ১৪৪ থারা জারিকৃত সম্পত্তি সরোজমিন তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন নিধারিত তারিখের পূর্বেই প্রেরণের নিদের্শ দেন।
উপজেলা সহকারি কশিশনার(ভূমি) কর্মকর্তা গত ২৭ ফেব্রুয়ারী জাতসাখিনী ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে সরোজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নিদের্শ প্রদান করেন। জাতসাখিনী ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, যর্থা সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা ভূমি অফিসে প্রেরণ করেছি।
উপজেলা সহকারি কশিশনার ভূমি কর্মকর্তা জানান, সার্ভেয়ার দ্বারা উক্ত সম্পত্তি মাপ দেওয়ার পর প্রতিবেদন প্রেরণ কতরা হবে।