ভায়া টেস্ট পদ্ধতিতে জরায়ুমুখের ক্যান্সার নির্ণয় আলোচনা সভা
- প্রকাশিত সময় ১২:১২:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩
- / 146
গতকাল পাবনার ফরিদপুরের খাগরবাড়িয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে অর্ধশত নারীকে ভায়া (টেস্ট) পদ্ধতিতে জরায়ুমুখের ক্যান্সার নির্ণয় সম্পর্কে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুনজুর রহমান এর সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মেডিকেল অফিসার ডা. বিজুক, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইনচার্জ) আব্দুল মান্নান, সেনিটারী ইন্সপেক্টর এস,এম,এ সবুর, এমটিইপিআই জাহাঙ্গীর আলম, এইচএ রীনা আক্তার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সুন্দর এবং সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা এবং নারীদের উপস্থিতির জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিটি মারুফা আক্তার সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুনজুর রহমান বলেন, জরায়ুর বিভিন্ন অংশের মধ্যে জরায়ুর সব থেকে নিচের অংশ এবং জরায়ু থেকে বাচ্চা প্রসবের পথ ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। জরায়ুমুখ ভালোভালে পরীক্ষা করলেই ক্যান্সারপূর্ব অবস্থা থাকলে বোঝা যায়। প্রথমে অল্প একটু ক্ষত বা মাংসপিন্ড হিসেবে ক্যান্সার হওয়া শুরু হয়। তারপর ধীরে ধীরে চারিদিকে ছড়াতে থাকে। আস্তে আস্তে জরায়ুমুখে বড় ক্ষত বা ফুলকপির মতো মাংসপিন্ডের সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীরে ক্যান্সার জরায়ুর মূল অংশে, যোনিপথে, মূত্রথলিতে এবং পর্যায়ক্রমে অন্ত্রে ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ ধরা পড়লে সম্পূর্ণ আরোগ্য সম্ভব। বাংলাদেশে শতকরা ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে রোগ শনাক্ত হয় শেষ পর্যায়ে। ফলে যথাযথ চিকিৎসা বা আরোগ্য লাভের সম্ভাবনা কমে যায়।
তিনি বলেন, প্রতি মাসেই জরায়ু ক্যান্সার সম্পর্কে বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বিভিন্ন জায়গায় নারীদের সচেতনতার জন্য ক্যাম্পিং করা হবে। গত ৯ মার্চ মাছুয়াঘাটা কমিউনিটি ক্লিনিকে ৪২ জনের ভায়া টেস্ট করে দুজনের পজেটিভ পাওয়া যায় এবং তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ নং রুমে ৩০ বছরের উর্দ্ধে নারীদেরকে বিনামূল্যে নিয়মিত ভায়া টেস্ট করা হচ্ছে।