ঢাকা ০২:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

অবৈধ দখলদারদের কবলে লাহিড়ী মোহনপুর রেলওয়ে স্টেশন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত সময় ১১:১৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
  • / 159

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর রেলওয়ে স্টেশনের দূ'ধারে ফুটপাতের জায়গা এখন অবৈধ দখলদারদের কবলে। -স্বতঃকণ্ঠ


সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর রেলওয়ে স্টেশনের দূ’ধারে ফুটপাতের জায়গা এখন অবৈধ দখলদারদের কবলে। ফলে ট্রেনের যাত্রী সাধারনের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

রেল কর্তৃপক্ষের ফুটপাতের জায়গা দিয়ে চলাচল বা হাঁটার মত পথ নেই বললেই চলে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-ঈশ্বরদী রেল পথের এক সময়ের পরিচিত উল্লাপাড়ার লাহিড়ী মোহনপুর রেলওয়ে স্টেশন লাইনের দু’পাশের সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য দোকান পাট,হোটেল,চাস্টল,মাছের দোকান,দই-মিস্টির দোকান,মৌসুমী ফলের দোকান। স্থানীয় এক শ্রেণীর প্রভাবশালীরা নানা রকম অবৈধ দোকান পাট,হোটেল সহ বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রির ঘর তুলে অধিকাংশ জায়গা দখলে নিয়েছে। ফলে সংকুচিত হয়ে পড়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের জায়গা। 

স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের গড়ে ওঠা এসব দোকান পাট থেকে একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে মাসোহারা চাঁদা উত্তোলনের অভিযোগ করা হচ্ছে। দখলদাররা স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় এ বিষয়ে মোহনপুর রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে অনেক দোকানী জানান, রেলওয়ে স্টেশনের আশেপাশে অসংখ্য দোকান পাট রয়েছে।সকল জায়গাই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের জায়গা। প্রভাবশালীরা ক্ষমতা খাটিয়ে রেলওয়ের জায়গা দখল করে রেখেছে। দীর্ঘদিন তাদের দখলে থাকায় এখন এগুলো ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতোই হয়ে গেছে। স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা জানান, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকীর অভাব এবং সঠিক পরিকল্পনা ও মনিটরিং না থাকায় উল্লাপাড়ার মোহনপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সরকারি ফুটপাত জায়গা হারিয়ে যাচ্ছে।

নুরনবী নামে স্থানীয় একজন মৌসুমী দোকান্দার জানান, আমরা গরিব মানুষ, প্রতিদিন এই রেল স্টেশনে বসে সামান্য ব্যবসা করে সংসার চালাই। কাউকে চাঁদা দিতে হয় না।

চাকরিতে অবসরকালীন অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মোহনপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আ: হামিদ জানান, রেলওয়ে স্টেশনের দু’ধারে রেলওয়ের জায়গায় স্থানীয়রা অনেক দোকান পাট তুলে ব্যবসা করে আসছে। ইতিপুর্বেও উচ্ছেদ অভিযান হয়েছিল, কিছু দিন যেতে না যেতেই আবার তারা দোকান পাট বসিয়েছে। তবে এখানে কোন চাঁদা নেয়ার অভিযোগ নেই। তবুও নাগরিক ও যাত্রী সাধারনের ট্রেনে যাতায়াতে যেন কোন প্রকার ভোগান্তি না হয় – সেই বিষয়টি আমরা দেখছি।

অবৈধ দখলদারদের কবলে লাহিড়ী মোহনপুর রেলওয়ে স্টেশন

প্রকাশিত সময় ১১:১৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর রেলওয়ে স্টেশনের দূ’ধারে ফুটপাতের জায়গা এখন অবৈধ দখলদারদের কবলে। ফলে ট্রেনের যাত্রী সাধারনের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

রেল কর্তৃপক্ষের ফুটপাতের জায়গা দিয়ে চলাচল বা হাঁটার মত পথ নেই বললেই চলে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-ঈশ্বরদী রেল পথের এক সময়ের পরিচিত উল্লাপাড়ার লাহিড়ী মোহনপুর রেলওয়ে স্টেশন লাইনের দু’পাশের সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য দোকান পাট,হোটেল,চাস্টল,মাছের দোকান,দই-মিস্টির দোকান,মৌসুমী ফলের দোকান। স্থানীয় এক শ্রেণীর প্রভাবশালীরা নানা রকম অবৈধ দোকান পাট,হোটেল সহ বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রির ঘর তুলে অধিকাংশ জায়গা দখলে নিয়েছে। ফলে সংকুচিত হয়ে পড়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের জায়গা। 

স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের গড়ে ওঠা এসব দোকান পাট থেকে একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে মাসোহারা চাঁদা উত্তোলনের অভিযোগ করা হচ্ছে। দখলদাররা স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় এ বিষয়ে মোহনপুর রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে অনেক দোকানী জানান, রেলওয়ে স্টেশনের আশেপাশে অসংখ্য দোকান পাট রয়েছে।সকল জায়গাই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের জায়গা। প্রভাবশালীরা ক্ষমতা খাটিয়ে রেলওয়ের জায়গা দখল করে রেখেছে। দীর্ঘদিন তাদের দখলে থাকায় এখন এগুলো ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতোই হয়ে গেছে। স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা জানান, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকীর অভাব এবং সঠিক পরিকল্পনা ও মনিটরিং না থাকায় উল্লাপাড়ার মোহনপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সরকারি ফুটপাত জায়গা হারিয়ে যাচ্ছে।

নুরনবী নামে স্থানীয় একজন মৌসুমী দোকান্দার জানান, আমরা গরিব মানুষ, প্রতিদিন এই রেল স্টেশনে বসে সামান্য ব্যবসা করে সংসার চালাই। কাউকে চাঁদা দিতে হয় না।

চাকরিতে অবসরকালীন অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মোহনপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আ: হামিদ জানান, রেলওয়ে স্টেশনের দু’ধারে রেলওয়ের জায়গায় স্থানীয়রা অনেক দোকান পাট তুলে ব্যবসা করে আসছে। ইতিপুর্বেও উচ্ছেদ অভিযান হয়েছিল, কিছু দিন যেতে না যেতেই আবার তারা দোকান পাট বসিয়েছে। তবে এখানে কোন চাঁদা নেয়ার অভিযোগ নেই। তবুও নাগরিক ও যাত্রী সাধারনের ট্রেনে যাতায়াতে যেন কোন প্রকার ভোগান্তি না হয় – সেই বিষয়টি আমরা দেখছি।